পাকুরিয়া শরীফ কছিমিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পাকুরিয়া শরীফ কছিমিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা, রংপুর
ধরনমাদ্রাসা
স্থাপিত১ জানুয়ারি ১৯৫৭; ৬৭ বছর আগে (1957-01-01)
প্রতিষ্ঠাতাআফজালুল হক পীর সাহেব
অধিভুক্তিইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (২০০৬ – ২০১৬)
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৬ – বর্তমান)
অধ্যক্ষআব্দুল ওহাব
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
২৪ জন
শিক্ষার্থী৬০০
ঠিকানা
পাকুরিয়া শরীফ, গংগাচড়া উপজেলা
, ,
ইআইআইএন১২৭২৭৪
ক্রীড়াক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ইসলামি সংগীত
ওয়েবসাইটপ্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট

পাকুরিয়া শরীফ কছিমিয়া সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসা রংপুর বিভাগের রংপুর জেলার গংগাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের একটি ফাযিল মাদ্রাসা।[১][২] মাদ্রাসাটির ফাজিল শ্রেণী বর্তমানে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রয়েছে।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

মাদ্রাসাটি ১৯৫৭ সালে পীর আফজালুল হক তার পিতা পীর কছিম উদ্দিনের নামে পাকুরিয়া শরীফ গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসায় প্রথম সুপারের দায়িত্ব পালন করেন মাওলানা সাইফুল ইসলাম। মাদ্রাসাটি ১৯৬০ সালে দাখিল এবং ১৯৬৩ সালে আলিম খোলার অনুমতি পায়। পরে ফাযিল খোলা হয়। ২০০৬ সালের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধনী আইন, ২০০৬ মোতাবেক ফাজিল শ্রেণী ১,০৮৬টি ফাযিল মাদ্রাসার সহিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার অধিভুক্ত হয়।[৩] এরপরে ২০১৬ সালে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে মাদ্রাসাটি সেখানে স্থানান্তরিত করা হয়।[৪][৫]

এ মাদ্রাসার লাইব্রেরীতে অনেক দুস্প্রাপ্য গ্রন্থ আছে। এ মাদ্রাসার প্রাক্তন অধ্যক্ষ মাওলানা নজিরুল্লাহ একজন আল্লাহর অলি ছিলেন।[৬]

জমির পরিমাণ[সম্পাদনা]

মাদ্রাসাটি ২.০৭ একর জমির উপর স্থাপিত। মাদ্রাসার ১০.৩৩ একর জমি বাইরে আবাদি হিসাবে আছে।[৭]

ভবনের বিবরণ[সম্পাদনা]

মাদ্রাসায় ৩টি ভবন আছে-

  1. প্রশাসনিক ভবন-১টি।
  2. একাডেমিক ভবন-২টি।

অন্যান্য[সম্পাদনা]

  1. বিজ্ঞানাগার-১টি
  2. কম্পিউটার ল্যাব-১টি
  3. পাঠাগার- ১টি

পোশাক[সম্পাদনা]

ছাত্রের জন্য সাদা পায়জামা, পাঞ্জাবি, টুপি ও জুতা এবং মেয়েদের কালো বোরখা ও সাদা ওড়না। আইডি কার্ড সঙ্গে থাকা বাধ্যতামূলক।

সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড[সম্পাদনা]

মাদ্রাসার অনেক ছাত্র-ছাত্রী জাতীয় পর্যায়ে রচনা, ইসলামি সংগিত, কেরাত ও খেলাধুলা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে বিজয়ী হয়েছে।

ফলাফল[সম্পাদনা]

প্রতিবছর মাদ্রাসাটি বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখে।২০২০ সালে জেডেসিতে ১০০%, দাখিলে ৯৬% এবং আলিমে ১০০% পাশ করে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "PAKURIA SHARIF SE. FAZIL MADRASAH"127274.ebmeb.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৪ 
  2. "গংগাচড়া উপজেলা" |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)http (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৪ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "আলিয়া মাদরাসার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ"lekhapora24.net। ২০২১-০৮-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৭ 
  4. "মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে প্রত্যাশা"SAMAKAL (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৬-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১০ 
  5. "অনার্স কোর্স চালু হচ্ছে আরও ২১ মাদ্রাসায়"Bangla Tribune। ২০২১-০৮-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৬ 
  6. আলম (২০১৩)। গংগাচড়া উপজেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য। রংপুর: লেখক সংসদ। পৃষ্ঠা ১১৪। আইএসবিএন 9789848923450 
  7. "PAKURIA SHARIF SE. FAZIL MADRASAH"127274.ebmeb.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-২৪