মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী

চাঁদনী
চাঁদনী
জন্ম	মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী; ১৯ মে ১৯৮২ (বয়স ৪১); ঢাকা, বাংলাদেশ
জাতীয়তা	বাংলাদেশী
পেশা	মডেল, অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী
কর্মজীবন	১৯৯৪-বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গী	বাপ্পা মজুমদার (মার্চ ২১, ২০০৮-২০১৮)
পুরস্কার	জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (২ বার)

মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী (যিনি চাঁদনী নামে বেশি পরিচিত) হলেন একজন বাংলাদেশী মডেল, অভিনেত্রী এবং নৃত্যশিল্পী। তিনি কিশোরী কাল থেকেই অভিনয় শুরু করেন। তার অভিনীত সফল চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে দুখাই, লালসালু এবং জয়যাত্রা।^[১]^[২]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

চার বছর বয়সে চাঁদনী নৃত্য শেখা শুরু করেন। তিনি হিরুর অধীনে ভরতনাট্যম, আধুনিক এবং বাংলাদেশী নৃত্য শেখেন।^[৩] বিটিভিতে প্রচারিত নতুন কুঁড়িতে দলগত নাচে তিনি প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন।^[৪]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৯৪ সালে দুখাই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু হয়। চলচ্চিত্র অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি বেশ কিছু টেলিভিশন নাটকেও অভিনয় করেছেন। নৃত্যের মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া চাঁদনী ২০১২ সালে ব্রুনাইয়ের ৪২তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ব্রুনাই দারুস্‌সালামে বাংলাদেশী সম্প্রদায়ের একজন হিসেবে নৃত্য পরিবেশন করেন।^[৫]

চলচ্চিত্রের তালিকা[সম্পাদনা]

বছর	চলচ্চিত্র	পরিচালক	চরিত্র	সহ-অভিনয়শিল্পী	টীকা
১৯৯৪	দুখাই	মোরশেদুল ইসলাম		রাইসুল ইসলাম আসাদ, রোকেয়া প্রাচী
২০০১	লালসালু	তানভীর মোকাম্মেল	জমিলা	রাইসুল ইসলাম আসাদ, মরিয়ম ইউসুফ	শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
২০০৪	জয়যাত্রা	তৌকির আহমেদ	মরিয়ম	মাহফুজ আহমেদ, বিপাশা হায়াত, আজিজুল হাকিম	শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
২০১৫	বিষ	কিশোর মাহমুদ		সাব্বির, একে আজাদ সেতু	বেঁদে^[৬]

নাটক[সম্পাদনা]

বছর	নাটক	পরিচালক নাট্যকার	সহ-অভিনয়শিল্পী	টীকা
	বয়স যখন একুশ	তাহের শিপন	সজল নূর	ধারাবাহিক
২০১০	হারুনের মঙ্গল হোক		সজল নূর
২০১৪	ধ্যান	অরণ্য আনোয়ার
২০১৫	বেলা	নুজহাত আলভী আহমেদ কামনা সীমা	সজল নূর	মা দিবসে নির্মিত বিশেষ নাটক।^[৭]
২০১৫	গ্রীন কার্ড	নুজহাত আলভী আহমেদ জাকির হোসাইন উজ্জল	সজল নূর	এশিয়ান টিভিতে প্রচারিত সাত পর্বের ধারাবাহিক।^[৮]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

বছর	পুরস্কার	বিভাগ	চলচ্চিত্র	ফলাফল
	নতুন কুঁড়ি	দলগত নাচ		প্রথম
২০০১	জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার	শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী	লালসালু	বিজয়ী^[৯]
২০০৪	জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার	শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী	জয়যাত্রা	বিজয়ী^[১০]^[১১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

↑ "সংখ্যার চেয়ে মানে বিশ্বাসী: মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী"। দৈনিক ইত্তেফাক। ১৮ মে ২০১৭। ২৬ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৮।
↑ "গ্রিন কার্ড পাওয়াটাই আমার 'কুফা' হয়েছিল"। প্রথম আলো। ২০২০-০৫-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-০১।
↑ "In Search of Creative Unity Through Dance" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০০৫। ^{[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]}
↑ "Bangladeshi Actress Mehbooba Mahnoor Chandni"। bdalltime (ইংরেজি ভাষায়)। মার্চ ৪, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০০৫।
↑ Adib Noor (২০১২-০৪-০১)। "Cultural gala night celebrates Bangladesh Independence Day"। The Brunei Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০০৫।
↑ "শেষ হলো 'বিষ'-এর শুটিং"। দৈনিক প্রথম আলো। ১৬ নভেম্বর ২০১৫। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৮।
↑ "Sajal-Chandni pair up for new drama"। Bangladesh Info (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০০৫।
↑ "সজলের সাত নায়িকা"। banglanews24। ২০১৫-০৯-১৫। সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০০৫।
↑ নিষাদ চৌধুরী (৭ মে ২০১৩)। "চাঁদনীর তিন পৃথিবী"। দৈনিক আমার দেশ। ১৪ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬।
↑ Nadia Sarwat। "National Film Awards generate enthusiasm"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। নভেম্বর ২৩, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০১৫।
↑ "National Film Awards for the last fours years announced" [চার বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা]। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী (ইংরেজি)
বাংলা মুভি ডেটাবেজে মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী

[1] "সংখ্যার চেয়ে মানে বিশ্বাসী: মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী"। দৈনিক ইত্তেফাক। ১৮ মে ২০১৭। ২৬ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৮।

[2] "গ্রিন কার্ড পাওয়াটাই আমার 'কুফা' হয়েছিল"। প্রথম আলো। ২০২০-০৫-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-০১।

[eventbrite-3] "In Search of Creative Unity Through Dance" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০০৫। ^{[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]}

[bdalltime-4] "Bangladeshi Actress Mehbooba Mahnoor Chandni"। bdalltime (ইংরেজি ভাষায়)। মার্চ ৪, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০০৫।

[5] Adib Noor (২০১২-০৪-০১)। "Cultural gala night celebrates Bangladesh Independence Day"। The Brunei Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-১১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০০৫।

[6] "শেষ হলো 'বিষ'-এর শুটিং"। দৈনিক প্রথম আলো। ১৬ নভেম্বর ২০১৫। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৮।

[7] "Sajal-Chandni pair up for new drama"। Bangladesh Info (ইংরেজি ভাষায়)। ২৫ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০০৫।

[8] "সজলের সাত নায়িকা"। banglanews24। ২০১৫-০৯-১৫। সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০০৫।

[9] নিষাদ চৌধুরী (৭ মে ২০১৩)। "চাঁদনীর তিন পৃথিবী"। দৈনিক আমার দেশ। ১৪ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুলাই ২০১৬।

[10] Nadia Sarwat। "National Film Awards generate enthusiasm"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। নভেম্বর ২৩, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০১৫।

[thedailystar-11] "National Film Awards for the last fours years announced" [চার বছরের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা]। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা, বাংলাদেশ। ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ অক্টোবর ২০১৫।

[১]

[২]

[৩]

[৪]

[৫]

[৬]

[৭]

[৮]

[৯]

[১০]

[১১]

দে স জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী
১৯৭৫–১৯৮৫	রোজী সামাদ ১৯৭৫ (১ম) রওশন জামিল ১৯৭৬ (২য়) শাবানা ১৯৭৭ (৩য়) আনোয়ারা ১৯৭৮ (৪র্থ) আনোয়ারা ১৯৭৯ (৫ম) রোজিনা ১৯৮০ (৬ষ্ঠ) আয়শা আখতার ১৯৮২ (৭ম) সুবর্ণা মুস্তাফা ১৯৮৩ (৮ম) আনোয়ারা ১৯৮৪ (৯ম) রেহানা জলি ১৯৮৫ (১০ম)
১৯৮৬–২০০০	জিনাত ১৯৮৬ (১১তম) দিতি ১৯৮৭ (১২তম) সুবর্ণা শিরিন ১৯৮৮ (১৩তম) খালেদা আক্তার কল্পনা ১৯৮৯ (১৪তম) আনোয়ারা ১৯৯০ (১৫তম) নূতন ১৯৯১ (১৬তম) আনোয়ারা ১৯৯২ (১৭তম) আনোয়ারা ১৯৯৩ (১৮তম) আনোয়ারা ১৯৯৪ (১৯তম) শান্তা ইসলাম ১৯৯৫ (২০তম) দেওয়া হয়নি ১৯৯৬ (২১তম) রোকেয়া প্রাচী ১৯৯৭ (২২তম) দেওয়া হয়নি ১৯৯৮ (২৩তম) দেওয়া হয়নি ১৯৯৯ (২৪তম) তমালিকা কর্মকার ২০০০ (২৫তম)
২০০১–২০১৫	মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী ২০০১ (২৬তম) ববিতা ২০০২ (২৭তম) সাথী ২০০৩ (২৮তম) মেহবুবা মাহনূর চাঁদনী ২০০৪ (২৯তম) চম্পা ২০০৫ (৩০তম) ডলি জহুর ২০০৬ (৩১তম) নিপুণ আক্তার ২০০৭ (৩২তম) চম্পা ও দিলারা জামান ২০০৮ (৩৩তম) নিপুণ আক্তার ২০০৯ (৩৪তম) রুমানা খান ২০১০ (৩৫তম) ববিতা ২০১১ (৩৬তম) লুসি তৃপ্তি গোমেজ ২০১২ (৩৭তম) অপর্ণা ঘোষ ২০১৩ (৩৮তম) চিত্রলেখা গুহ ২০১৪ (৩৯তম) তমা মির্জা ২০১৫ (৪০তম)
২০১৬-বর্তমান	তানিয়া আহমেদ ২০১৬ (৪১তম) সুবর্ণা মুস্তাফা ও রুনা খান ২০১৭ (৪২তম) সুচরিতা ২০১৮ (৪৩তম) নার্গিস আক্তার ২০১৯ (৪৪তম) অপর্ণা ঘোষ ২০২০ (৪৫তম) শম্পা রেজা (২০২১)