গ্রাৎসিয়া দেলেদ্দা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গ্রাৎসিয়া দেলেদ্দা
১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে গ্রাৎসিয়া দেলেদ্দা
১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে গ্রাৎসিয়া দেলেদ্দা
স্থানীয় নাম
গ্রাসসিয়া দেলেদ্দা
গ্রাৎসিয়া দেলেদ্দা
জন্মগ্রাৎসিয়া মারিয়া কোসিমা দামিয়ানা দেলেদ্দা
(১৮৭১-০৯-২৭)২৭ সেপ্টেম্বর ১৮৭১
নুওরো, ইতালি
মৃত্যু১৫ আগস্ট ১৯৩৬(1936-08-15) (বয়স ৬৪)
রোম (রোমা), ইতালি
পেশালেখিকা, ঔপন্যাসিক
সাহিত্য আন্দোলনবাস্তববাদ, অবক্ষয়বাদ
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারসাহিত্যে নোবেল পুরস্কার
১৯২৬
দাম্পত্যসঙ্গীপালমিরো মাদেসানি (বি. ১৯০০)
সন্তানসার্দুস মাদেসানি (১৯০১–১৯৩৮)
ফ্রাঞ্চেস্কো মাদেসানি (১৯০৪–১৯৮১)

স্বাক্ষর

গ্রাৎসিয়া মারিয়া কোসিমা দামিয়ানা দেলেদ্দা (ইতালীয়: Grazia Maria Cosima Damiana Deledda; আ-ধ্ব-ব: [ˈɡrattsja deˈlɛdda]; ২৭শে সেপ্টেম্বর, ১৮৭১ - ১৫ই আগস্ট, ১৯৩৬) একজন প্রখ্যাত ইতালীয় লেখিকা। তিনি সার্দিনীয় ভাষাতে "গ্রাসসিয়া" নামেও পরিচিত।[১][২] তিনি তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য ১৯২৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। গ্রাৎসিয়ার রচনা ভাববাদ বা আদর্শবাদ দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিল ও এগুলিতে তাঁর জন্মস্থান সার্দিনিয়া দ্বীপের মানুষের জীবনের এক প্রাণবন্ত মনোগ্রাহী চিত্র ফুটে উঠেছে। সার্দিনিয়ার অভিজ্ঞতার সারমর্ম তিনি সাহিত্যিকের তুলির আঁচড়ে এঁকে গিয়েছেন। দেলেদ্দার কাহিনীগুলি সার্দিনিয়াতে কেন্দ্রীভূত হলেও এর ভেতরে বিশ্বজনীন অনেক বিষয় গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও সহমর্মিতার সাথে উপস্থাপিত হয়েছে। মানব অস্তিত্বের ব্যাপারে দেলিদ্দার গভীর উপলব্ধি ছিল। সামাজিক ও আবেগিক বহু বিভিন্ন সমস্যাকে তিনি তাঁর রচনার উদ্দিষ্ট করেন। নোবেল পুরস্কারের কারণ হিসেবে এই ব্যাপারগুলিকে উল্লেখ করা হয়।

১৯২৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করে দেলিদ্দা ইতিহাস তৈরি করেন, কেননা তিনিই ছিলেন এই পুরস্কার বিজয়ী প্রথম ইতালীয় নারী। শিল্পকলায় নারীদের অনুপ্রাণিত করতে তাঁর এই পুরস্কার তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাঁর আগে সুয়েডীয় লেখিকা সেলমা লগারল্যোফ (Selma Lagerlöf) ১৯০৯ সালে প্রথম নারী সাহিত্যিক হিসেবে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Gràtzia Deledda"sardegnacultura.it (সার্ডিনিয়ান ভাষায়)। ২০২১-০৫-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৭ 
  2. Serra, Sarvadore (২০১৬-০৯-০৩)। "Gràssia Deledda, unu Nobel sardu a s'Itàlia"Limba Sarda 2.0 (সার্ডিনিয়ান ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-১৭