খায়রুল মানাজিল
খায়রুল মানাজিল | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | নয়া দিল্লি, ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২৮°৩৬′২৭″ উত্তর ৭৭°১৪′২১.৮৪″ পূর্ব / ২৮.৬০৭৫০° উত্তর ৭৭.২৩৯৪০০০° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
সৃষ্টিকারী | মহাম আঙ্গা |
সম্পূর্ণ হয় | ১৫৬১ |
খায়রুল মানাজিল বা খাইর-উল-মানাজিল (অর্থ: বাড়িগুলির মধ্যে সবচেয়ে উত্তম) হল একটি ঐতিহাসিক মসজিদ যা ১৫৬১ সালে ভারতের নয়া দিল্লিতে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটি মথুরা রোডে পুরাণ কিলার বিপরীতে, দক্ষিণ-পূর্বে শেরশাহ গেট পর্যন্ত অবস্থিত। মসজিদের প্রবেশদ্বারটি মুঘল স্থাপত্য অনুসরণ করে লাল বেলেপাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল, তবে ভবনটির অভ্যন্তরীণ কাঠামো দিল্লি সালতানাতের আদলে তৈরি করা হয়েছিল।[১]
বর্তমানে মসজিদটি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই) দ্বারা সুরক্ষিত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]এই কাঠামোটি আকবর-এর দরবারের অন্যতম প্রভাবশালী এবং শক্তিশালী মহিলা মহাম আঙ্গা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল যিনি সম্রাট আকবরের ভেজা নার্স তথা ধাত্রীজননী ছিলেন।[২] বলা হয়ে থাকে ১৫৬৪ সালে, আকবর নিজামউদ্দিন দরগাহ থেকে ফেরার সময় মসজিদের কাছে একজন আততায়ীর দ্বারা আক্রান্ত হন । পরে এটি মাদরাসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[৩] বর্তমানে ভবনটি ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ-এর সুরক্ষায় রয়েছে ।[১]
খসরুর মৃত্যুর প্রায় দুশো দশ বছর পর কেন্দ্রীয় ফটকের খিলানের উপরে মার্বেল ফলকে খোদাই করা ফারসি ভাষার এপিগ্রাফিটি সম্রাট আকবরের দরবারের ইতিহাসবিদ ও কবি মাওলানা শিহাবুদ্দিন আহমদ খান (ছদ্মনাম: বাজিল) দ্বারা লেখা একটি ক্রোনোগ্রাম, যিনি হজরত নিজামুদ্দিনের মাজারে আমির খসরুর সমাধিসৌধের উপর প্রশংসার সুরকার হিসেবেও স্বীকৃত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] আরবীতে "খায়রুল মানাযিল" শব্দ গঠনের অক্ষরগুলি যখন আবজাদ নিয়মের দ্বারা তাদের সংখ্যার সমতুল্য অনুবাদ করা হয় এবং হিজরি সাল ৯৬৯ সালের সংখ্যাগুলি ১৫৬১ খ্রিস্টাব্দের সমতুল্য করার জন্য সংকলিত হয়।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Driving past Khairul Manzil"। indianexpress.com। ২৬ এপ্রিল ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ Kapoor, Cheena (২০১৮-০৮-০৬)। "Neglected Khair-ul-Manazil speaks of glorious past of the Akbar era"। DNA India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-২৭।
- ↑ R.V. Smith। "Gateway to medieval era"। thehindu.com। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ Sir Syed Ahmad Khan "Asaar-us-sanadeed"