জ্যনভিয়েভ ব্যুজো
জ্যনভিয়েভ ব্যুজো | |
---|---|
Geneviève Bujold | |
জন্ম | |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৫৪-বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | পল আলমন্ড (বি. ১৯৬৭; বিচ্ছেদ. ১৯৭৫) |
সঙ্গী | ডেনিস হ্যাস্টিংস (১৯৭৭-২০১৭) |
সন্তান | ২ |
জ্যনভিয়েভ ব্যুজো (ফরাসি উচ্চারণ: [ʒən.vjɛːv by.ʒo]; জন্ম ১ জুলাই ১৯৪২) হলেন একজন কানাডীয় অভিনেত্রী। তিনি অ্যান অব দ্য থাউজেন্ড ডেজ (১৯৬৯) চলচ্চিত্রে অ্যান বলেইন চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। এই কাজের জন্য তিনি নাট্যধর্মী চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অন্যান্য চলচ্চিত্র হল দ্য ট্রোজান উইমেন (১৯৭১), আর্থকোয়াক (১৯৭৪), অবসেশন (১৯৭৬), কোমা (১৯৭৮), মার্ডার বাই ডিক্রি (১৯৭৯), টাইটরোপ (১৯৮৪), চুজ মি (১৯৮৪), ডেড রিঙ্গারস (১৯৮৮), দ্য হাউজ অব ইয়েস (১৯৯৭), ও স্টিল মাইন (২০১২)।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]ব্যুজো ১৯৪২ সালের ১লা জুলাই কেবেকের মন্ট্রিয়লে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা লরেত (বিবাহপূর্ব কাভানাফ) একজন গৃহপরিচারিকা ছিলেন, এবং পিতা জোসেফ ফিরমিন ব্যুজো একজন বাস চালক ছিলেন।[১] তিনি ফরাসি কানাডীয় বংশোদ্ভূত এবং তার কিছু পূর্বপুরুষ আইরিশও ছিলেন।[২]
ব্যুজো ১২ বছর কঠোর কনভেন্ট শিক্ষা অর্জন করেন। তিনি এই শিক্ষা অপছন্দ করতেন। তিনি মার্সেল প্যাগনলের "ফ্যানি পড়ার জন্য কনভেন্ট থেকে বহিষ্কৃত হন।[৩] এরপর তিনি মন্ট্রিয়ল কনজারভেটরি অব ড্রামাটিক আর্টে যোগ দেন,[৪][৫]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]কানাডায় তিনি পল আলমন্ডের রচনা ও পরিচালনায় নির্মিত ইসাবেল (১৯৬৮) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এটি প্রধান কোন হলিউড স্টুডিও কর্তৃক পরিবেশিত প্রথমদিকের কানাডীয় চলচ্চিত্রের একটি। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে কানাডিয়ান চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[৬]
তিনি রিচার্ড বার্টনের বিপরীতে চার্লস জ্যারটের অ্যান অব দ্য থাউজেন্ড ডেজ (১৯৬৯) চলচ্চিত্রে অ্যান বোলিন চরিত্রে অভিনয় করে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেন। প্রযোজক হ্যাল বি. ওয়ালিস ইসাবেল চলচ্চিত্রে তার অভিনয় দেখে তাকে এই চরিত্রের জন্য বাছাই করেন।[৭] ইউনিভার্সাল পিকচার্স কর্তৃক চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেওয়া হয়, যারা ব্যুজোর সাথে তিন বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করে।[৩] এই কাজের জন্য তিনি নাট্যধর্মী চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।[৮]
তিনি ক্যাথরিন হেপবার্ন, ভানেসা রেডগ্রেভ ও আইরিন প্যাপাসের সাথে মাইকেল ক্যাকোয়ানিসের চলচ্চিত্র দ্য ট্রোজান উইমেন (১৯৭১)-এ গ্রিক দেবী ক্যাসান্ড্রা চরিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটির স্পেনে ধারণ করা হয়েছিল। কানাডায় তিনি আলমন্ডের জার্নি (১৯৭২) চলচ্চিত্রে জন ভার্ননের সাথে অভিনয় করে আরেকটি কানাডিয়ান চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[৬] ১৯৭৩ সালে তিনি ক্লোদ জুত্রার কামুরাস্কা চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তার তৃতীয় কানাডিয়ান চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।[৬]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]ব্যুজো ১৯৬৭ সালে পরিচালক পল আলমন্ডের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৭৪ সালে আলমন্ডের সাথে তার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Genevieve Bujold Biography (1942-)"। ফিল্ম রেফারেন্স। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০২০।
- ↑ বেল, জোসেফ এন. (১৯ জুন ১৯৭০)। "She Didn't Really Enjoy Anne The First Time"। দ্য মন্ট্রিয়ন গেজেট। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০২০ – গুগল নিউজ-এর মাধ্যমে।
- ↑ ক খ What Is a Bujold? Hard to Circumscribe। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস। ১ ডিসেম্বর ১৯৭৪।
- ↑ স্টোন, জে (১৫ এপ্রিল ২০১৩)। "Still Mine star Genevieve Bujold in 'a state of grace'"। কানাডা.কম। ১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ "Genevieve Bujold"। হলিউড.কম। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ গ "Awards Database (Canadian Film Awards)"।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ জনসন, প্যাট্রিশিয়া (২০ জুলাই ১৯৬৯)। "Burton Plays Pre-Tyrant Henry VIII"। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস।
- ↑ "Geneviève Bujold"। গোল্ডেন গ্লোব। ২৮ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০২০।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ১৯৪২-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- ২০শ শতাব্দীর কানাডীয় অভিনেত্রী
- ২১শ শতাব্দীর কানাডীয় অভিনেত্রী
- কানাডীয় কণ্ঠাভিনেত্রী
- কানাডীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী
- কানাডীয় টেলিভিশন অভিনেত্রী
- কানাডীয় মঞ্চ অভিনেত্রী
- কানাডীয় রোমান ক্যাথলিক
- মন্ট্রিয়লের অভিনেত্রী
- গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার (সেরা অভিনেত্রী - নাট্য চলচ্চিত্র) বিজয়ী
- আইরিশ বংশোদ্ভূত কানাডীয় ব্যক্তি