বরিস লেয়োনিদভিচ পাস্তের্নাক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বরিস পাস্তের্নাক
বরিস পাস্তের্নাক, ১৯৩৪
বরিস পাস্তের্নাক, ১৯৩৪
জন্মবরিস লেয়োনিদভিচ পাস্তের্নাক
১০ ফেব্রুয়ারি [পুরোনো শৈলীতে ২৯ জানুয়ারি] ১৮৯০
মস্কো, রুশ সাম্রাজ্য
মৃত্যু৩০ মে ১৯৬০(1960-05-30) (বয়স ৭০)
প্রেদেল্কিনো, মস্কো, সোভিয়েত ইউনিয়ন
পেশাকবি, লেখক
জাতীয়তারুশ
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিমাই সিস্টার, লাইফ, দ্য সেকেন্ড বার্থ (দ্বিতীয় জন্ম), ডক্টর জিভাগো
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারসাহিত্যে নোবেল পুরস্কার
১৯৫৮

স্বাক্ষর

বরিস লেয়োনিদভিচ পাস্তের্নাক (রুশ: Бори́с Леони́дович Пастерна́к) (১০ ফেব্রুয়ারি [মতান্তরে ২৯ জানুয়ারি] ১৮৯০-মে ৩০, ১৯৬০) ছিলেন রুশ সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত কবি, ঔপন্যাসিক এবং অনুবাদক। রাশিয়ায় পাস্তের্নাকের কাব্য সমগ্র মাই সিস্টার, লাইফ হচ্ছে রুশ ভাষায় সবচেয়ে প্রভাববিস্তারকারী ও অন্যতম জনপ্রিয় রচনা। গ্যেটে, পেদ্রো কাল্দেরন দে লা বার্কা এবং উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের বহু মঞ্চনাটক তিনি অনুবাদ করেন আর সেসব মঞ্চনাটক এখনও রুশ জনগণের কাছে সমানভাবে জনপ্রিয়।

রাশিয়ার বাইরে পাস্তের্নাক পরিচিত তার ডক্টর জিভাগো উপন্যাসের জন্য। ১৯০৫ সালের রুশ বিপ্লব ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে গ্রন্থটি রচিত। সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রচিন্তার আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় উপন্যাসটি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ১৯৫৭ সালে ইতালির মিলানে এটি প্রকাশিত হয়। তার পরের বছরই এ উপন্যাসের জন্য পাস্তের্নাক সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনিত হন। কিন্তু ব্যাপারটি সোভিয়েত সরকার ভালভাবে নেয় নি। সোভিয়েত সরকারের চাপে এবং তার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি নোবেল পুরস্কার বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। নোবেল কমিটির কাছে লেখা এক পত্রে তিনি উল্লেখ করেন, সোভিয়েত সরকারের প্রতিক্রিয়াই তার পুরস্কার বর্জনের প্রধান কারণ।

১৯৬০ সালে ফুসফুসের ক্যান্সারে তার মৃত্যু হয়।