মো ইয়ান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মো ইয়ান
莫言
২০০৮ সালে
২০০৮ সালে
জন্মগুয়ান মোয়ে (管谟业)
(1955-02-17) ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫ (বয়স ৬৯)
গাওমি, শানডং, চীন
ছদ্মনামমো ইয়ান
পেশালেখক, শিক্ষক
ভাষাচীন
জাতীয়তাচীনা
সময়কাল১৯৮১-বর্তমান
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিরেড সরঘাম,
দ্য রিপাবলিক অব ওয়াইন,
লাইফ এন্ড ডেথ আর ওয়েরিং মি আউট
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারসাহিত্যে নোবেল পুরস্কার (২০১২)
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার কনফারেন্সে মো ইয়ান, স্টকহোম, ২০১২ সাল

গুয়ান মোয়ে (সরলীকৃত চীনা: 管谟业; প্রথাগত চীনা: 管謨業; ফিনিন: Guǎn Móyè; জন্ম: ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫) চীনা ঔপন্যাসিক এবং ছোটগল্প লেখক। তবে, তিনি তার ডাক নাম মো ইয়ান নামেই সমধিক ও বৈশ্বিকভাবে পরিচিত হয়ে আছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক টাইম সাময়িকীতে ডোনাল্ড মরিশন নামীয় এক প্রতিবেদক তাকে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নিষিদ্ধবিহীন লেখক হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বিশ্বব্যাপী চীনা গ্রন্থস্বত্ত্ব লঙ্ঘনকারী লেখকদের চেয়ে ব্যতিক্রমরূপে বর্ণনা করেছেন।[১] তাকে ফ্রাঞ্জ কাফকা অথবা জোসেফ হেলারের চীনের প্রত্যুত্তর হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।[২]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

১৯৫৫ সালে মো ইয়ান শানতুং প্রদেশের ডালন শহরের গাওমি কাউন্টিতে কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। এ ডালন শহরকে তিনি তার উপন্যাসে নর্থ-ইস্ট টাউনশীপ নামে উল্লেখ করেছেন। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় তিনি বিদ্যালয় ত্যাগ করে কারখানায় কাজ নেন। কারখানাটি পেট্রোলিয়াম উৎপাদনে ব্যবহৃত হতো। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের পর তিনি পিপলস লিবারেশন আর্মিতে যোগ দেন।[৩] সৈনিকজীবন শুরুর পর তিনি ১৯৮১ সাল পর্যন্ত একাধারে লিখতে থাকেন। তিন বছর পর তিনি সেনাবাহিনীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের বিভাগে শিক্ষকতার পদে অধিষ্ঠিত হন। ১৯৯১ সালে বেইজিং নর্মাল ইউনিভার্সিটিতে সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।[৩]

সাহিত্য কর্ম[সম্পাদনা]

মো ইয়ান শব্দগুচ্ছের চীনা ভাষায় অর্থ হচ্ছে কথা বলো না। এটি তার ডাক নাম।[৪] জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি জিম লিচের সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ নামকরণ প্রসঙ্গে বলেছেন যে শৈশবে তার বাবা-মা ১৯৫০-এর দশকে চীনের রাজনৈতিক আন্দোলনের সময়ে বাইরে কোন কথা বলতেন না।[২]

পুনর্গঠন এবং জাগরণের সময়ে চীনা ভাষায় কয়েক ডজন ছোট গল্প এবং উপন্যাস প্রকাশের মাধ্যমে লেখক হিসেবে আবির্ভূত হন। তার প্রথম উপন্যাস 'ফলিং রেইন অন এ স্প্রিং নাইট' ১৯৮১ সালে প্রকাশ করেন। অনেক উপন্যাসই পূর্ব এশিয়ান ভাষাবিশারদ ও নটরড্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাওয়ার্ড গোল্ডব্লাটের সহায়তায় ইংরেজিতে অনূদিত হয়ে প্রকাশিত হয়।[৫]

নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তি[সম্পাদনা]

১১ অক্টোবর, ২০১২ সালে সুইডিশ একাডেমি মো ইয়ানের নাম ঘোষণা করে। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদানে 'তার সাহিত্যকর্মে রূপকথা, লোকগাঁথা, ইতিহাস এবং সমসাময়িক ঘটনাকে অলীক বাস্তবতার মাধ্যমে উপস্থাপনের অসাধারণ ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে'।[৬] ৫৭ বছর বয়সে তিনি এই পুরস্কার পান। এর ফলে ১০৯তম ব্যক্তি হিসেবে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও চীনের মূল ভূ-খণ্ডের অধিবাসী হিসেবে তার প্রথম এ পুরস্কারপ্রাপ্তি। তার পূর্বে ২০০০ সালে চীনে জন্মগ্রহণকারী ফ্রান্সের অধিবাসী গাও জিংজিয়ান পুরস্কার লাভ করেছিলেন। সুইডিশ একাডেমির প্রধান পিটার ইংলান্ড বলেছেন, নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির খবর শুনে মো ইয়ান খুবই আনন্দিত এবং উৎফুল্ল হয়েছেন। এ সংবাদ গ্রহণের সময় তার সাথে নিজ বাড়ীতে পিতাও ছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Morrison, Donald (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৫)। "Holding Up Half The Sky"TIME। ২৭ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৫ 
  2. Leach, Jim (২০১১)। "The Real Mo Yan"Humanities32 (1): 11–13।  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  3. Wee, Sui-Lee (১১ অক্টোবর ২০১২)। "China's Mo Yan feeds off suffering to win Nobel literature prize"Reuters। ১২ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১২ 
  4. Ahlander, Johan (১১ অক্টোবর ২০১২)। "China's Mo Yan wins Nobel for "hallucinatory realism""Reuters। ২ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১২ 
  5. Cohorst, Kate (১১ অক্টোবর ২০১২)। "Professor From Notre Dame Translates Nobel Winner's Novels"। University of Notre Dame। ২৯ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১২ 
  6. "The Nobel Prize in Literature 2012 Mo Yan"Nobelprize.org। ১১ অক্টোবর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১২ 

আরো পড়ুন[সম্পাদনা]

  • A Subversive Voice in China: The Fictional World of Mo Yan. Shelley W. Chan. (Cambria Press, 2011).
  • Chinese Writers on Writing featuring Mo Yan. Ed. Arthur Sze. (Trinity University (Texas)#Trinity University Press, 2010).

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]