বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নারী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মহিলা সৈনিকদের কুচকাওয়াজ, বিজয় দিবস, ২০১৫

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে প্রথমবারের মতো নারী সৈনিক নেওয়া হয় ২০১৩ সালে, এ বছর সংবাদপত্রে হঠাৎ বিজ্ঞাপন আসে যে 'সেনা চিকিৎসা শাখা' (আর্মি মেডিকেল কোর, এএমসি) তে নারীদের সৈনিক হিসেবে ভর্তি করা হবে। ২০১৫ সালের জানুয়ারীতে এই 'প্রথম নারী সৈনিক রিক্রুট ব্যাচ' তাদের মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণ শেষ করে।[১][২][৩][৪][৫] প্রথমবার শুধু চিকিৎসা শাখায় নারী নিয়োগ দেওয়া হলেও পরে নারীদের করণিক কোরে (আর্মি কোর অব ক্লার্কস, এসিসি), সিগনালস কোরে, ইএমই (ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স) কোরে, ইঞ্জিনিয়ার্স কোরে, অর্ডন্যান্স কোরে, মিলিটারি পুলিশ কোরে এবং এএসসি (আর্মি সার্ভিস কোরে) নেওয়া হয়।[৬]

২০০১ সালে সর্বপ্রথম সেনা ক্যাডেট হিসেবে নারীরা যোগদান করেন এবং নারীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই 'সেনা চিকিৎসা শাখা' (আর্মি মেডিকেল কোর) তে চিকিৎসক হিসেবে যোগ দিতে পারেন, ২০১৮ সালে দেশের সর্বপ্রথম নারী মেজর জেনারেল হন সুসানে গীতি[৭]

সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট, গোলন্দাজ রেজিমেন্ট এবং সাঁজোয়া কোরে নারীরা যোগদানের সুযোগ পাননা, যদিও গোলন্দাজ রেজিমেন্টে নারীরা কর্মকর্তা হতে পারেন। ২০১৩ সালে সর্বপ্রথম নারী ছত্রীসেনা কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয় যদিও নিয়োগপ্রাপ্ত নারী ক্যাপ্টেনটি পদাতিক বা সাঁজোয়া রেজিমেন্টের কেউ ছিলেননা।[৮] ২০১৫ সালে সেনাবাহিনীতে প্রথমবারের মতো দুইজন নারী কর্মকর্তা বৈমানিকের মর্যাদা লাভ করেন।[৯] আবার ২০১৯ সালে চারজন নারী লেঃ কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন এবং তাদের মধ্যে তিনজন ছিলেন গোলন্দাজ রেজিমেন্টের এবং অন্যজন ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স কোরের।[১০][১১]

কোর অনুযায়ী নারী[সম্পাদনা]

কোর/রেজিমেন্ট নারীরা সৈনিক এবং কর্মকর্তা হতে পারেন
সাঁজোয়া কোর No
গোলন্দাজ রেজিমেন্ট No/Yes (শুধু কর্মকর্তা)
ইঞ্জিনিয়ার্স কোর Yes
সিগনালস কোর Yes
পদাতিক No
সেনা উড্ডয়ন No/Yes (শুধু কর্মকর্তা)
সার্ভিস কোর Yes
মেডিকেল কোর Yes
অর্ডন্যান্স কোর Yes
ইএমই কোর Yes
আরভিঅ্যান্ডএফসি No/Yes (শুধু কর্মকর্তা)
ডেন্টাল কোর Yes
মিলিটারি পুলিশ Yes
এডুকেশন কোর No/Yes (শুধু কর্মকর্তা)
ক্লার্ক কোর Yes

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সেনাবাহিনীতে প্রথম বারের মতো যুক্ত হলো নারী সৈনিক"সময় টিভি। ২৯ জানুয়ারী ২০১৫। 
  2. "টাঙ্গাইলে সেনানিবাসে প্রধানমন্ত্রীঃ চ্যালেঞ্জিং পেশায় অংশগ্রহণ নারীর ক্ষমতায়নে ভূমিকা রাখবে"প্রথম আলো। ৩০ জানুয়ারী ২০১৫। ২০২১-০২-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. কামনাশীষ শেখর (৩০ জানুয়ারী ২০১৫)। "সেনাবাহিনীতে নারী সৈনিকঃ 'প্রমাণ করব, নারীরাও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে'"প্রথম আলো। ২০২৩-১২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  4. "প্রথম ৮৭৯ নারী সৈনিকের শপথ গ্রহণ"কালের কণ্ঠ। ৩০ জানুয়ারী ২০১৫। 
  5. "আর পিছিয়ে থাকবে না নারীরা"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ৩০ জানুয়ারী ২০১৫। 
  6. "সৈনিক পদে নিয়োগ দিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী"এনটিভি। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৫। 
  7. "দেশের প্রথম নারী মেজর জেনারেল সুসানে গীতি"কালের কণ্ঠ। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮। 
  8. "বাংলাদেশের প্রথম নারী ছত্রীসেনা"বিবিসি বাংলা। ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৩। 
  9. "আকাশে উড়লেন সেনাবাহিনীর দুই নারী পাইলট"প্রথম আলো। ২৮ অক্টোবর ২০১৫। 
  10. "ফাইটিং ফোর্সের প্রথম ব্যাটালিয়ন আধিনায়ক হলেন চার নারী সেনা কর্মকর্তা"প্রথম আলো। ২৪ জানুয়ারী ২০১৯। 
  11. "লেফটেন্যান্ট কর্নেল হলেন ৪ নারী"ইত্তেফাক। ২৪ জানুয়ারী ২০১৯। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]