নিরূপা রায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
পুরস্কার ও সম্মাননা
প্রারম্ভিক জীবন ও বিবাহ
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{তথ্যছক ব্যক্তি
{{তথ্যছক ব্যক্তি
| name = নিরূপা রায়
| name = নিরূপা রায়
| image =
| image = Nirupa Roy.jpg
| caption =
| caption = নিরূপা রায়
| birth_name = কোকিলা কিশোরচন্দ্র বুলসরা
| birth_name = কোকিলা কিশোরচন্দ্র বুলসরা
| birth_date = {{জন্ম তারিখ|১৯৩১|০১|০৪}}
| birth_date = {{জন্ম তারিখ|১৯৩১|০১|০৪}}
৮ নং লাইন: ৮ নং লাইন:
| death_date = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|২০০৪|১০|১৩|১৯৩১|০১|০৪}}
| death_date = {{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|২০০৪|১০|১৩|১৯৩১|০১|০৪}}
| death_place = [[মুম্বই]], [[মহারাষ্ট্র]], [[ভারত]]
| death_place = [[মুম্বই]], [[মহারাষ্ট্র]], [[ভারত]]
| death_cause =
| death_cause = হৃদরোগ
| other_names =
| occupation = অভিনেত্রী
| occupation = অভিনেত্রী
| years_active =
| years_active = ১৯৪৬-১৯৯৯
| spouse = {{বিবাহ|কামাল রায়|১৯৪৬}}
| spouse = {{বিবাহ|কামাল রায়|১৯৪৬}}
| children = ২
| children = ২
১৮ নং লাইন: ১৭ নং লাইন:


'''নিরূপা রায়''' (গুজরাটি: નિરુપા રોય; জন্ম: কোকিলা কিশোরচন্দ্র বুলসরা, ৪ জানুয়ারি ১৯৩১ - ১৩ অক্টোবর ২০০৪) ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। অভিনয় জীবনের শুরুতে তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রে মুখ্য চরিত্রে কাজ করতেন এবং ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে তাকে মাতৃস্থানীয় চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যেত। পাঁচ দশকের অধিক সময়ের অভিনয় জীবনে তিনি ২৭৫টির অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ''[[মুনিমজী]]'' (১৯৫৫), ''[[ছায়া (চলচ্চিত্র)|ছায়া]]'' (১৯৬১) ও ''[[শেহনাই (১৯৬৪-এর চলচ্চিত্র)|শেহনাই]]'' (১৯৬৪) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনবার [[শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার]] এবং ২০০৪ সালে [[ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার]] অর্জন করেন।
'''নিরূপা রায়''' (গুজরাটি: નિરુપા રોય; জন্ম: কোকিলা কিশোরচন্দ্র বুলসরা, ৪ জানুয়ারি ১৯৩১ - ১৩ অক্টোবর ২০০৪) ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। অভিনয় জীবনের শুরুতে তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রে মুখ্য চরিত্রে কাজ করতেন এবং ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে তাকে মাতৃস্থানীয় চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যেত। পাঁচ দশকের অধিক সময়ের অভিনয় জীবনে তিনি ২৭৫টির অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ''[[মুনিমজী]]'' (১৯৫৫), ''[[ছায়া (চলচ্চিত্র)|ছায়া]]'' (১৯৬১) ও ''[[শেহনাই (১৯৬৪-এর চলচ্চিত্র)|শেহনাই]]'' (১৯৬৪) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনবার [[শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার]] এবং ২০০৪ সালে [[ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার]] অর্জন করেন।

==প্রারম্ভিক জীবন ও বিবাহ==
নিরূপা রায় ১৯৩১ সালের ৪ঠা জানুয়ারি [[ব্রিটিশ ভারত]]ের [[বোম্বে প্রেসিডেন্সি]]র (বর্তমান [[গুজরাট]]) বলসাড় জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মনাম কোকিলা কিশোরচন্দ্র বুলসারা। তিনি ১৫ বছর বয়সে কামাল রায়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং [[মুম্বই]]য়ে চলে যান। এই দম্পতির দুই পুত্র - যোগেশ ও কিরণ। চলচ্চিত্রে শিল্পে যোগ দেওয়ার পর তিনি তার নাম পরিবর্তন করে নিরূপা রায় রাখেন। তিনি গুজরাটি এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরুর পূর্বে বাচ্চাদের [[গুজরাটি ভাষা|গুজরাটি]] শিখাতেন।


==কর্মজীবন==
==কর্মজীবন==
১৯৪৬ সালে তিনি ও তার স্বামী একটি গুজরাটি পত্রিকায় অভিনয়শিল্পী অনুসন্ধানের বিজ্ঞাপন অনুসারে তার তথ্য পাঠান। তিনি নির্বাচিত হন এবং গুজরাটি চলচ্চিত্র ''রণকদেবী'' দিয়ে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। একই বছর তিনি তার প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র ''অমর রাজ''-এ অভিনয় করেন। তার অভিনীত অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হল ''[[দো বিঘা জমিন]]'' (১৯৫৩)। তিনি ১৯৪০ ও ১৯৫০-এর দশকে পৌরাণিক চরিত্রে অভিনয় করেন।
১৯৪৬ সালে তিনি ও তার স্বামী একটি গুজরাটি পত্রিকায় অভিনয়শিল্পী অনুসন্ধানের বিজ্ঞাপন অনুসারে তার তথ্য পাঠান। তিনি নির্বাচিত হন এবং গুজরাটি চলচ্চিত্র ''রণকদেবী'' দিয়ে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। একই বছর তিনি তার প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র ''অমর রাজ''-এ অভিনয় করেন। তার অভিনীত অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হল ''[[দো বিঘা জমিন]]'' (১৯৫৩)। তিনি ১৯৪০ ও ১৯৫০-এর দশকে পৌরাণিক চরিত্রে অভিনয় করেন।


১৯৭০-এর দশকে তাকে [[অমিতাভ বচ্চন]] ও [[শশী কাপুর]]ের মায়ের চরিত্রে কাজ করতে দেখা যেত। ''দিওয়ার'' (১৯৭৫) ছবিতে তার অভিনয় এবং মা ও ছেলের চরিত্রের সংলাপগুলো হিন্দি চলচ্চিত্রে এক ধরনের গতানুগতিক ধারা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
১৯৭০-এর দশকে তাকে [[অমিতাভ বচ্চন]] ও [[শশী কাপুর]]ের মায়ের চরিত্রে কাজ করতে দেখা যেত। বচ্চনের মায়ের চরিত্রে তার উল্লেখযোগ্য কাজ হল ''দিওয়ার'' (১৯৭৫), ''[[অমর আকবর অ্যান্থনি]]'' (১৯৭৭) ও ''খুন পাসিনা'' (১৯৭৭)। ''দিওয়ার'' (১৯৭৫) ছবিতে তার অভিনয় এবং মা ও ছেলের চরিত্রের সংলাপগুলো হিন্দি চলচ্চিত্রে এক ধরনের গতানুগতিক ধারা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং "মেরে পাস মা হ্যায়" সংলাপটি কাল্ট তকমা লাভ করে।<ref name="এনডিটিভি-২০১৮">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শিরোনাম=Deewar's Maa Nirupa Roy's Sons Fight Over Her Property |ইউআরএল=https://www.ndtv.com/entertainment/deewars-maa-nirupa-roys-sons-fight-over-her-property-1798394 |সংগ্রহের-তারিখ=১৩ মে ২০১৯ |কর্ম=এনডিটিভি |এজেন্সি=প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া |তারিখ=১০ জানুয়ারি ২০১৮}}</ref>


==পুরস্কার ও সম্মাননা==
==পুরস্কার ও সম্মাননা==
;[[ফিল্মফেয়ার পুরস্কার]]
;[[ফিল্মফেয়ার পুরস্কার]]
* ১৯৫৬: [[শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার]] - ''[[মুনিমজী]]''
* ১৯৫৬: [[শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার|শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী]] - ''[[মুনিমজী]]''
* ১৯৬২: শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী - ''[[ছায়া (চলচ্চিত্র)|ছায়া]]''
* ১৯৬২: শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী - ''[[ছায়া (চলচ্চিত্র)|ছায়া]]''
* ১৯৬৫: শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী - ''[[শেহনাই (১৯৬৪-এর চলচ্চিত্র)|শেহনাই]]''
* ১৯৬৫: শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী - ''[[শেহনাই (১৯৬৪-এর চলচ্চিত্র)|শেহনাই]]''
৩২ নং লাইন: ৩৪ নং লাইন:
;বঙ্গ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার
;বঙ্গ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার
* ১৯৬২: শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী - ''ছায়া''
* ১৯৬২: শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী - ''ছায়া''

==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}


==বহিঃসংযোগ==
==বহিঃসংযোগ==
{{কমন্স বিষয়শ্রেণী}}
* {{আইএমডিবি নাম}}

{{ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী পুরস্কার}}
{{ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী পুরস্কার}}
{{ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার}}
{{ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার}}


{{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:রায়, নিরূপা}}
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৩১-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৩১-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০০৪-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:২০০৪-এ মৃত্যু]]

০৯:৩৫, ১৩ মে ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নিরূপা রায়
নিরূপা রায়
জন্ম
কোকিলা কিশোরচন্দ্র বুলসরা

(১৯৩১-০১-০৪)৪ জানুয়ারি ১৯৩১
বলসাড়, বোম্বে প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু১৩ অক্টোবর ২০০৪(2004-10-13) (বয়স ৭৩)
মৃত্যুর কারণহৃদরোগ
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৪৬-১৯৯৯
দাম্পত্য সঙ্গীকামাল রায় (বি. ১৯৪৬)
সন্তান
পুরস্কারফিল্মফেয়ার পুরস্কার (৪ বার)

নিরূপা রায় (গুজরাটি: નિરુપા રોય; জন্ম: কোকিলা কিশোরচন্দ্র বুলসরা, ৪ জানুয়ারি ১৯৩১ - ১৩ অক্টোবর ২০০৪) ছিলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। অভিনয় জীবনের শুরুতে তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রে মুখ্য চরিত্রে কাজ করতেন এবং ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে তাকে মাতৃস্থানীয় চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যেত। পাঁচ দশকের অধিক সময়ের অভিনয় জীবনে তিনি ২৭৫টির অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি মুনিমজী (১৯৫৫), ছায়া (১৯৬১) ও শেহনাই (১৯৬৪) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং ২০০৪ সালে ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার অর্জন করেন।

প্রারম্ভিক জীবন ও বিবাহ

নিরূপা রায় ১৯৩১ সালের ৪ঠা জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে প্রেসিডেন্সির (বর্তমান গুজরাট) বলসাড় জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মনাম কোকিলা কিশোরচন্দ্র বুলসারা। তিনি ১৫ বছর বয়সে কামাল রায়ের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং মুম্বইয়ে চলে যান। এই দম্পতির দুই পুত্র - যোগেশ ও কিরণ। চলচ্চিত্রে শিল্পে যোগ দেওয়ার পর তিনি তার নাম পরিবর্তন করে নিরূপা রায় রাখেন। তিনি গুজরাটি এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরুর পূর্বে বাচ্চাদের গুজরাটি শিখাতেন।

কর্মজীবন

১৯৪৬ সালে তিনি ও তার স্বামী একটি গুজরাটি পত্রিকায় অভিনয়শিল্পী অনুসন্ধানের বিজ্ঞাপন অনুসারে তার তথ্য পাঠান। তিনি নির্বাচিত হন এবং গুজরাটি চলচ্চিত্র রণকদেবী দিয়ে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। একই বছর তিনি তার প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র অমর রাজ-এ অভিনয় করেন। তার অভিনীত অন্যতম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হল দো বিঘা জমিন (১৯৫৩)। তিনি ১৯৪০ ও ১৯৫০-এর দশকে পৌরাণিক চরিত্রে অভিনয় করেন।

১৯৭০-এর দশকে তাকে অমিতাভ বচ্চনশশী কাপুরের মায়ের চরিত্রে কাজ করতে দেখা যেত। বচ্চনের মায়ের চরিত্রে তার উল্লেখযোগ্য কাজ হল দিওয়ার (১৯৭৫), অমর আকবর অ্যান্থনি (১৯৭৭) ও খুন পাসিনা (১৯৭৭)। দিওয়ার (১৯৭৫) ছবিতে তার অভিনয় এবং মা ও ছেলের চরিত্রের সংলাপগুলো হিন্দি চলচ্চিত্রে এক ধরনের গতানুগতিক ধারা হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং "মেরে পাস মা হ্যায়" সংলাপটি কাল্ট তকমা লাভ করে।[১]

পুরস্কার ও সম্মাননা

ফিল্মফেয়ার পুরস্কার
বঙ্গ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার
  • ১৯৬২: শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী - ছায়া

তথ্যসূত্র

  1. "Deewar's Maa Nirupa Roy's Sons Fight Over Her Property"এনডিটিভি। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া। ১০ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ