বাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
৩৪৬ নং লাইন: ৩৪৬ নং লাইন:
{{সূত্র তালিকা}}
{{সূত্র তালিকা}}


[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী সংস্কৃতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশি সংস্কৃতি]]

১০:৪৪, ২ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই নিবন্ধটি বাংলাদেশে পালিত আন্তর্জাতিক, বৈশ্বিক, সরকারী দিবসসমূহের একটি তালিকা। বিশ্ব দিবস তালিকা সাথে বিভ্রান্ত হবে না।

বাংলাদেশে পালিত দিবসসমূহ দ্বারা বোঝানো হচ্ছে বাংলাদেশের স্বকীয় ও বিশ্বব্যাপী পালিত দিবসসমূহকে। এই সবগুলো দিবসের তালিকা নিম্নে প্রণীত হলো। দিবসগুলোর অধিকাংশই প্রায় নিয়মিত পালিত হয় এবং হয়ে আসছে। কিন্তু কিছু কিছু দিবস, বিভিন্ন রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে, প্রতিহিংসাবশত, ঐ রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা চলাকালীন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয় না। আন্তর্জাতিক ও বৈশ্বিক দিবসগুলোর জন্য সরকারি ও আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার প্রেক্ষিতে তা পালিত হয়।

বাংলাদেশের দিবসসমূহ

শুধুমাত্র বাংলাদেশের নিজস্ব দিবসগুলোকে "বাংলাদেশের দিবস" বলা হচ্ছে। এই দিবসগুলো শ্রেফ বাংলাদেশেই পালিত হয়। অবশ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত প্রবাসি বাঙালিরাও এই দিবসগুলো সীমিতাকারে পালন করে থাকেন।

জানুয়ারি

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন দীর্ঘ ১০ মাস কারাভোগের পর ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে স্বদেশে (বাংলাদেশের ভুখন্ডে) ফিরে আসেন, তারই উপলক্ষে এই দিবসটি পালিত হয়।[১]
১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান নামের একজন ছাত্রনেতা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) শাসক আইয়ুবশাহীর পতনের দাবীতে মিছিল করার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। তিনি ১৯৬৯ সালের বাঙালির গণ-আন্দোলনে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের তিন শহীদদের একজন, অন্য দু'জন হচ্ছেন- শহীদ রুস্তমশহীদ মতিউর[২]
১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র-জনতা প্রতিরোধ গড়ে তোলে, মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে নিহত হন নবম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর রহমান। সেই গণঅভ্যুত্থানের স্মরণে এই দিনটি পালিত হয়।[৩]
প্রবাসী প্রকৌশলী সাইফুদ্দাহার শহীদ ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে অ্যাপলের ম্যাকিন্টোশ কম্পিউটারে এদিন প্রথম বাংলা লিখন চালু করেন।[৩]

ফেব্রুয়ারি

প্রতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি পালিত বাংলাদেশের জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের একটি পোস্টার। স্থান: জাতীয় গণগ্রন্থাগার, শাহবাগ, ঢাকা।
২০০১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলনে দিবসটিকে সুন্দরবন দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।[৪]
১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে ড. মো. ইব্রাহিমের উদ্যোগে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই এই দিনটিকে ডায়াবেটিস সচেতনতা তৈরিতে উপজীব্য করা হয়। এছাড়াও প্রতি বছরই ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়।[৫]

মার্চ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের সিদ্ধান্তে জাতীয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম তারিখে শিশু দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ২০১১ খ্রিস্টাব্দ[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] থেকে।
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে পল্টন ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানের উপস্থিতিতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। এই দিবসটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনাস্বরূপ পালিত হয়।[৬]
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে বাঙালিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, যা 'স্বাধীনতার ঘোষণা' হিসেবে সমধিক পরিচিত। ঐ দিন বেশ কয়েকবার সম্প্রচার মাধ্যমগুলোতে এই ঘোষণা প্রচারিত হয় এবং বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধে যোগদান করে। এই যুদ্ধ ঐ বছরই ১৬ ডিসেম্বর সমাপ্ত হয় এবং পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে ও বাংলাদেশ নামক নতুন একটি দেশ আত্মপ্রকাশ করে। এর পর থেকে প্রতি বছর মার্চ মাসের এই দিনটিকে 'স্বাধীনতা ঘোষণার দিবস' বা 'স্বাধীনতা দিবস' হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশে, দুর্যোগ মোকাবিলা করার প্রস্তুতিস্বরূপ এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[৭]

এপ্রিল

বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বর্ষশুরু দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকে।
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে কুষ্টিয়া জেলার (বর্তমান মেহেরপুর জেলা) বৈদ্যনাথতলায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বিপ্লবী সরকার শপথ গ্রহণ করেছিলো।[৮]

মে

ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাধাপ্রাপ্ত জলপ্রবাহের নিমিত্তে বাংলার মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকে লাখো মানুষ ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের সংগ্রামে ফারাক্কা অভিমুখে মিছিলে অংশ নিয়েছিলো। সেই দাবিকে বারে বারে উত্থাপনের লক্ষ্যেই প্রতি বছর দিবসটি পালিত হয়।[৯]
  • জাতীয় নৌ নিরাপত্তা দিবস : ২৩ মে
২০০৪ সালের ২৩ মে বাংলাদেশের চাঁদপুরের কাছে মেঘনা নদীতে ডুবে যায় ফিটনেসবিহীন লঞ্চ এমভি লাইটিং সান। মাদারীপুর থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চটিতে চার শতাধিক যাত্রী ছিলেন যার অধিকাংশের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার চার দিন পর শেষ উদ্ধারকৃত লাশটি ছিল সুমন শামসের মায়ের। এই ঘটনার পর থেকেই শুরু হয় নিরাপদ নৌ চলাচলের নিশ্চয়তার দাবীতে এবং নদ-নদী দখল-দূষণ রোধে সামাজিক সংগঠন নোঙর - এর কার্যক্রম। নোঙর গত ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বহুবিধ কর্মসূচীর মাধ্যমে দিবসটি পালন করছে। নৌ নিরাপত্তা বিষয়ে দেশব্যাপী জনসচেতনতা গড়ে তুলতে সমাজের সকল শ্রেণীর অংশগ্রহণে চলছে নানান কর্মকাণ্ড। গত ২৩ মে ২০১৬ বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর উপস্থিতিতে নৌ নিরাপত্তা বিষয়ক একটি ভাসমান সেমিনারে ২৩ মে জাতীয় নৌ নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবী তোলেন নোঙর সভাপতি সুমন শামস, তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান-কে জানানো হলে তিনি এবং উপস্থিত সবাই এই বিষয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন।[১০][১১][১২]

জুন

তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানীদের শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ৬ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দের এই তারিখে রাস্তায় নেমে আসে লাখো লাখো মানুষ। হরতাল চলাকালে পুলিশের গুলিতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় নিহত হোন অন্তত ১১জন। তাঁদের স্মরণে এবং জাতীয় মুক্তির স্বারকস্বরূপ এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।[১৪]
  • নারী উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধ দিবস বা ইভ টীজিং প্রতিরোধ দিবস : ১৩ জুন
নারী উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরিতে বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারা দেশব্যাপী ২০১০ খ্রিস্টাব্দে ঘোষিত ও প্রথম পালিত হয়।[১৪]

জুলাই

১৯২১ খ্রিস্টাব্দের এই তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়[১৫]
২০০৬ ২০০৬ সালে এই তারিখে বাংলাদেশে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা কার্যকর হয়েছে।[১৬]

আগস্ট

  • দিঘলিয়ার দেয়াড়া গণহত্যা দিবস : ২৭ আগস্ট
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে খুলনার দিঘলিয়ার দেয়াড়া গ্রামে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানী হানাদারদের গুলি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে চালানো গণহত্যায় ৬০ জন নিরপরাধ বাঙালির হত্যা উপলক্ষে পালিত দিবস।[১৭]
১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের এ দিনে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়।

সেপ্টেম্বর

তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী, শিক্ষা-সংকোচনমূলক শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে এবং একটি গণমুখী শিক্ষানীতি চালু করার দাবিতে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলন দমাতে পুলিশ ঢাকার হাইকোর্ট মোড়ে গুলি চালায়। ন্যায্য দাবির জন্য এই গণহত্যার স্মরণে দিবসটি পালিত হয়।[১৮]
  • কৃষ্ণপুর গণহত্যা দিবস : ১৮ সেপ্টেম্বর
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধের সময় এই দিনে হবিগঞ্জের কৃষ্ণপুরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ১২৭জন পুরুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এছাড়া আশেপাশের এলাকাগুলোতে হামলা চালিয়ে আরো প্রায় শতাধিক পুরুষকে হত্যা করে তারা।[১৮]
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আত্মাহুতি দেন। তিনি ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে মাস্টারদা সূর্য সেনের সংস্পর্শে এসে এই সশস্ত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত হোন।[১৮]

অক্টোবর

নভেম্বর

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর এক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী জাতীয় চার নেতাকে। এই চার নেতা হলেন: বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান। এই দিবসটি স্মরণ করে ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস পালিত হয়।[২১]
ঘটনার পরদিনই ৪ নভেম্বর তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, তাঁর নেতৃত্বে চার-পাঁচজন সেনাসদস্য কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে হত্যা করেন। গুলি করে নেতাদের হত্যা করা হয়। পরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে বাংলাদেশের সর্বদিক দিয়ে সামরিক বাহিনীসহ তৎকালীন বাঙালি আপামর জনতা একত্রে আক্রমণ করে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানী হানাদারদের উপর। এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণ রেখেই অতীতে বিভিন্ন দিবসে পালিত সশস্ত্র বাহিনী দিবসকে এই দিনে পালন করা হয়।[২২]
২০০৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে এই দিবস বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে পালিত হয়ে আসছে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

ডিসেম্বর

  • মুক্তিযোদ্ধা দিবস* : ১ ডিসেম্বর এই দিনটি বেসরকারীভাবে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন প্রতিবছর। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস চেতনা পৌছিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে মুক্তিযোদ্ধারা এই দিনটিকে সরকারীভাবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবী জানাচ্ছেন। [২৩]
  • স্বৈরাচার পতন দিবস* বা সংবিধান সংরক্ষণ দিবস : ৬ ডিসেম্বর
১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিলো। পরবর্তীতে এরশাদের রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি এই দিনটিকে 'সংবিধান সংরক্ষণ দিবস' হিসেবে পালন করে।[২২]

দিবসটি প্রথমবার পালিত হয় ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে। ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে ইন্টারনেটে প্রথম বাংলা ব্লগিং-এর সূচনা হয়। মূলত ব্লগিং, বিশেষ করে বাংলায় ব্লগিং-এ আগ্রহী করতেই ব্লগাররা দিবসটি পালন করে আসছেন।[২৪]

* এই দিবসসমূহ সাধারণত রাজনৈতিক ক্ষমতার পালাবদলে নিয়মিত পালিত হয় না।

বৈশ্বিক দিবসসমূহ

বিশ্বের কোনো এক দেশে প্রারম্ভের পর, দিবসটির প্রতিপাদ্যগত সৌন্দর্য্যে বা ফলপ্রদতায় আকৃষ্ট হয়ে বাংলাদেশেও চালু হওয়া দিবসগুলোকে বৈশ্বিক দিবস, বিশ্ব দিবস বা আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।

জানুয়ারি

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত রোগীদের প্রতি করণীয় ও রোগ নিরূপণে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষ রবিবার বিশ্বের ১০০টিরও অধিক দেশে বিশ্ব কুষ্ঠ দিবস পালন করা হয়।[২৫]
ওয়ার্ল্ড কাস্টম্‌স অর্গানাইজেশনের (WCO) অন্যতম সদস্য হিসেবে বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হয়।[৩]

ফেব্রুয়ারি

বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের জন্মবার্ষিকীতে সারা বিশ্বব্যাপী অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারের বিরুদ্ধে দিবসটি পালিত হয়। ক্যালিফোর্নিয়ার প্যালো আলতোর মানবতাবাদী সম্প্রদায় ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম এই দিবসটি পালন শুরু করে, এবং এরপর দিবসটি প্রতিবছর পালিত হয়ে আসছে।[৪]

স্কাউটিং আন্দোলনের প্রবক্তা ব্যাডেন পাওয়েল ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন এবং তাঁরই হাত ধরে ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে স্কাউটিং আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটে। তাই এই দিনটিকে বিশ্বব্যাপী স্কাউট দিবস হিসেবে পালিত হয়।[৫]

মার্চ

সাংবার্ষিকভিত্তিতে মার্চ মাসের ২য় সোমবার কমনওয়েলথভূক্ত দেশসমূহে যথাযোগ্য মর্যাদায় কমনওয়েলথ দিবস পালন করা হয়। সাধারণতঃ অধিভূক্ত দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, কমনওয়েলথ মহাসচিব এবং হাইকমিশনারগণের উপস্থিতিতে মহামান্য রাণী ২য় এলিজাবেথ ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে, লন্ডনে বহুমূখী বিশ্বাসযোগ্য সেবার বার্তা নিয়ে জনসমক্ষে উপস্থিত হন। সেখানে রাণী কমনওয়েলথবাসীদের কাছে তাঁর বক্তব্য পেশ করেন যা বিশ্বব্যাপী সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।[২৭]
১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রাজিলের কুরিতিবা শহরে এক সমাবেশের আয়োজন করে নদীর প্রতি দায়বদ্ধতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়। তাইওয়ান, ব্রাজিল, চিলি, লেসোথো, আর্জেন্টিনা, থাইল্যান্ড, রাশিয়া, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ডযুক্তরাষ্ট্র থেকে অংশগ্রহণ করা লোকজনই সর্বপ্রথম এই দিনে নদীকৃত্য দিবস পালনের ঘোষণা দেন।[২৮]
পাই দিবস বা আপাত পাই দিবস গাণিতিক ধ্রুবক পাই (π)-এর সম্মানে উদযাপনের দিন। পাই-এর মান প্রায় ৩.১৪ বলে প্রতি বছর মার্চ ১৪ (৩/১৪) পাই দিবস হিসাবে পালিত হয়। ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে ল্যারি শ' যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো এক্সপ্রোরেটরিয়ামে সর্বপ্রথম পাই দিবস উদযাপন করেন। তাছাড়া এই দিনে বিজ্ঞানী আইনস্টাইনেরও জন্মদিন।[২৯] তবে আপাত পাই দিবস নানা দিনে পালিত হয়ে থাকে।

এপ্রিল

বিশ্বব্যাপী অটিজম বা মানব-প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে ২০০৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[৭]
২০০২ খ্রিস্টাব্দ থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[৮]
২০০৯ খ্রিস্টাব্দে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মরোলেস-এর প্রস্তাবে এ দিনটিকে বিশ্ব ধরিত্রি দিবস হিসেবে পালনের ব্যাপারে জাতিসংঘ অনুমোদন দেয়।[৮]

মে

জুন

ধারণা করা হয়, ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দের ৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমেন্টের এক গির্জায় দিবসটি প্রথম পালিত হয়। বিশ্বব্যাপী মা দিবসের অনুকরণে বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশার্থে দিবসটি পালিত হয়।[৩১]
২০০০ খ্রিস্টাব্দে জার্মান ব্রেইন টিউমার এসোসিয়েশন এ দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।[১৪]
শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা ও রক্ষাকল্পে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম বন্ধে রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকে একজোটে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করতে এই দিবসটি পালিত হয়। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা দিবসটি পালনের ঘোষণা দেয়।[১৪]
বিশ্বব্যাপী স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীকে বেগবান করতে ও রক্তদাতাদের উৎসাহিত করতে ২০০৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[৩১]

জুলাই

২০১০ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জুলাই থেকে এই দিবসটি বিশ্ব বাঘ দিবস হিসেবে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে।

আগস্ট

১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস প্রতি বছরের প্রথম রবিবারকে বন্ধু দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়।[৩৩]

সেপ্টেম্বর

যে সব মানুষ শারীরিক ভাবে অক্ষম তাদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার লক্ষে সচেতনতার জন্য সারাবিশ্বব্যপী ফিজিওথেরাপিষ্টগন এই দিনটি পালন করে থাকেন | যা ১৯৯৬ সালে ওয়ার্ল্ড কনফেডারেশন ফর ফিজিক্যাল থেরাপী থেকে উৎপত্তি
যানজট, দূষণ ও জ্বালানি ব্যয় কমাতে ইউরোপে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দ থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[১৮] এখন দিবসটি বিশ্বজনীন মর্যাদা পেয়েছে।
১৯৯১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ইউনিসেফের উদ্যোগে শুরু হলেও ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতা-সংগঠন সার্কের উদ্যোগে প্রতি বছর ২৪ সেপ্টেম্বর মীনা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই দিবসটি উপলক্ষে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে শিশুদের জন্য এবং তাদের ভবিষ্যত উন্নতির লক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে।[৩৪]

অক্টোবর

শিক্ষকদের অধিকার নিয়ে ইউনেস্কোআইএলও'র মধ্যকার ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে সই করা চুক্তির প্রেক্ষিতে ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[৩৫]
১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দের ৯ অক্টোবর ২২টি দেশের প্রতিনিধিরা প্রথম আন্তর্জাতিক ডাক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তখন থেকেই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[৩৬]
মানসিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তার লক্ষ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হয়ে থাকে।[৩৬]
১৯৭০ খ্রিস্টাব্দ থেকে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[৩৬]
বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের প্রতি সাধারণ্যের দৃষ্টিকে সংহত করতে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এখন দিবসটি ২০২০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ নিরাময়যোগ্য অন্ধত্বকে নির্মূল করার লক্ষ্যে পলিত হচ্ছে।[৩৬]

নভেম্বর

১৯৯১ খ্রিস্টাব্দ থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[২১]
অতীতে ১ নভেম্বর অথবা ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হতো। কিন্তু ২০১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে সারা বিশ্বে সম্মিলিতভাবে ১২ নভেম্বর দিবসটি পালন শুরু হয়।[২১]

ডিসেম্বর

আন্তর্জাতিক দিবসসমূহ

সাধারণত জাতিসংঘ কর্তৃক চালু করা ও উদযাপিত দিবসগুলোই "আন্তর্জাতিক দিবস" হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বাংলাদেশ, জাতিসংঘের অন্যতম সদস্য হিসেবে এই দিবসগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে থাকে।

জানুয়ারি

ফেব্রুয়ারি

প্রতি বৎসর ৪ঠা ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যান্সার দিবস বা বিশ্ব ক্যান্সার সচেতনতা দিবস পালন করা হয়।
১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো'র প্যারিস অধিবেশনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে বাঙালি জাতির ভাষার জন্যে আত্মাহুতিকে সম্মান জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে দিবসটি প্রথম, সারা বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহে পালন শুরু হয়।[৫]

মার্চ

১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ এই দিনে দিবসটি পালনের ঘোষণা দেয়।[৬]

এপ্রিল

মে

১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটে দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে ধর্মঘট আহ্বান করেছিলেন খেটে খাওয়া শ্রমিকেরা। ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দ থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।[৩৭]
২০১১ খ্রিস্টাব্দের[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ১১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৫৪/১২৯ প্রস্তাবনার আলোকে এই দিনকে বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়।[৩৮]

জুন

১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরোতে সংঘটিত ধরিত্রী সম্মেলনে প্রথম এই দিনটিকে বিশ্ব মহাসাগর দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয় এবং পরবর্তিতে ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ এই দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালনের ঘোষণা দেয়।[১৪]
২০০০ খ্রিস্টাব্দের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ৫৫-৭৯ ভোটে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত হয় এবং ২০০১ খ্রিস্টাব্দের ২০ জুন থেকে দিবসটি পালন শুরু হয়। বিশ্বব্যাপী শরনার্থীদের অমানবিক অবস্থার প্রতি বিশ্ব নের্তৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দিবসটি পালিত হয়।[৩১]
মাদকের ভয়াবহতা রোধে ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘের ৪২তম অধিবেশনে এই তারিখে দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।[১৫]

জুলাই

১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী সমবায়ের মনোভাবকে গুরুত্ব দিতে প্রতিবছর জুলাই মাসের প্রথম শনিবার।আন্তর্জাতিকভাবে সমবায় জোট গড়ে তোলা এই দিবসটির একটি মূল উদ্দেশ্য।[৩২]
১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচীর গভর্নিং কাউন্সিল বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যা বিষয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য দিবসটি চালু করে।[৩২]

আগস্ট

১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ সাব-কমিশনের আদিবাসী জনগণ সম্পর্কিত কর্মগোষ্ঠী তাদের প্রথম সভায় এই তারিখে দিবসটি পালনের জন্য বেছে নেয়। আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার, পরিবেশ উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও গণসচেতনতা তৈরি করাই দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য।[৩৩]

সেপ্টেম্বর

১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো এই দিবসটির ঘোষণা দেয়। ১৯৬৬ খ্রিস্টাব্দে এটি প্রথমবারের মতো পালিত হয়।[১৭]
১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দের ১৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ সভায় দিবসটি নির্বাচন করা হয়।[১৭]
১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধবিরতির উদ্দেশ্যে এ দিবসটি জাতিসংঘের সাধারণ সভার সিদ্ধান্তে প্রথমবারের মতো পালিত হয়।[১৮]

অক্টোবর

১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ২৩ এপ্রিল দিবসটি প্রথম পালিত হলেও পরে ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ কর্তৃক দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।[৩৯]
১৯৯০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ডিসেম্বর তারিখে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জাতিসংঘের হিসাবে বিশ্বে প্রবীণদের সংখ্যা ৭০ কোটি, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৭% প্রবীণ এবং বাংলাদেশের প্রবীণদের ৭৮% বিধবা। জাতিসংঘের সংজ্ঞানুযায়ী ৬০ বছর বয়সোর্ধ্ব ব্যক্তিকে "প্রবীণ" বলা হয়।[৩৫]
১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৪০তম অধিবেশনে এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৮৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে জাতিসংঘ, বসবাড়ির পরিবেশ উন্নয়নে অবদান রাখায় ব্যক্তি ও সংস্থাকে "জাতিসংঘ বসতি পুরস্কার" প্রদান করছে।[৩৫][৪০]
২০০৭ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ১৫ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।[৩৬]

ডিসেম্বর

১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে জাতিসংঘের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দিবসটি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃত লাভ করে এবং এরপর থেকে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে।[২২][৪১] দিবসটি জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত এবং বিশ্বের সর্বত্র পালিত হয়। কিন্তু, দক্ষিণ আফ্রিকায় শার্পেভিল গণহত্যাকে স্মরণ করে দিবসটি পালন করা হয় ২১ মার্চ।[৪২]
অধিকার সংরক্ষণ ও নিজ নিজ দেশের অর্থনীতিতে অবদানের স্বীকৃতির দাবিতে ২০০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। ঐ বছর ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৫৫তম সাধারণ পরিষদের সবায় দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।[২২]

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. জানার আছে অনেক বাকি, A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ; পৃ. ১৪; জানুয়ারি ১৭, ২০১১ খ্রিস্টাব্দ।
  2. গণআন্দোলনের শহীদেরা, দৈনিক কালের কণ্ঠ।
  3. জানার আছে অনেক বাকি, A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ; পৃ. ১৪; জানুয়ারি ৩১, ২০১১ খ্রিস্টাব্দ।
  4. জানার আছে অনেক বাকি, A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ; পৃ. ১৪; ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১১ খ্রিস্টাব্দ।
  5. "জানার আছে বাকি", কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ, পৃষ্ঠা ১৪; ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১।
  6. "জেনারেল কুইজ", A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ; ২৯ মার্চ ২০১০।
  7. কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স:জানার আছে বাকি, বাতিঘর, দৈনিক কালের কণ্ঠ; এপ্রিল ৬, ২০১১ খ্রিস্টাব্দ; পরিদর্শনের তারিখ: ৭ এপ্রিল ২০১১ খ্রিস্টাব্দ।
  8. "জানার আছে বাকি", A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ; ২৬ এপ্রিল ২০১০।
  9. "জেনারেল কুইজ", A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ, ২৪ মে ২০১০।
  10. "গাফিলতির জন্য লঞ্চডুবিতে মানুষের মৃত্যু হত্যাকান্ডের শামিল : ইনু" [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  11. "নৌ-নিরাপত্তায় চলছে ভাসমান সেমিনার" 
  12. "নৌ–নিরাপত্তা নিয়ে ইনুর 'ভাসমান' আলোচনা সভা" 
  13. "ছয় দফা আন্দোলন"উইকিপিডিয়া। ১২ আগস্ট ২০১৭ 12 August 2017। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০১৮  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  14. "জানার আছে বাকি", A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ, ১৪ জুন ২০১০।
  15. "জানার আছে বাকি", A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ; ২৮ জুন ২০১০।
  16. জন্ম নিবন্ধন দিবস পালন সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপন
  17. "জানার আছে বাকি", A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ; ২০ সেপ্টেম্বর ২০১০।
  18. "জানার আছে অনেক বাকি", A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ, ৪ অক্টোবর ২০১০।
  19. "জেনারেল নলেজ", A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ, অক্টোবর ৪, ২০১০।
  20. "মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর"http (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-২৭ 
  21. "জানার আছে অনেক বাকি", A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ, ২২ নভেম্বর ২০১০।
  22. জানার আছে অনেক বাকি, A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ; পৃ. ১৪; ডিসেম্বর ১৩, ২০১০ খ্রিস্টাব্দ।
  23. "১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস ঘোষণার দাবি || শেষের পাতা"জনকন্ঠ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ 2018-12-04T18:25:51Z  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  24. [বাংলা ব্লগ দিবস পালিত http://www.bdnews24.com/bangla/details.php?id=180450&cid=2&aoth=1][স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], বিডিনিউজ২৪.কম; প্রকাশকাল: ২০ ডিসেম্বর ২০১১ খ্রিস্টাব্দ; সংগ্রহের তারিখ: ২০ ডিসেম্বর ২০১১ খ্রিস্টাব্দ।
  25. যুক্তরাজ্যের কুষ্ঠমিশনের ওয়েবসাইট
  26. World Wetlands Day ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ নভেম্বর ২০১০ তারিখে, Wetland.org
  27. কমনওয়েল্‌থ ডে অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ জানুয়ারি ২০১২ তারিখে,ৱ; উদ্ধৃতি: "It is celebrated on the second Monday in March every year."; পরিদর্শনের তারিখ: মে ৫, ২০১১।
  28. "নদীকৃত্য দিবস: একটি জাতীয় নদী চাই", আশরাফুল হক, এম আনোয়ার হোসেন, তুহিন ওয়াদুদ, রাজীব নন্দী, শাহমান মৈশান, হেলাল হোসেন, সুহা সানোয়ার হাবিব; সম্পাদকীয়: দৈনিক প্রথম আলো; ১৪ মার্চ ২০১১ খ্রিস্টাব্দ; পৃষ্ঠা ১২।
  29. "জানার আছে অনেক বাকি", A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ, ২১ মার্চ ২০১১। পৃ. ১৪। পরিদর্শনের তারিখ: আগস্ট ১০, ২০১১ খ্রিস্টাব্দ।
  30. "জেনারেল কুইজ", A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ; ৩ মে ২০১০।
  31. "জানার আছে বাকি", A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ; ২১ জুন ২০১০।
  32. "জানার আছে বাকি", A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ; ১২ জুলাই ২০১০।
  33. "জানার আছে বাকি", A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ; ৯ আগস্ট ২০১০।
  34. মীনা দিবস পালিত, নিজস্ব প্রতিবেদক, দৈনিক প্রথম আলো, ঢাকা থেকে প্রকাশিত। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১; পৃষ্ঠা ৭। সংগ্রহের তারিখ: ৭ অক্টোবর ২০১১।
  35. "জানার আছে বাকি", A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ; ১১ অক্টোবর ২০১০।
  36. "জানার আছে বাকি", A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ; ১৮ অক্টোবর ২০১০।
  37. "জেনারেল কুইজ", A টু Z, দৈনিক কালের কণ্ঠ; ১০ মে ২০১০।
  38. "বিশ্ব শান্তিরক্ষী দিবস: বিশ্বশান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ", সম্পাদকীয়, পৃষ্ঠা ১২, দৈনিক প্রথম আলো; ২৯ মে ২০১২।
  39. বিশ্ব শিশু দিবস ও অধিকার সপ্তাহ: "শিশুরা আছে, দিবস আছে নেই শুধু অধিকার!", শরীফা বুলবুল; ঢাকা, দৈনিক কালের কণ্ঠ, অক্টোবর ৪, ২০১০; পৃষ্ঠা ৩।
  40. "বিশ্ব বসতি দিবস আজ", নিজস্ব প্রতিবেদক, দৈনিক কালের কণ্ঠ, ৪ অক্টোবর ২০১০ খ্রিস্টাব্দ।
  41. মানবাধিকার দিবস, ২০১১, সংগ্রহকালঃ ১০ ডিসেম্বর, ২০১১
  42. "কেন মানবাধিকার দিবস পালন করা হয়?"। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১১