সাদিক হাসান রুমি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সাদিক হাসান রুমি
আনুগত্য বাংলাদেশ
সেবা/শাখাবাংলাদেশ সামরিক বাহিনী
পদমর্যাদাঅবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল
নেতৃত্বসমূহ
  • সাবেক মহাপরিচালক- প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই)

সাদিক হাসান রুমি (অবসরপ্রাপ্ত) মেজর জেনারেল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলার ও চট্টগ্রামে দশ ট্রাক অস্ত্র আটক মামলার রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী[১][২][৩][৪]

প্রাথমিক জীবন ও কর্মজীবন[সম্পাদনা]

এসএসসি-১৯৬৭, এইচএসসি ১৯৬৯ দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেছেন। জানুয়ারী ১৯৭৪ সালে সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। ১৯৯৫/৯৬ সালে ডিজিএফআইএর জিএস পদে ও ২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সালের মে পর্যন্ত ডিজি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। [৫]

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা[সম্পাদনা]

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাআওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার উদ্দেশে গ্রেনেড হামলার সময় তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন। গ্রেনেড হামলার সন্দেহভাজন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য এবং সাবেক উপ শিক্ষামন্ত্রী, সাবেক শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও তার ভাই হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর নেতা মাওলানা তাজউদ্দিনকে গ্রেফতার করার জন্য র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান মহাপরিচালক আব্দুল আজিজ সরকার তার সাহায্য চেয়েছিলেন। [৬][৭] তিনি মাওলানা তাজউদ্দিনকে খুঁজার জন্য লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ারদারকে নির্দেশ দেন। লে. কর্নেল (অব.) সাইফুল গ্রেফতার না করে গুলশানের ডিজিএফআই সেফ হাউসে তাজউদ্দীনকে এবং হারকাত উল জিহাদ আল ইসলামির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুস সালামকে আশ্রয় প্রদান করেন। হামলায় তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরো সাদিক হাসান রুমি সহ ডিজিএফআই কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জোয়ারদার তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের নির্দেশে তাজউদ্দীন ও আবদুস সালামকে পাকিস্তান পালাতে সাহায্য করেন। [৮][৯][১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "'Moeen asked Khaleda to leave country'"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৬ 
  2. "'Khaleda took no action'"thedailystar.net। The Daily Star। ৩০ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৬ 
  3. "১০ ট্রাক অস্ত্র: ডিজিএফআই'র রুমির জেরা শুরু"bangla.bdnews24.com। ২০১৯-০৭-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৫ 
  4. "২১ আগস্ট মামলার আলামত পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয় | আদালত | The Daily Ittefaq"archive1.ittefaq.com.bd। ২০১৯-০৭-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৫ 
  5. "ডিজিএফআই'র সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সাদিক হাসান রুমির জেরা"The Daily Sangram। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৫ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "'পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয় ২১ আগস্ট হামলার আলামত'"প্রিয়.কম (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৭-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৫ 
  7. "২১ আগস্ট হামলা বাস্তবায়নে ১১ স্থানে ষড়যন্ত্রমূলক সভা: রাষ্ট্রপক্ষ"চ্যানেল আই অনলাইন (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-১২-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৫ 
  8. "A test for investigators"thedailystar.net। The Daily Star। ১৮ আগস্ট ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৬ 
  9. "How an accused was sent abroad"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১২-০৮-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-১২ 
  10. "'সাক্ষী হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দায় এড়িয়েছেন সাবেক ডিএমপি কমিশনার' | banglatribune.com"Bangla Tribune। ২০১৯-০৭-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর