জামে মসজিদ, দিল্লী
জামে মসজিদ | |
---|---|
![]() | |
স্থানাঙ্ক: ২৮°৩৯′০৩″ উত্তর ৭৭°১৪′০০″ পূর্ব / ২৮.৬৫০৭° উত্তর ৭৭.২৩৩৪° পূর্বস্থানাঙ্ক: ২৮°৩৯′০৩″ উত্তর ৭৭°১৪′০০″ পূর্ব / ২৮.৬৫০৭° উত্তর ৭৭.২৩৩৪° পূর্ব | |
অবস্থান | দিল্লী, ভারত |
প্রতিষ্ঠিত | ১৬৫৬ |
পরিচালনা | সিনিয়র ইমাম: শাহী ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারী ইমাম:
|
স্থাপত্য তথ্য | |
ধরণ | ইসলামি |
ধারণক্ষমতা | ২৫,০০০ |
দৈর্ঘ্য | ৪০ মিটার (১৩০ ফু) |
প্রস্থ | ২৭ মিটার (৮৯ ফু) |
গম্বুজ | ৩ |
মিনার | ২ |
মিনারের উচ্চতা | ৪১ মিটার (১৩৫ ফু) |
ভবনের উপকরণ | লাল বেলেপাথর, মার্বেল |
মসজিদ-ই জাহান-নুমা (ফার্সি: مسجد-ا جہاں نما, দেবনাগরী লিপি: मस्जिद जहान नुमा), দিল্লিতে অবস্থিত ভারতের অন্যতম বৃহত্তম একটি মসজিদ। সাধারণভাবে এই মসজিদটি জামে মসজিদ (হিন্দি: जामा मस्जिद, উর্দু: جامع مسجد) নামে পরিচিত।
মুঘল সম্রাট শাহজাহান ১৬৪৪ থেকে ১৬৫৬ সালের মধ্যে এই মসজিদটি তৈরি করেন। মসজিদটি তৈরিতে প্রায় ১০ লক্ষ রুপি ব্যয় হয় এবং বর্তমান উজবেকিস্তানের বুখারা নামক স্থানের একজন ইমাম মসজিদটি উদ্বোধন করেন। মসজিদ প্রাঙ্গণে একসাথে প্রায় ২৫,০০০ এর অধিক মানুষ প্রার্থনা করতে পারেন। জামে মসজিদের স্থাপত্যশৈলীর সাথে পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব কর্তৃক নির্মিত বাদশাহি মসজিদের বিশেষ মিল রয়েছে।এই মসজিদটি মূলত মসজিদ-ই জাহান-নুমা নামে পরিচিত ছিল, যার অর্থ 'জগতের প্রতিবিম্ব মসজিদ'। শাহজাহানের শাসনকালে তার উজির (বা প্রধানমন্ত্রী) সাদুল্লাহ খানের তত্ত্বাবধানে মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। মসজিদটিকে সাধারণ ভাবে জামে মসজিদ বলা হয়, জামে অর্থ শুক্রবার।[১]এছাড়াও শাহজাহান আগ্রার তাজমহল এবং দিল্লির লাল কেল্লা নির্মাণ করেন, যা জামে মসজিদের বিপরীতে অবস্থিত।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
মুঘল সম্রাট শাহজাহান ১৬৪৪ হতে ১৬৫৬ সালের মধ্যে জামে মসজিদ নির্মাণ করেন। এটি নির্মাণে প্রায় ৫০০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। এই মসজিদটি মূলত মসজিদ-ই জাহান-নুমা নামে পরিচিত ছিল, যার অর্থ 'জগতের প্রতিবিম্ব মসজিদ'। শাহজাহানের শাসনকালে তার উজির (বা প্রধানমন্ত্রী) সাদুল্লাহ খানের তত্ত্বাবধানে মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। মসজিদটির নির্মাণ কাজে সে সময় প্রায় ১০ লক্ষ রুপি খরচ হয়।[১] এছাড়াও শাহজাহান আগ্রার তাজমহল এবং দিল্লির লাল কেল্লা নির্মাণ করেন, যা জামে মসজিদের বিপরীতে অবস্থিত। ১৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দে (১০৬৬ হিজরি) মসজিদের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।[২] ২৩ জুলাই ১৬৫৬ সালে সম্রাট শাহজাহানের আমন্ত্রণে বর্তমান উজবেকিস্তান-এর বোখারা নামক স্থান হতে আগত ইমাম বুখারী নামক জনৈক ইমাম মসজিদটি উদ্বোধন করেন।[৩] মসজিদ প্রাঙ্গনে একসাথে প্রায় ২৫,০০০ মানুষ প্রার্থনা করতে পারে এবং মাঝে মাঝে একে ভারতের বৃহত্তম মসজিদ হিসেবে গণ্য করা হয়।[৪][৫] মসজিদটিকে সাধারণ ভাবে জামে মসজিদ বলা হয়, জামে অর্থ শুক্রবার।[১]
১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহে ব্রিটিশদের বিজয়ের পরে তারা মসজিদটিকে বাজেয়াপ্ত করে এবং এটিকে একটি সৈন্য ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। শহরবাসীকে শাস্তি দেবার জন্য তারা মসজিদটিকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিলো, কিন্তু বিরোধিতার সম্মুখীন হওয়ায় সেটা তারা আর করে উঠতে পারেনি।[৬]
স্থাপত্যশৈলী[সম্পাদনা]
বর্তমান সময়[সম্পাদনা]
২০০৬ জামে মসজিদ বিস্ফোরণ[সম্পাদনা]
২০১০ জামে মসজিদ আক্রমণ[সম্পাদনা]
ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন এই হামলা সংগঠিত করে। হামলায় ২জন তাইওয়ান নাগরিক মারা যান।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "Jama Masjid"। Cultural India। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Short History of Jama Masjid Delhi"। Jmuf.org। ১৭ নভেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১১।
- ↑ Dalrymple, p.252
- ↑ Stott and McCulloch, p.35
- ↑ "Charming Chadni Chowk" (PDF)। Delhi Tourism। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৫।
- ↑ Liddle, p.217
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
উইকিমিডিয়া কমন্সে জামে মসজিদ, দিল্লী সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন
উইকিভ্রমণ থেকে জামে মসজিদ, দিল্লী ভ্রমণ নির্দেশিকা পড়ুন
- Official site
- Short History of the Jama Masjid of Delhi and its Imams
- Jama Masjid tourist info