হায়াত বকশি বেগম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হায়াত বকশি বেগম
মৃত্যুফেব্রুয়ারি ২৬, ১৬৬৭
সমাধি
দাম্পত্য সঙ্গীসুলতান মুহাম্মদ কুতুব শাহ
বংশধরআবদুল্লাহ কুতুব শাহ সহ ৩ জন
পিতামুহাম্মদ কুলি কুতুব শাহ

হায়াত বকশি বেগম (মৃত্যু ফেব্রুয়ারি ২৬, ১৬৬৭) গোলকোন্ডা সুলতানতের ষষ্ঠ সুলতান মুহাম্মদ কুতুব শাহের রানী ছিলেন। ১৭২৬ সালে চৌদ্দ বছর বয়সে যখন তার পুত্র আবদুল্লাহ কুতুব শাহকে সুলতান করা হয়, তিনি তাঁর রাজত্বের প্রথম কয়েক বছর রিজেন্টের দায়িত্ব পালন করেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই রাজ্যে যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করে চলেছিলেন।[১]

জীবনী[সম্পাদনা]

তার নামানুসারে হায়াত বকশি মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে
কুতুব শাহি সমাধিতে হায়াত বকশি বেগমের সমাধি
হায়াত বকশি বেগমের সমাধি

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

তিনি মুহাম্মদ কুলি কুতুব শাহের একমাত্র কন্যা ছিলেন। মুহাম্মদের কোন পুত্রসন্তান ছিল না, এবং তার কন্যাকে তার ভাস্তি সুলতান মুহাম্মদ কুতুব শাহের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী করার সিদ্ধান্ত নেন।[২]

১৬০৭ সালে তিনি সুলতান মুহাম্মদকে বিয়ে করেন।[২] ১৬১২ সালের ১৬ জানুয়ারিতে যখন মুহাম্মদ কুলি মারা গেলেন সুলতান মুহাম্মদ সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং তিনি রানী হন। সুলতান মুহাম্মদ প্রায়শই পরামর্শের জন্য হায়াতের দিকে ফিরে আসতেন।

শাসন[সম্পাদনা]

১৬২৬ সালে সুলতান মুহাম্মদ মারা যান এবং হায়াতের পুত্র আবদুল্লাহ কুতুব শাহ সুলতান হয়। নতুন সুলতান হিসেবে তার বয়স ছিল চৌদ্দ বছর এবং হায়াত তাঁর রাজত্বের প্রথম কয়েক বছর রাজত্বক হিসাবে শাসন করেছিলেন এবং তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রাজ্যে যথেষ্ট প্রভাব ফেলতেন।[১][৩]

তিনি ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৬৬৭ সালে মারা যান।[৪] তাকে কুতুব শাহি সমাধিতে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। তাঁর সমাধিটি একমাত্র মহিলার সমাধি যা রাজাদের সমাধির সমান।[১]

উত্তরাধিকার[সম্পাদনা]

২০১৯ সালে, আইআইটি হায়দ্রাবাদ হায়াত বকশি বেগমকে নিয়ে মা সাহেবা - হায়দরাবাদের রানী নামে একটি ভার্চুয়াল রিয়ালিটি চলচ্চিত্র প্রকাশ করেছে।[৫][৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Haig, Thomas Wolseley (১৯০৭)। Historic Landmarks of the Deccan। পৃষ্ঠা 62–63। 
  2. Khan, Md. Abdul Wali (১৯৬১)। Ramesan, N., সম্পাদক। Qutub Shahi Coins in the Andhra Pradesh Government Museum (ইংরেজি ভাষায়)। Government of Andhra Pradesh। পৃষ্ঠা 8। 
  3. Siddiqi, Abdul Majeed (১৯৫৬)। History of Golcunda (ইংরেজি ভাষায়)। Literary Publications। পৃষ্ঠা 135, 145, 390। 
  4. Bilgrami, Syed Ali Asgar (১৯২৭)। Landmarks Of The Deccan। পৃষ্ঠা 55, 169। 
  5. Somasekhar, M.। "IIT-H brings out historical narrative of Begum Hayat Bakshi with virtual reality"@businessline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-০৩ 
  6. Lasania, Yunus Y. (২০১৯-১০-০৯)। "Now, learn about Hyderabad's Hayat Bakshi Begum through VR experience"mint (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-০৩