স্নায়ু
একটি স্নায়ু নিউরনের অ্যাক্সন বা ডেনড্রাইটের একগুচ্ছ বদ্ধ বান্ডিল,যা প্রান্তীয় স্নায়ু তন্ত্রের অংশ। এর মধ্য দিয়ে প্রান্তীয় অঙ্গে তড়িৎ-রাসায়নিক সংকেত আদান-প্রদান হয়।
কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে, অনুরূপ গঠনকে নিউরাল ট্র্যাক্ট বলে।[১][২] নিউরনকে কখনও কখনও স্নায়ু কোষ বলা হলেও এটি পুরোপুরি সঠিক নয়, যেহেতু অনেক নিউরনই স্নায়ু গঠন করে না, আবার স্নায়ুতে অ-নিউরন কোষ যেমন সোয়ান কোষ থাকে, যা অ্যাক্সনকে মায়েলিনে আবৃত করে রাখে।
প্রতিটি স্নায়ু রজ্জুর ন্যায় গঠন, যাতে অনেক অ্যাক্সন বা স্নায়ু তন্তু (nerve fibre) থাকে। একটি স্নায়ুর মধ্যে প্রতিটি অ্যাক্সন যোজক কলার একটি স্তর দ্বারা আবৃত থাকে, যাকে এন্ডোনিউরিয়াম বলে।এরকম অনেকগুলো অ্যাক্সন মিলে নার্ভ ফ্যাসিকল করে। প্রতিটি ফ্যাসিকল যোজক কলার একটি স্তর দ্বারা আবৃত থাকে, যাকে পেরিনিউরিয়াম বলে। শেষে, সমস্ত স্নায়ু যোজক কলার আরেকটি স্তর দ্বারা আবৃত থাকে, যাকে এপিনিউরিয়াম বলে।
স্নায়ুকোষ
[সম্পাদনা]স্নায়ুতন্ত্র
[সম্পাদনা]সজীব কোষের প্রোটোপ্লাজমের বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপের ফলেই জীবনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। জীব বিভিন্ন পরিবেশে বসবাস করে। পরিবেশের মধ্যে অবস্থানগত পরিবর্তন কিছু ঘটলে জীবদেহে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। যা জীবদেহে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তাকে বলা হয় উদ্দীপক। উদ্দীপকের প্রভাবে জীবের দেহে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় তাকে উত্তেজিতা বলে। আর উত্তেজিতার ফলে জীবের দেহে যে পরিবর্তন হয় তাকে সাড়া বলে। উত্তেজনায় সাড়া দেওয়া জীবের অন্যতম ধর্ম। উন্নততর মেরুদণ্ডী প্রাণীদের ক্ষেত্রে সুগঠিত স্নায়ুতন্ত্র এবং জ্ঞানেন্দ্রিয়সমূহ দেখা যায়।
জ্ঞানেন্দ্রিয়ের মাধ্যমে দেহে উদ্দীপনা গৃহীত হয়, স্নায়ুতন্ত্র দিয়ে তা নির্দিষ্ট কেন্দ্রে যায় এবং সুনির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ ঘটে। ফলে জীব দেহের ভেতরের এবং বাইরের পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে সুষ্ঠুভাবে জীবনযাপনে সক্ষম হয়। স্নায়ু তন্ত্র(NERVOUS SYSTEM): স্নায়ু কোষ ও নিউরোগ্লিয়া দিয়ে গঠিত যে তন্ত্রের সাহায্যে প্রাণীদেহে উদ্দীপনা গ্রহণ এবং উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা এবং দেহের বিভিন্ন যন্ত্র ও তন্ত্রের কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন হওয়া তাকে স্নায়ুতন্ত্র নার্ভাস সিস্টেম বলে।
স্নায়ুতন্ত্রের কাজ
[সম্পাদনা]চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা এবং ত্বক এই পাঁচ রকম জ্ঞানেন্দ্রিয়ের মাধ্যমে পরিবেশ থেকে উদ্দীপনা বা স্পন্দন গ্রহণ করা। উদ্দীপনা বা স্পন্দনের অনুভূতি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে পাঠানো। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে প্রয়োজনীয় ক্রিয়া নির্দিষ্ট অঙ্গে প্রেরিত হওয়ার পর দেহমধ্যস্থ বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ এবং সমন্বয় সাধন হয়। প্রয়োজনবোধে বাধকের কাজ করাও স্নায়ুতন্ত্রের অন্যতম দায়িত্ব।[৩]
প্রকারভেদ
[সম্পাদনা]সংকেত পরিবহনের উপর নির্ভর করে স্নায়ুকে তিনভাগে ভাগ করা হয়।
সংবেদী স্নায়ু বা অন্তর্বাহী স্নায়ু
[সম্পাদনা]সংবেদী স্নায়ু রিসেপ্টর বা গ্রাহক কোষ থেকে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে উদ্দীপনা বহন করে নিয়ে যায়। সেনসরি নিউরোন বা স্নায়ুকোষ দিয়ে এরা তৈরি বলে এদের সেনসরি নার্ভ বা সংজ্ঞাবহ স্নায়ুও বলা হয়। দর্শন অনুভূতির জন্য অপটিক স্নায়ু, ঘ্রাণের জন্য অলফ্যাক্টরি স্নায়ু এবং শ্রবণের জন্য অডিটরি স্নায়ু এই শ্রেণিভুক্ত।
চেষ্টীয় স্নায়ু বা বহির্বাহী স্নায়ু
[সম্পাদনা]চেষ্টীয় স্নায়ু কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র থেকে অনুভূতি বয়ে নিয়ে যায় ইফেক্টর বা কারক কোষে । মোটর নিউরনের স্নায়ুতন্র দিয়ে এরা তৈরি বলে এদের মোটর নার্ভ বা চেষ্টীয় স্নায়ু বলে। তৃতীয় করোটি স্নায়ু বা অকিউলোমোটর স্নায়ু এবং ষষ্ঠ করোটি স্নায়ু বা অ্যাবডুসেন্স স্নায়ু এই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত।
মিশ্র স্নায়ু
[সম্পাদনা]মিশ্র স্নায়ু একই সঙ্গে অন্তর্বাহী এবং বহির্বাহী। অর্থাৎ উভয়মুখে এরা স্নায়ু অনুভূতি বয়ে নিয়ে যায়। এরা সেনসরি ও মোটর দু-প্রকার স্নায়ুতন্ত্র দিয়ে তৈরি। সপ্তম করোটি স্নায়ু বা ফেসিয়াল নার্ভ, দশম করোটি স্নায়ু বা ভেগাস নার্ভ হল এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।
কোষতত্ত্ব
[সম্পাদনা]নিদানিক গুরুত্ব
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Purves D, Augustine GJ, Fitzppatrick D; ও অন্যান্য (২০০৮)। Neuroscience (4th সংস্করণ)। Sinauer Associates। পৃষ্ঠা 11–20। আইএসবিএন 978-0-87893-697-7।
- ↑ Marieb EN, Hoehn K (২০০৭)। Human Anatomy & Physiology (7th সংস্করণ)। Pearson। পৃষ্ঠা 388–602। আইএসবিএন 0-8053-5909-5।
- ↑ মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান, দ্বিতীয় খণ্ড: তুষারকান্তি ষন্নিগ্রহী, শ্রীভূমি পাবলিশিং কোম্পানি, কলকাতা, বছর: ১৯৮৬ পৃঃ ৩
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |