টেপা খড়িবাড়ী ইউনিয়ন
টেপাখড়িবাড়ী | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
ডাকনাম: টেপাখড়িবাড়ী ইউপি | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | নীলফামারী জেলা |
উপজেলা | ডিমলা উপজেলা |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | ময়নুল হক |
উচ্চতা[১] | ৫৫ মিটার (১৮০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২৪,০২৭ |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৫৩৫০ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন। ইউনিয়নটি একটি ভারতীয় সীমান্তবর্তী এবং তিস্তা নদীর কোলঘেসা একটি এলাকা। বছরের বিভিন্ন সময়ে তিস্তা নদীর তীররের গ্রাম গুলো বন্যায় প্লাবিত হয়ে থাকে। [২]
অবস্থান
[সম্পাদনা]টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন নীলফামারী জেলার সীমান্তবর্তী একটি অবহেলিত ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের উত্তরে ভারতের কুচবিহার জেলা ও খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন, পূর্বে হাতিবান্ধা উপজেলা, দক্ষিণে খালিশা চাপানী ইউনিয়ন ও গয়াবাড়ী ইউনিয়ন, এবং পশ্চিমে খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন অবস্থিত।
ইউনিয়নের বুক চিরে তিস্তা নদী প্রবাহিত হয়েছে।
প্রশাসনিক এলাকা
[সম্পাদনা]টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন ৪টি মৌজা/গ্রাম নিয়ে গঠিত। মৌজা সমুহ ৯টি প্রশাসনিক ওয়ার্ডে বিভক্ত।
মৌজা সমূহ-
- দক্ষিণখড়িবাড়ী
- উত্তরখড়িবাড়ী
- পূর্বখড়িবাড়ী
- চরখড়িবাড়ী
প্রশাসনিক কাঠামো(ওয়ার্ড) ১. ২. ৩. মোঃ হামিদুল ইসলাম ৪. ৫. ৬. মোঃ সফিয়ার ইসলাম ৭. মোঃ ইয়াছিন আলী ৮. মোঃ ইব্রাহিম আলী ৯. মোঃ জিকরুল ইসলাম
ইতিহাস
[সম্পাদনা]এই এলাকা হয়ে কোচ'রা নিয়মিত পালকি বহন করত।তারা এখানে এসে খুব সতর্ক হয়ে পথ চলত। কারণ অতীতে সমগ্র এলাকা জুড়ে ছিল জঙ্গলের অভয়ারণ্য। এর মধ্যে ছিল ডাকাতির ভয়,বন্যপ্রাণী(শিয়াল,সাপ,বেজি) ও কাঁটাযুক্ত পথে বেয়ে চলতে হত কোচদের। টেপা শব্দের অর্থ; আঙ্গুল বা হাত দিয়ে মালিশ(কাটাযুক্ত ক্ষতস্থানে) বা খুব আস্তে চলা পা টিপে পথচলা সেখান থেকেই "টেপা" আর জঙ্গলের থেকে "খড়ি" এবং রংপুরের আঞ্চলিক ভাষায় নির্দিষ্ট কোন জমিকে "বাড়ী" বলা হয়। এভাবেই টেপাখড়িবাড়ী নামকরণ করা হয়েছে।
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]এ ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা= ২৪,০২৭ জন।[৩]
- মহিলা = ১১,৬১৩ জন।
- পুরুষ = ১১,৪১৪ জন।
শিক্ষা
[সম্পাদনা]টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন অনুন্নত হওয়ায় এখানে তেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। ইউনিয়নে ১ টি দাখিল স্তরের মাদ্রাসা,২টি মাধ্যমিক ১টি নিম্ন মাধ্যমিক, ৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং একটি চাইল্ড কেয়ার কিন্ডারগার্টেন স্কুল এবং বেশকিছু এনজিও স্কুল রয়েছে।[৪]
উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-
- জটুয়াখাতা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়
- টেপাখড়িবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়
- দক্ষিণ খড়িবাড়ী নিম্ন-মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
- মুন্সিপাড়া দাখিল মাদরাসা
- নর্থ বেঙ্গল চাউল্ড কেয়ার কিন্ডারগার্টেন স্কুল ।[৫]
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]এ ইউনিয়নে প্রধান অর্থকরী ফসল ভূট্টা,তিস্তার বেলে দো'য়াশ মাটিতে ভূট্টার ফলন প্রচুর হয়।বোরো,অামন,গম বাদাম ইত্যাদি।এছাড়া চরাঞ্চলে মসলা জাতীয় শস্য যেমন পিঁয়াজ,মরিচ রসুন,কালোজিরা,তিসি,ধনিয়া বেশি হয়। তিস্তার ডানতীরে বেড়িবাঁধে পর্যাপ্ত বাশ উৎপাদন হয়।
হাটবাজার
[সম্পাদনা]এই ইউনিয়ন দেশের সিমান্তবর্তী ও দুর্গম এলাকা হওয়ায় এখানে বড় ধরনের হাট গড়ে উঠেনি,দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে লোকালয়ের সমন্বয় ছোট ছোট বাজার গড়ে উঠেছে।
তিস্তার হাট/বাজার
১/ তেলির বাজার
২/তিস্তাবাজার-
৩/একতা বাজার
৪/আনন্দ বাজার
৫/জিহাদ বাজার
মিনি বাজার
সরদার বাজার
কোম্পানি বাজার
মোল্লা বাজার
তবে এই ইউনিয়ন এর বেশীর ভাগ ইউনিয়নবাসী দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে শুটিবাড়ি বাজার এর উপর নির্ভশীল
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি
[সম্পাদনা]এই ইউনিয়নে অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন।
১)মরহুম এড.তছিরউদ্দিন(জেলার সিনিয়র আইনজীবী,সাবেক সহ সভাপতি, নীলফামারী বারকাউন্সিল) ২)মরহুম মলম উদ্দিন মন্ডল(সমাজ সেবক) ৩)মরহুম হায়দার চেয়ারম্যান ৪)মরহুম জাফর উল্ল্যা সাবেক চেয়ারম্যান ৫))মরহুম হাফেজ চৌধুরি (সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান) ৬)মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা মিয়ার উদ্দিন ৮)মরহুম আঃমতিন পুলিশ
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Geographic coordinates of Dimla, Bangladesh" (ইংরেজি ভাষায়)। DATEANDTIME.INFO। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭।
- ↑ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
- ↑ "টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের জনসংখ্যা"। www.lcgbangladesh.org। ২৭ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
- ↑ টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বাংলাদেশের ইউনিয়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |