১৯৯৮ আইসিসি নক-আউট ট্রফি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
১৯৯৮ আইসিসি নক-আউট ট্রফি
তত্ত্বাবধায়কআন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল
ক্রিকেটের ধরনএকদিনের আন্তর্জাতিক
প্রতিযোগিতার ধরননক-আউট
আয়োজক বাংলাদেশ
বিজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা (১ম শিরোপা)
অংশগ্রহণকারী দলসংখ্যা
খেলার সংখ্যা
প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড়দক্ষিণ আফ্রিকা জ্যাক ক্যালিস
সর্বাধিক রান সংগ্রহকারীক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফিলো ওয়ালেস (২২১)
সর্বাধিক উইকেটধারীদক্ষিণ আফ্রিকা জ্যাক ক্যালিস (৮)
আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইটICC-Cricinfo Tournament website

১৯৯৮ আইসিসি নক-আউট ট্রফি (ইংরেজি: 1998 ICC KnockOut Trophy) সম্প্রচারসত্ত্বের কারণে ক্রিকেটেরপ্রতিযোগিতাটি উইলস ইন্টারন্যাশনাল কাপ নামে পরিচিত।[১] আইসিসি কর্তৃক আয়োজিত একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী এ প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র টেস্ট ক্রিকেটের সাথে যুক্ত দলগুলো অংশগ্রহণ করে। পরবর্তী প্রতিযোগিতাগুলো আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নামে পরিচিতি পেয়েছে।

চূড়ান্ত খেলায় দক্ষিণ আফ্রিকা ১৮ বল বাকী রেখে ৪ উইকেটের ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পরাভূত করে চ্যাম্পিয়ন হয়।[২]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

আইসিসি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বাইরে দলগুলোতে ক্রিকেট খেলার উন্নয়নে তহবিল বৃদ্ধিকল্পে সংক্ষিপ্ত ক্রিকেট প্রতিযোগিতারূপে এ প্রতিযোগিতা আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।[৩] পরবর্তীতে প্রতিযোগিতাটি ক্ষুদ্রাকৃতির বিশ্বকাপ ক্রিকেটে রূপান্তরিত হয়, যাতে আইসিসি’র পূর্ণাঙ্গ সদস্যভূক্ত দেশসমূহ জড়িত হয়। এছাড়াও, নক-আউটভিত্তিক প্রতিযোগিতা হওয়ায় খুবই স্বল্পকালীন সময়ের জন্য অনুষ্ঠিত হয়। ফলে, বিশ্বকাপের গুণগতমান ও গুরুত্বতায় কোন প্রভাব পড়েনি।

মাঠ[সম্পাদনা]

বাংলাদেশে ক্রিকেটের মানোন্নয়নের লক্ষ্যেই আইসিসি কর্তৃক প্রতিযোগিতা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। ঐ সময়ে বাংলাদেশ টেস্টখেলুড়ে দেশের মর্যাদা না পাবার ফলে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেনি। কিন্তু স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত দেশে প্রতিযোগিতা আয়োজন বেশ হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছিল।[৪] তারপরও বাংলাদেশ সরকারের সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিযোগিতাটি সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মাধ্যমে ১০% অর্থ প্রধানমন্ত্রীর বন্যা ত্রাণ তহবিলে দান করা হয়।[৫]

সবগুলো খেলাই বাংলাদেশের প্রধান ও জাতীয় স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

সময়সূচী[সম্পাদনা]

সরাসরি নক-আউট পদ্ধতিতে দলগুলোর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সময়ে টেস্টখেলুড়ে দলের সংখ্যা ৯ হওয়ায় সর্বনিম্ন স্থানের অধিকারী দু’টি দল যোগ্যতা নির্ধারণী খেলায় অংশগ্রহণ করে। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দলের অবস্থানের উপর র‌্যাঙ্কিং করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। বড় দলগুলোর সমর্থকদের কথা বিবেচনায় এনে ড্র অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।[৬] চূড়ান্ত খেলা অনুষ্ঠানের সময়সূচীতে নিউজিল্যান্ডকে প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ের মোকাবেলা করার বিষয়টিই প্রাধান্য পায় বেশি।[৭]

ফলাফল[সম্পাদনা]

 
প্রাথমিক খেলা
 
  
 
২৪ অক্টোবর - বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা
 
 
 জিম্বাবুয়ে২৫৮/৭
 
 
 নিউজিল্যান্ড২৬০/৫
 

পরদিন প্রতিযোগিতার মূল নক-আউট পদ্ধতি শুরু হয়।

 
কোয়ার্টার-ফাইনালসেমি-ফাইনালফাইনাল
 
          
 
২৫ অক্টোবর - বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা
 
 
 ইংল্যান্ড২৮১/৭
 
৩০ অক্টোবর - বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা
 
 দক্ষিণ আফ্রিকা২৮৩/৪
 
 দক্ষিণ আফ্রিকা২৪০/৭
 
২৬ অক্টোবর - বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা
 
 শ্রীলঙ্কা১৩২
 
 নিউজিল্যান্ড১৮৮
 
১ নভেম্বর - বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা
 
 শ্রীলঙ্কা১৯১/৫
 
 দক্ষিণ আফ্রিকা২৪৮/৬
 
২৮ অক্টোবর - বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা
 
 ওয়েস্ট ইন্ডিজ২৪৫
 
 ভারত৩০৭/৮
 
৩১ অক্টোবর - বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা
 
 অস্ট্রেলিয়া২৬৩
 
 ভারত২৪২/৬
 
২৯ অক্টোবর - বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকা
 
 ওয়েস্ট ইন্ডিজ২৪৫/৪
 
 ওয়েস্ট ইন্ডিজ২৮৯/৯
 
 
 পাকিস্তান২৫৯/৯
 

খেলার সার-সংক্ষেপ[সম্পাদনা]

প্রথম-পর্ব[সম্পাদনা]

২৪ অক্টোবর, ১৯৯৮
স্কোরকার্ড
 জিম্বাবুয়ে
২৫৮/৭ (৫০ ওভার)
বনাম
নিউজিল্যান্ড 
২৬০/৫ (৫০ ওভার)
  • জয়ের ফলে নিউজিল্যান্ড প্রাথমিক-পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে

কোয়ার্টার ফাইনাল[সম্পাদনা]

২৫ অক্টোবর, ১৯৯৮
স্কোরকার্ড
 ইংল্যান্ড
২৮১/৭ (৫০ ওভার)
বনাম
দক্ষিণ আফ্রিকা 
২৮৩/৪ (৪৬.৪ ওভার)
অ্যাডাম হলিউক ৮৩ (৯১)
জ্যাক ক্যালিস ৩/৪৮ (১০ ওভার)

২৬ অক্টোবর, ১৯৯৮
স্কোরকার্ড
 নিউজিল্যান্ড
১৮৮ (৪৯.৫ ওভার)
বনাম
শ্রীলঙ্কা 
১৯১/৫ (৪১.৩ ওভার)

২৮ অক্টোবর, ১৯৯৮
স্কোরকার্ড
 ভারত
৩০৭/৮ (৫০ ওভার)
বনাম
অস্ট্রেলিয়া 
২৬৩/১০ (৪৮.১ ওভার)
মার্ক ওয়াহ ৭৪ (৭৯)
শচীন তেন্ডুলকর ৪/৩৮ (৯.১ ওভার)

২৯ অক্টোবর, ১৯৯৮
স্কোরকার্ড
 ওয়েস্ট ইন্ডিজ
২৮৯/৯ (৫০ ওভার)
বনাম
পাকিস্তান 
২৫৯/৯ (৫০ ওভার)
ফিলো ওয়ালেস ৭৯ (৫৮)
ওয়াসিম আকরাম ৩/৫৫ (১০ ওভার)
ইজাজ আহমেদ ৫১ (৬৪)
কিথ আর্থারটন ৪/৩১ (১০ ওভার)

সেমি-ফাইনাল[সম্পাদনা]

৩০ অক্টোবর, ১৯৯৮
স্কোরকার্ড
 দক্ষিণ আফ্রিকা
২৪০/৭ (৩৯ ওভার)
বনাম
শ্রীলঙ্কা 
১৩২ (২৩.৪)
জ্যাক ক্যালিস ১১৩* (১০০)
নুয়ান জয়সা ২/৩৪ (৬ ওভার)
  • বৃষ্টিজনিত খেলা দেরীতে শুরু হয় এবং ৩৯ ওভারে নির্ধারণ করা হয়।
  • পুনরায় বৃষ্টি নামলে ডি/এল পদ্ধতিতে জয়ের জন্য ৩৪ ওভারে ২২৪ রান নির্ধারণ করা হয়।

৩১ অক্টোবর, ১৯৯৮
স্কোরকার্ড
 ভারত
২৪২/৬ (৫০ ওভার)
বনাম
ওয়েস্ট ইন্ডিজ 
২৪৫/৪ (৪৭ ওভার)
সৌরভ গাঙ্গুলী ৮৩ (১১৬)
মারভিন ডিলন ৩/৩৮ (৮ ওভার)

ফাইনাল[সম্পাদনা]

১ নভেম্বর, ১৯৯৮
স্কোরকার্ড
 ওয়েস্ট ইন্ডিজ
২৪৫ (৪৯.৩ ওভার)
বনাম
দক্ষিণ আফ্রিকা 
২৪৮/৬ (৪৭ ওভার)
ফিলো ওয়ালেস ১০৩ (১০২)
জ্যাক ক্যালিস ৫/৩০ (৭.৩ ওভার)
হানসি ক্রনিয়ে ৬১* (৭৭)
ফিল সিমন্স ২/৪৫ (৮ ওভার)
  • আইসিসি আয়োজিত প্রতিযোগিতাসমূহে প্রথম ও অদ্যাবধি একমাত্র শিরোপা লাভ করে  দক্ষিণ আফ্রিকা

পরিসংখ্যান[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "The Mini World Cup, 1998–99 – When cricket really was the winner"Cricinfo, Wisden Cricketers' Almanack। ২০০০। ২০০৯-০৪-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-১৪ 
  2. "ICC Champions Trophy, 1998 Scorecard". Cricinfo.com. Retrieved 2013-01-31.
  3. "Curtain falls amid high ICC hopes"Cricinfo। ২ নভেম্বর ১৯৯৮। ২০০৯-০৫-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-২১ 
  4. "South Asia Bangladesh floods rise again"। BBC। ২৪ আগস্ট ১৯৯৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-২১ 
  5. "Ten percent for PM's relief fund"Cricinfo। ২ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮। ২০০৭-০৩-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-২১ 
  6. "ICC's business interest given prominence"Cricinfo। ২২ আগস্ট ১৯৯৮। ২০০৯-০৫-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-১৯ 
  7. "Black Caps must qualify"Cricinfo। ২৪ আগস্ট ১৯৯৮। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-১৯ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]