হায়াত বকশি মসজিদ
হায়াত বকশি মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থা | সক্রিয় |
অবস্থান | |
অবস্থান | হায়দ্রাবাদ, তেলেঙ্গানা, ভারত |
রাজ্য | তেলেঙ্গানা |
দেশ | ভারত |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ এবং সংলগ্ন ক্যারাভানসরাই |
স্থাপত্য শৈলী | ইন্দো-ইসলামিক স্থাপত্য |
সম্পূর্ণ হয় | ১৬৭২ খ্রি |
উপাদানসমূহ | গ্রানাইট |
হায়াত বকশি মসজিদ (এছাড়াও হায়াত বকশি বেগম মসজিদ বা হায়াতনগর গ্র্যান্ড মসজিদ নামে পরিচিত) ভারতের হায়দ্রাবাদের নিকটবর্তী হায়াতনগরে অবস্থিত একটি মসজিদ।[১] ১৬৭২ সালে গোলকুন্ডার পঞ্চম সুলতান আবদুল্লাহ কুতুব শাহের রাজত্বকালে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে।[২][৩]
গোলকোন্ডা সুলতানতের ষষ্ঠ সুলতান মুহাম্মদ কুতুব শাহের রানী হায়াত বকশি বেগমের নামানুসারে মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে। "কুতুব শাহি সমাধি"-এ একই নামে আরও একটি মসজিদ রয়েছে।
কাঠামো এবং স্থাপত্য
[সম্পাদনা]মসজিদটি কুতুব শাহী স্থাপত্যে নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ক্যারাভানসরাই রয়েছে, যা ক্লান্ত ভ্রমণকারীদের জন্য বিশ্রামাগার হিসাবে ব্যবহার হয়। মসজিদে পাঁচটি খিলান, দুটি মিনারের পাশাপাশি কোণা বরাবর বারো-পার্শ্বযুক্ত মিনার রয়েছে। মসজিদের ছাদে কারুকার্য এবং প্রাচীরগুলো শক্তিশালী করা হয়েছে। প্রার্থনা ঘরটি উঁচু মাচার উপর স্থাপিত। মাচার পূর্ব দিকে এবং মসজিদের নীচে অজু করার জন্য একটি দীঘি রয়েছে। মসজিদটি প্রায় ৫ একর জমির উপর স্থাপিত। ক্যারাভানসরাইের (বিশ্রামাগার) উঠানটি ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৩০ মিটার প্রস্থবিশিষ্ট। এই বিশ্রামাগারে ১৩০টি কক্ষ রয়েছে বলে জানা যায়। মসজিদের উত্তর-পূর্ব দিকে হাতি বাওলি নামক বিশাল কুয়া রয়েছে।[২][৪]
বিতর্ক
[সম্পাদনা]২০০৯ সালের মে মাসে, হায়দরাবাদ পৌরসভা প্রাচীন স্মৃতিসৌধ ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা ১৯৬০ আইন অমান্য করে প্রত্নতত্ত্ব ও যাদুঘর বিভাগের নিকট হায়াত বকশী বেগম মসজিদের ২০টি কাঠামো ভেঙে ফেলার অনুমতি চায়।[৫]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Photo-docu of monuments begins"। The Hindu। ৯ নভেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
- ↑ ক খ "Hayat Bakshi Begum Mosque in Hayath Nagar India"। India9.com। ২০০৫-০৬-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৫-০৯।
- ↑ "hayat Bakshi begum masjid"। gigapan। ২০১০-০৮-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৫-০৯।
- ↑ Gopalan, Madhumita (২০১৬-০৪-২৩)। "Photo essay: Hayath Bakshi Begum- The hand of the king, three times over"। The News Minute। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-২৩।
- ↑ "Structures around mosque to be razed"। Times Of India। ২০০৯-০৫-২৫। ২০১১-০৯-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৫-০৯।