গোরার মসজিদ
গোরার মসজিদ | |
---|---|
ধরন | প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন |
অবস্থান | কালীগঞ্জ উপজেলা |
অঞ্চল | ঝিনাইদহ জেলা |
পরিচালকবর্গ | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
মালিক | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
গোরার মসজিদ ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।[১] এটি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে বারোবাজার ইউনিয়নের বেলাট দৌলতপুর গ্রামে অবস্থিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]গোরার মসজিদটি আকৃতিগতভাবে বর্গাকৃতির। মসজিদের পূর্বে রয়েছে একটি বড় ঘাটবাঁধানো পুকুর যদিও বর্তমানে পুকুর ঘাটটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। মসজিদটিতে মাত্র একটি গুম্বজ রয়েছে। ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীনে বারোবাজারে প্রত্নতত্ত্বের সন্ধানে খনন কাজ শুরু হলে আরও বেশ কয়েকটি মসজিদের সাথে এই মসজিদটিও আবিষ্কৃত হয়। আবিষ্কারের পরপরই এ মসজিদটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের প্রকাশিত প্রত্নতত্ত্ব তালিকাতে স্থান করে নেয়।
কিংবদন্তি অনুসারে, গোরাই নামে একজন সুফী এ অঞ্চলে এই মসজিদটিতে বসবাস করতেন। তার নাম অনুসারে এ মসজিদকে গোরাই মসজিদ হিসেবে ডাকা হয়। মসজিদের পাশে আবিষ্কৃত একটি কবরকে স্থানীয়রা গোরাই দরবেশের কবর বলে মনে করেন। প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ধারণা করেন, গোরাই মসজিদটি খুব সম্ভবত হোসেন শাহ বা তার পুত্র নসরত শাহ-এর শাসনামলে তৈরি করা হয়েছে।
অবকাঠামো
[সম্পাদনা]গোরাই মসজিদের দেয়ালগুলোর পুরুত্ব কমপক্ষে ৫ ফুট মসজিদে প্রবেশের জন্য রয়েছে তিনটি দরজা যার মধ্যে মাঝখানের প্রবেশপথটি অপর দুটি থেকে অপেক্ষাকৃত বড় আকৃতির। এছাড়াও ধারণা করা হয়ে থাকে মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণের দেয়ালেও দুটি করে মোট চারটি প্রবেশপথ ছিলো যেগুলো এখন আর নেই। এছাড়াও পূর্ব পাশের দেয়াল ব্যতীত বাকী তিনপাশের দেয়ালে চারটি কালো পাথরের স্তম্ভের সন্ধান পাওয়া যায়।
পোড়ামাটিতে তৈরি এ মসজিদটির দেয়ালে এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন আকৃতির নকশা।
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "বারোবাজার - বাংলাপিডিয়া"। ২৬ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬।