বিষয়বস্তুতে চলুন

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তামিলনাড়ুর সালেমে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০১৪ উপলক্ষে একটি র‍্যালি

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস (১০ অক্টোবর) হল পৃথিবীর সকলের মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা, সচেতনতার দিন।[] এটি ১৯৯২ সালে প্রথমবার পালন করা হয়েছিল।[] কিছু দেশে একে মানসিক রোগ সচেতনতা সপ্তাহের অংশ হিসাবে পালন করা হয় ।[] বিকৃত মানসিক স্বাস্থ্য দেখা দিলে দেরি না করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করা দরকার। মানুষের সুস্থ জীবন যাপন এবং কর্মক্ষেত্রে ঠিকমতো কর্ম সম্পাদন উপযুক্ত মানসিক স্বাস্থ্যের মাধ্যমে সম্ভব। তাই প্রতিটি মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিকমতো বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরী। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে মানব সমাজে যাতে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার এবং সচেতন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিবস।[]

মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য

[সম্পাদনা]

সাধারণত প্রতিবছর মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে আলোচনা, প্রচার এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বছর অনুসারে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে প্রতিপাদ্য নিচে বর্ণনা করা হলো।

  • ১৯৯৪: বিশ্বজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করা।
  • ১৯৯৬: নারী এবং মানসিক স্বাস্থ্য।
  • ১৯৯৭: শিশু এবং মানসিক স্বাস্থ্য।
  • ১৯৯৮: মানসিক স্বাস্থ্য এবং মানবাধিকার।
  • ১৯৯৯: মানসিক স্বাস্থ্য এবং বার্ধক্য।
  • ২০০০-২০০১: মানসিক স্বাস্থ্য এবং কাজ।
  • ২০০২: শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের উপর ট্রমা এবং সহিংসতার প্রভাব।
  • ২০০৩: শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মানসিক ও আচরণগত ব্যাধি।
  • ২০০৪: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে সম্পর্ক: সহ-ঘটমান ব্যাধি।
  • ২০০৫: জীবনকাল জুড়ে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য।
  • ২০০৬: সচেতনতা বৃদ্ধি - ঝুঁকি হ্রাস: মানসিক অসুস্থতা এবং আত্মহত্যা।
  • ২০০৭: পরিবর্তনশীল বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য: সংস্কৃতি এবং বৈচিত্র্যের প্রভাব।
  • ২০০৮: মানসিক স্বাস্থ্যকে বিশ্বব্যাপী অগ্রাধিকার দেওয়া: নাগরিক অধিকার ও পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিষেবা বৃদ্ধি করা।
  • ২০০৯: প্রাথমিক চিকিৎসায় মানসিক স্বাস্থ্য: চিকিৎসা বৃদ্ধি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের প্রচার।
  • ২০১০: মানসিক স্বাস্থ্য এবং দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক অসুস্থতা।
  • ২০১১: দারুন উদ্যোগ: মানসিক স্বাস্থ্যে বিনিয়োগ।
  • ২০১২: বিষণ্ণতা: একটি বিশ্বব্যাপী সংকট।
  • ২০১৩: মানসিক স্বাস্থ্য এবং বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্করা।
  • ২০১৪: সিজোফ্রেনিয়ার সাথে বসবাস।
  • ২০১৫: মানসিক স্বাস্থ্যে মর্যাদা।
  • ২০১৬: মনস্তাত্ত্বিক প্রাথমিক চিকিৎসা।
  • ২০১৭: কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্য:
  • ২০১৮: পরিবর্তিত বিশ্বে তরুণরা এবং মানসিক স্বাস্থ্য।
  • ২০১৯: মানসিক স্বাস্থ্য প্রচার এবং আত্মহত্যা প্রতিরোধ।
  • ২০২০: মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য পদক্ষেপ: মানসিক স্বাস্থ্যে বিনিয়োগ বৃদ্ধি।
  • ২০২১: অসম বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য।
  • ২০২২: সকলের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতাকে বিশ্বব্যাপী অগ্রাধিকার।
  • ২০২৩: মানসিক স্বাস্থ্য একটি সর্বজনীন মানবাধিকার।
  • ২০২৪: কর্মক্ষেত্রে মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার।[]

আরও জানুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Search:বই উদ্ধৃতি|last = Jenkins|first = Rachel|author2 = Lynne Friedli|author3 = Andrew McCulloch|author4 = Camilla Parker|title = Developing a National Mental Health Policy|publisher = Psychology Press|year = 2002|page = 65|isbn = 1-84169-295-6
  2. Search:বই উদ্ধৃতি|last = Watson|first = Robert W.|title = White House Studies Compendium, Volume 5|publisher = Nova Science Publishers|year = 2006|page = 69|isbn = 1-60021-542-4
  3. Search:সংবাদ উদ্ধৃতি|title = Let compassion substitute stigmatisation|publisher = Times of Malta|date = 10 October 2009|url = http://www.timesofmalta.com/articles/view/20091010/opinion/editorial%7Caccessdate = 24 June 2010
  4. "world mental health day"। WHO। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫ 
  5. "প্রতিপাদ্য বিষয়"। WHO। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০২৫