গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
পরিমার্জন
Suvray (আলোচনা | অবদান)
পরিমার্জিত রূপ
২৪ নং লাইন: ২৪ নং লাইন:
| club1 = [[Gauteng cricket team|ট্রান্সভাল]]
| club1 = [[Gauteng cricket team|ট্রান্সভাল]]
| year1 = ১৯৭৯-১৯৮০
| year1 = ১৯৭৯-১৯৮০
| club2 = [[Leicestershire County Cricket Club|লিচেস্টারশায়ার]]
| club2 = [[লিচেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|লিচেস্টারশায়ার]]
| year2 = ১৯৬৯-১৯৭৫
| year2 = ১৯৬৯-১৯৭৫
| club3 = [[Western Warriors|পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া]]
| club3 = [[Western Warriors|পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া]]
৮৪ নং লাইন: ৮৪ নং লাইন:
| date = ৩ জানুয়ারি
| date = ৩ জানুয়ারি
| year = ২০১৬
| year = ২০১৬
| source = http://www.cricketarchive.co.uk/Archive/Players/1/1152/1152.html ক্রিকেটআর্কাইভ
| source = http://www.espncricinfo.com/ci/content/player/6576.html ক্রিকইনফো
}}
}}

'''গ্রাহাম ডগলাস ম্যাকেঞ্জি''' ({{lang-en|Graham McKenzie}}; [[জন্ম]]: [[২৪ জুন]], [[১৯৪১]]) [[পার্থ|পার্থের]] কটস্লো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। ১৯৬১ থেকে ১৯৭১ সময়কালে [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের]] পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বোলার ছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, লিচেস্টারশায়ার ও ট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ১৯৬৫ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটাররূপে মনোনীত হন '''গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জি'''। অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলারদের পথিকৃৎ [[অ্যালান ডেভিডসন|অ্যালান ডেভিডসনের]] স্থলাভিষিক্ত হন ও পরবর্তীকালে [[ডেনিস লিলি]] তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। ম্যাকেঞ্জি মূলতঃ তাঁর পেশীবহুল গড়ন ও চমৎকার ব্যাটিং উপযোগী পীচে উইকেট লাভের দক্ষতার জন্য পরিচিত হয়ে আছেন।
'''গ্রাহাম ডগলাস ম্যাকেঞ্জি''' ({{lang-en|Graham McKenzie}}; [[জন্ম]]: [[২৪ জুন]], [[১৯৪১]]) [[পার্থ|পার্থের]] কটস্লো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ১৯৬১ থেকে ১৯৭১ সময়কালে [[অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল|অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের]] পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বোলার ছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, [[লিচেস্টারশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব|লিচেস্টারশায়ার]][[Gauteng cricket team|ট্রান্সভালের]] প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ১৯৬৫ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটাররূপে মনোনীত হন '''গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জি'''। অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলারদের পথিকৃৎ [[অ্যালান ডেভিডসন|অ্যালান ডেভিডসনের]] স্থলাভিষিক্ত হন ও পরবর্তীকালে [[ডেনিস লিলি]] তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। ম্যাকেঞ্জি মূলতঃ তাঁর পেশীবহুল গড়ন ও চমৎকার ব্যাটিং উপযোগী পীচে উইকেট লাভের দক্ষতার জন্য পরিচিত হয়ে আছেন।


== প্রারম্ভিক জীবন ==
== প্রারম্ভিক জীবন ==
১০৪ নং লাইন: ১০৫ নং লাইন:
১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে সফরকারী [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিজের]] বিপক্ষে ২৫.২৬ গড় ৩০ উইকেট পান। ২৭ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ টেস্ট উইকেট পান যা একসময় রেকর্ড হিসেবে পরিগণিত হয়েছিল।<ref name="az"/> একই মৌসুমে ভারত সফরে ২১.০০ গড়ে ২১ উইকেট পান। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ টেস্টে অংশ নিয়ে ১/৩৩৩ পেয়েছিলেন ও তাঁর দল [[হোয়াইটওয়াশ]] হয়েছিল।
১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে সফরকারী [[ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দল|ওয়েস্ট ইন্ডিজের]] বিপক্ষে ২৫.২৬ গড় ৩০ উইকেট পান। ২৭ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ টেস্ট উইকেট পান যা একসময় রেকর্ড হিসেবে পরিগণিত হয়েছিল।<ref name="az"/> একই মৌসুমে ভারত সফরে ২১.০০ গড়ে ২১ উইকেট পান। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ টেস্টে অংশ নিয়ে ১/৩৩৩ পেয়েছিলেন ও তাঁর দল [[হোয়াইটওয়াশ]] হয়েছিল।


[[1970-71 Ashes series|১৯৭০-৭১]] মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম চার টেস্টে অংশ নেন। ওয়াকা গ্রাউন্ডে প্রথম টেস্টে খেলার পর মেলবোর্নে একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে প্রথম ওডিআইয়ে ২/২২ পান। পার্থে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে ৪/৬৬ লাভ করেন। সিডনিতে অনুষ্ঠিত ৪র্থ টেস্টে ইংরেজ ফাস্ট বোলার জন স্নো’র [[bouncer (cricket)|বাউন্সারে]] মুখে আঘাত পেলে রিটায়ার্ড হার্ট হন। [[John Snow (cricketer)|স্নো’র]] ৭/৪০-এর ফলে ইংল্যান্ড দল ২৯৯ রানে ব্যবধানে জয়ী হয়।<ref>p101, John Snow, ''Cricket Rebel'', Hamlyn, 1976</ref> আরোগ্যলাভের পর সিরিজ নির্ধারণী সপ্তম টেস্ট শুরুর পূর্বে প্রস্তুতিকালীন খেলায় [[জিওফ্রে বয়কট|জিওফ্রে বয়কটের]] হাত ভেঙ্গে ফেলেন।<ref>p104, John Snow, ''Cricket Rebel'', Hamlyn, 1976</ref> কিন্তু ঐ টেস্টে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এরফলে তাঁর উইকেট সংখ্যা ২৪৬ রয়ে যায় যা রিচি বেনো’র অস্ট্রেলীয় রেকর্ডের চেয়ে মাত্র দুইটি কম ছিল।
[[1970-71 Ashes series|১৯৭০-৭১]] মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম চার টেস্টে অংশ নেন। ওয়াকা গ্রাউন্ডে প্রথম টেস্টে খেলার পর মেলবোর্নে একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে প্রথম ওডিআইয়ে ২/২২ পান। পার্থে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে ৪/৬৬ লাভ করেন। সিডনিতে অনুষ্ঠিত ৪র্থ টেস্টে ইংরেজ ফাস্ট বোলার জন স্নো’র [[bouncer (cricket)|বাউন্সারে]] মুখে আঘাত পেলে রিটায়ার্ড হার্ট হন। [[জন স্নো|স্নো’র]] ৭/৪০-এর ফলে ইংল্যান্ড দল ২৯৯ রানে ব্যবধানে জয়ী হয়।<ref>p101, John Snow, ''Cricket Rebel'', Hamlyn, 1976</ref> আরোগ্যলাভের পর সিরিজ নির্ধারণী সপ্তম টেস্ট শুরুর পূর্বে প্রস্তুতিকালীন খেলায় [[জিওফ্রে বয়কট|জিওফ্রে বয়কটের]] হাত ভেঙ্গে ফেলেন।<ref>p104, John Snow, ''Cricket Rebel'', Hamlyn, 1976</ref> কিন্তু ঐ টেস্টে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এরফলে তাঁর উইকেট সংখ্যা ২৪৬ রয়ে যায় যা রিচি বেনো’র অস্ট্রেলীয় রেকর্ডের চেয়ে মাত্র দুইটি কম ছিল।


== অবসর ==
== অবসর ==
১১২ নং লাইন: ১১৩ নং লাইন:


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{সূত্র তালিকা|2}}


== আরও দেখুন ==
== আরও দেখুন ==
১৩৪ নং লাইন: ১৩৫ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে ৫ উইকেট লাভকারী ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলিয়ার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলিয়ার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:গটেংয়ের ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অব ফেমে প্রবেশকারী]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইন্টারন্যাশনাল ক্যাভেলিয়ার্সের ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইন্টারন্যাশনাল ক্যাভেলিয়ার্সের ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:লিচেস্টারশায়ার ক্রিকেট অধিনায়ক]]
[[বিষয়শ্রেণী:ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:গটেংয়ের ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:টেস্ট ক্রিকেট অভিষেকে ৫ উইকেট লাভকারী ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:পার্থের (পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া) ব্যক্তিত্ব]]
[[বিষয়শ্রেণী:পার্থের (পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া) ক্রীড়াব্যক্তিত্ব]]
[[বিষয়শ্রেণী:পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে আগত ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে আগত ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট খেলোয়াড়]]
[[বিষয়শ্রেণী:বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট খেলোয়াড়]]
[[বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অব ফেমে প্রবেশকারী]]
[[বিষয়শ্রেণী:বর্ষসেরা ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান স্পোর্টস স্টার বিজয়ী]]
[[বিষয়শ্রেণী:বর্ষসেরা ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ান স্পোর্টস স্টার বিজয়ী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পার্থের (পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া) ব্যক্তিত্ব]]
[[বিষয়শ্রেণী:লিচেস্টারশায়ার ক্রিকেট অধিনায়ক]]
[[বিষয়শ্রেণী:পার্থের (পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া) ক্রীড়াব্যক্তিত্ব]]

১১:৪৭, ২১ আগস্ট ২০১৮ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামগ্রাহাম ডগলাস ম্যাকেঞ্জি
জন্ম (1941-06-24) ২৪ জুন ১৯৪১ (বয়স ৮২)
কটস্লো, পার্থ, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট
ভূমিকাবোলার
সম্পর্কএরিক ম্যাকেঞ্জি (বাবা)
ডগলাস ম্যাকেঞ্জি (কাকা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২২০)
২২ জুন ১৯৬১ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট৯ জানুয়ারি ১৯৭১ বনাম ইংল্যান্ড
একমাত্র ওডিআই
(ক্যাপ )
৫ জানুয়ারি ১৯৭১ বনাম ইংল্যান্ড
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৭৯-১৯৮০ট্রান্সভাল
১৯৬৯-১৯৭৫লিচেস্টারশায়ার
১৯৬০-১৯৭৪পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৬০ ৩৮৩ ৭৫১৫
রানের সংখ্যা ৯৪৫ ৫৬৬২ ৫১৯
ব্যাটিং গড় ১২.২৭ ১৫.৬৪ ১১.২৮
১০০/৫০ ০/২ ০/১৮ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৭৬ ৭৬ ৪১*
বল করেছে ১৭৬৮১ ৬০ ৭৬৭৮০ ৭৫১৫
উইকেট ২৪৬ ১২১৯ ২১৭
বোলিং গড় ২৯.৭৮ ১১.০০ ২৬.৯৬ ১৯.৫৫
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৬ ৪৯
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৮/৭১ ২/২২ ৮/৭১ ৫/১৫
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩৪/০ ১/০ ২০১/০ ৩৮/০
উৎস: ক্রিকইনফো, ৩ জানুয়ারি ২০১৬

গ্রাহাম ডগলাস ম্যাকেঞ্জি (ইংরেজি: Graham McKenzie; জন্ম: ২৪ জুন, ১৯৪১) পার্থের কটস্লো এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ও বিখ্যাত অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা। ১৯৬১ থেকে ১৯৭১ সময়কালে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন তিনি। দলে তিনি মূলতঃ বোলার ছিলেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া, লিচেস্টারশায়ারট্রান্সভালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ১৯৬৫ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটাররূপে মনোনীত হন গ্রাহাম ম্যাকেঞ্জি। অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলারদের পথিকৃৎ অ্যালান ডেভিডসনের স্থলাভিষিক্ত হন ও পরবর্তীকালে ডেনিস লিলি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। ম্যাকেঞ্জি মূলতঃ তাঁর পেশীবহুল গড়ন ও চমৎকার ব্যাটিং উপযোগী পীচে উইকেট লাভের দক্ষতার জন্য পরিচিত হয়ে আছেন।

প্রারম্ভিক জীবন

ক্রীড়াপ্রেমী পরিবারে তাঁর জন্ম। বাবা এরিক ম্যাকেঞ্জি ও কাকা ডগলাস ম্যাকেঞ্জি ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলেছেন। কমিক স্ট্রিপের নায়ক গার্থ ম্যাকেঞ্জি অনুসরণে তাঁকে ডাক নামে ডাকা হয়।

কিশোর অবস্থায় ম্যাকেঞ্জি অল-রাউন্ডার ছিলেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অফ স্পিনে দক্ষ ছিলেন। ১২ বছর বয়সে ১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে অনূর্ধ্ব-১৪ দলের আন্তঃরাজ্য প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পান। কিন্তু পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় পোলিও মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ায় দল প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। পরের মৌসুমে পার্থে অনুষ্ঠিত ঐ প্রতিযোগিতায় রাজ্য দলের অধিনায়কত্ব করেন ও দলকে চ্যাম্পিয়নশীপ করতে সহায়তা করেন।[১]

জন কার্টিন হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেন। সেখানে বিদ্যালয়ের প্রথম একাদশে ব্যাট ও বল উভয় বিভাগে ভাল করেন। ষোল বছর বয়সে ক্লেয়ারমন্ট-কটস্লো দলের পক্ষে ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম স্তরভিত্তিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তাঁর। কিন্তু, ক্রীড়াশৈলীতে ধারাবাহিকতা না থাকায় তাঁকে দ্বিতীয় একাদশে অবনমন করা হয়। ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে দ্বিতীয় স্তরভিত্তিক ক্রিকেট খেলতে থাকেন ও পেস বোলারের অভাব থাকায় বোলিং করে ১৪.৫০ গড়ে ৫০ উইকেট পান।

১৯৫৯-৬০ মৌসুমে পুণরায় দলের প্রথম একাদশে অন্তর্ভুক্ত হন। ঐ মৌসুমে ৩৯.৪৬ গড়ে ৫১৫ রান ও ১১.২১ গড়ে ৪৯ উইকেট পান। এরফলে রাজ্য দলনির্বাচকমণ্ডলী মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত শেফিল্ড শিল্ডের খেলায় ভিক্টোরিয়া বিপক্ষে অংশগ্রহণের জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানায়। খেলায় তিনি কোন উইকেট পাননি এবং ২২ ও ৪১ রান তোলেন। পার্থে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলায় তিনি তাঁর প্রথম উইকেট লাভ করেন। মৌসুম শেষে দলীয় অধিনায়ক কেন মিউলম্যান তাঁকে ফাস্ট বোলিংয়ে মনোনিবেশ ঘটানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন।[১]

খেলোয়াড়ী জীবন

শেফিল্ড শিল্ডে চমকপ্রদ ক্রীড়াশৈলীর প্রেক্ষিতে ১৯ বছর বয়সে তাঁকে ১৯৬১ সালের অ্যাশেজ সফরে রিচি বেনো’র নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়া দলের অন্যতম সদস্য মনোনীত হন। লর্ডসে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক ঘটে। খেলায় তিনি ৫/৩৭ লাভ করেন। তন্মধ্যে, শেষ তিন উইকেট দখল করেন মাত্র ১২ বলে। ঐ খেলায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর দল ৫ উইকেটে জয় পায়।

১৯৬৬-৬৭ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেন। এরপর ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে ভারত সফরে যান। কিন্তু, ভারতের বিপক্ষে একমাত্র দশ উইকেট প্রাপ্তির পর শেষ দুই খেলায় তাঁকে নেয়া হয়নি। ধারণা করা হয় যে, ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের উপর তাঁর আধিপত্য বিস্তারের ফলে এ সিরিজে দর্শকদের অংশগ্রহণ কমে যাবে।[২]

১৯৬৮-৬৯ মৌসুমে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৫.২৬ গড় ৩০ উইকেট পান। ২৭ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ টেস্ট উইকেট পান যা একসময় রেকর্ড হিসেবে পরিগণিত হয়েছিল।[২] একই মৌসুমে ভারত সফরে ২১.০০ গড়ে ২১ উইকেট পান। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ টেস্টে অংশ নিয়ে ১/৩৩৩ পেয়েছিলেন ও তাঁর দল হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল।

১৯৭০-৭১ মৌসুমের অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম চার টেস্টে অংশ নেন। ওয়াকা গ্রাউন্ডে প্রথম টেস্টে খেলার পর মেলবোর্নে একদিনের আন্তর্জাতিকের ইতিহাসে প্রথম ওডিআইয়ে ২/২২ পান। পার্থে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে ৪/৬৬ লাভ করেন। সিডনিতে অনুষ্ঠিত ৪র্থ টেস্টে ইংরেজ ফাস্ট বোলার জন স্নো’র বাউন্সারে মুখে আঘাত পেলে রিটায়ার্ড হার্ট হন। স্নো’র ৭/৪০-এর ফলে ইংল্যান্ড দল ২৯৯ রানে ব্যবধানে জয়ী হয়।[৩] আরোগ্যলাভের পর সিরিজ নির্ধারণী সপ্তম টেস্ট শুরুর পূর্বে প্রস্তুতিকালীন খেলায় জিওফ্রে বয়কটের হাত ভেঙ্গে ফেলেন।[৪] কিন্তু ঐ টেস্টে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এরফলে তাঁর উইকেট সংখ্যা ২৪৬ রয়ে যায় যা রিচি বেনো’র অস্ট্রেলীয় রেকর্ডের চেয়ে মাত্র দুইটি কম ছিল।

অবসর

১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলা চালিয়ে যান। ১৯৭৭ সালে অবসর ভেঙ্গে ক্যারি প্যাকারের বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটে অংশ নেন। এরপর তাঁর পরিবার দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যায় ও সেখানে তিনি ঘরোয়া সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অংশ নেন। এরপর পুণরায় পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে আসেন।[২]

প্রথম পশ্চিম অস্ট্রেলীয় হিসেবে ১৯৬৫ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হন।[১] ২০১০ সালে ম্যাকেঞ্জিকে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৫]

তথ্যসূত্র

  1. "Wisden 1965 – Graham McKenzie"। -Wisden। ১৯৬৫। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৫-২১ 
  2. Cashman, Franks, Maxwell, Sainsbury, Stoddart, Weaver, Webster (১৯৯৭)। The A-Z of Australian cricketers। পৃষ্ঠা 193–194। 
  3. p101, John Snow, Cricket Rebel, Hamlyn, 1976
  4. p104, John Snow, Cricket Rebel, Hamlyn, 1976
  5. "Lawry and McKenzie gain places in Hall of Fame"। ESPN Cricinfo। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ 

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ