২০১৪–১৫ অস্ট্রেলিয়ায় কার্লটন মিড ত্রি-দেশীয় সিরিজ
কার্লটন মিড ত্রি-দেশীয় সিরিজ | |||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
তারিখ | ১৬ জানুয়ারি, ২০১৫ - ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ | ||||||||||||||||||||||||||||
স্থান | অস্ট্রেলিয়া | ||||||||||||||||||||||||||||
ফলাফল | ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া ১১২ রানে ইংল্যান্ডকে পরাজিত করে | ||||||||||||||||||||||||||||
সিরিজ সেরা খেলোয়াড় | মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া) | ||||||||||||||||||||||||||||
| |||||||||||||||||||||||||||||
২০১৫ কার্লটন মিড ত্রি-দেশীয় সিরিজ একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ভারত দল এই ত্রি-দেশীয় সিরিজে অংশ নেয়।[১] ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতার ফলে অস্ট্রেলিয়ায় পূর্বে অনুষ্ঠিত ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতার ন্যায় এ প্রতিযোগিতাটি সম্পন্ন হয়নি। দলগুলো কেবলমাত্র দুইবার একে-অপরের বিপক্ষে অংশ নেয়।
দলের সদস্য
[সম্পাদনা]১ ২য় খেলায় ধীরগতিতে ওভার করার ফলে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক জর্জ বেইলিকে এক খেলার জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। হোবার্টে অনুষ্ঠিত ৪র্থ খেলায় স্টিভ স্মিথ অধিনায়কত্ব করেন।[৩]
২ হোবার্টে অনুষ্ঠিত ৪র্থ খেলায় ডেভিড ওয়ার্নার বিশ্রামে থাকায় শন মার্শ ও ক্যামেরন হোয়াইটকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৩]
৩ পেশীতে টান পড়ায় শেন ওয়াটসন বিশ্রামে যান। তার স্থলাভিষিক্ত হন মইসেস হেনরিকুইস।
প্রস্তুতিমূলক খেলা
[সম্পাদনা] ১২ জানুয়ারি, ২০১৫
স্কোরকার্ড |
ব
|
এসিটি আমন্ত্রিত একাদশ
১৪৮ (৩২.৪ ওভার) | |
- ইংল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- প্রতি দলে ১৫ খেলোয়াড়) (১১ ব্যাটিং, ১১ ফিল্ডিং)
১৪ জানুয়ারি
স্কোরকার্ড |
ব
|
প্রধানমন্ত্রী একাদশ
৩৩১ (৪৮.১ ওভার) | |
- ইংল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- একদিনের খেলায় ১৮৭ রান করে ইংরেজদের মধ্যে ইয়ান বেল নতুন রেকর্ড গড়েন।[৪]
গ্রুপ-পর্ব
[সম্পাদনা]দল | খেলা | জয় | পরাজয় | টাই | ফলাফল হয়নি | বোনাস পয়েন্ট | পয়েন্ট | নেট রান রেট |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
অস্ট্রেলিয়া | ৪ | ৩ | ০ | ০ | ১ | ১ | ১৫ | +০.৪৬৭ |
ইংল্যান্ড | ৪ | ২ | ২ | ০ | ০ | ১ | ৯ | +০.৪২৫ |
ভারত | ৪ | ০ | ৩ | ০ | ১ | ০ | ২ | −০.৯৪২ |
পয়েন্ট পদ্ধতি:[৫]
প্রতিযোগিতায় দলসমূহের পয়েন্ট সমান হলে চূড়ান্ত খেলায় অংশগ্রহণের জন্য নিম্নবর্ণিত বিষয়াবলী অনুসরণ করা হবে:
- সর্বোচ্চসংখ্যক জয়
- পয়েন্ট ও জয় যদি সমান থাকে - প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চসংখ্যক জয়
- যদি সমান থাকে - সর্বোচ্চসংখ্যক বোনাস পয়েন্ট
- যদি সমান থাকে - সর্বোচ্চ নেট রান রেট
খেলায় ফলাফল না এলে রান রেট প্রযোজ্য হবে না।
- জয়সহ বোনাস পয়েন্ট : ৫
- বোনাস পয়েন্টবিহীন জয় : ৪
- পরাজয় : ০
- ফলাফল হয়নি : ১
- টাই : ১
খেলা
[সম্পাদনা]ব
|
||
- ইংল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- অস্ট্রেলিয়া জয়লাভ করায় এক পয়েন্ট বোনাস পায়।
ব
|
||
- ভারত টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে গুরিন্দার সান্ধু'র একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে।
- অশালীন আচরণের অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নারের ম্যাচ ফি'র ৫০% জরিমানা হয়। এছাড়াও, দলের ধীরগতিতে ওভার করার কারণে অধিনায়ক জর্জ বেইলিকে ম্যাচ ফি'র ২০% জরিমানাসহ পরবর্তী খেলায় অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়।[৬]
ব
|
||
- ভারত টসে জয়ী হয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- ভারতের রান রেটের তুলনায় ১.২৫ বেশি নিয়ে ইংল্যান্ড বোনাস পয়েন্ট লাভ করে।
ব
|
||
- অস্ট্রেলিয়া টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- ইংল্যান্ডের ইনিংসের শেষ তিন বলে অস্ট্রেলিয়া দলগত হ্যাট্রিক করে।
- একদিনের আন্তর্জাতিকে ইংল্যান্ডের পক্ষে ইয়ান বেল শীর্ষস্থানীয় রান সংগ্রহকারী হন।[৭]
- খেলার ফলাফলে অস্ট্রেলিয়া ফাইনালে খেলার যোগ্যতা লাভ করে।
ব
|
||
- অস্ট্রেলিয়া টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- বৃষ্টির জন্য খেলা দেরীতে শুরু হয়। ওভার সংখ্যা কমিয়ে খেলা শুরুর পর ভারতীয় ইনিংসে ১৬ ওভার পর খেলা বন্ধ রাখা হয়।
ব
|
||
- ইংল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
- ইংল্যান্ড এই ম্যাচের ফলাফলের হিসাবে ফাইনালের জন্য যোগ্যতা করে।
ফাইনাল
[সম্পাদনা]ব
|
||
- ইংল্যান্ড টসে জয়ী হয়ে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
পরিসংখ্যান
[সম্পাদনা]সর্বাধিক রান
[সম্পাদনা]খেলোয়াড় | দল | রান | ইনিংস | গড় | এস/আর | সর্বোচ্চ | ১০০ | ৫০ |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ইয়ান বেল | ইংল্যান্ড | ২৪৭ | ৫ | ৬১.৭৫ | ১০৩.৩৪ | ১৪১ | ১ | ১ |
স্টিভ স্মিথ | অস্ট্রেলিয়া | ২২৬ | ৪ | ৭৫.৩৩ | ৯২.৬২ | ১০২* | ১ | ০ |
ডেভিড ওয়ার্নার | অস্ট্রেলিয়া | ১৬৩ | ৩ | ৫৪.৩৩ | ১০৫.১৬ | ১২৭ | ১ | ০ |
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল | অস্ট্রেলিয়া | ১৫২ | ৪ | ৩৮.০০ | ৯৪.৪০ | ৯৫ | ০ | ১ |
জেমস টেলর | ইংল্যান্ড | ১৪৭ | ৫ | ৩৬.৭৫ | ৬৭.১২ | ৮২ | ০ | ২ |
উৎস:[৮]
সর্বাধিক উইকেট
[সম্পাদনা]খেলোয়াড় | দল | উইকেট | খেলা | গড় | এস/আর | ইকোনোমি | ইনিংসে সেরা |
---|---|---|---|---|---|---|---|
মিচেল স্টার্ক | অস্ট্রেলিয়া | ১২ | ৫ | ১৬.৩৩ | ১৯.৯০ | ৪.৯২ | ৬/৪৩ |
স্টিভেন ফিন | ইংল্যান্ড | ১১ | ৫ | ২১.৩৬ | ২৫.০০ | ৫.১০ | ৫/৩৩ |
ক্রিস উকস | ইংল্যান্ড | ৮ | ৫ | ৩৩.৬২ | ৩৩.০০ | ৬.১১ | ৪/৪০ |
জেমস অ্যান্ডারসন | ইংল্যান্ড | ৭ | ৪ | ১৯.৪২ | ৩২.১০ | ৩.৬২ | ৪/১৮ |
মইন আলী | ইংল্যান্ড | ৭ | ৫ | ২৮.৫৭ | ৪১.১০ | ৪.১৬ | ২/৩৫ |
উৎস:[৯]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Australia Tri-Series schedule
- ↑ "Cricket World Cup: England recall Gary Ballance to one-day squad"। ২০ ডিসেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০১৪।
- ↑ ক খ "Warner rested, White and Marsh called up"। ২০ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Brilliant Bell tolls in high-scoring win"। ecb.co.uk। England and Wales Cricket Board। ১৪ জানুয়ারি ২০১৫। ১৮ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ Points table
- ↑ "David Warner defends 'speak English' comment to Rohit Sharma"। BBC Sport। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Australia vs England Live Score, 4th ODI: Ian Bell becomes leading run-scorer for England in ODIs"। Cricket County। ২৩ জানুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Carlton Mid One-Day International Tri-Series, 2014/15 / Records / Most runs"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Carlton Mid One-Day International Tri-Series, 2014/15 / Records / Most wickets"। ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৫।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Series home at ESPNcricinfo