সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক
সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক | |
---|---|
জন্ম | মোস্তফাপুর, মৌলভীবাজার জেলা, সিলেট বিভাগ, বাংলাদেশ |
আনুগত্য | বাংলাদেশ |
সেবা/ | বাংলাদেশ সেনাবাহিনী |
পদমর্যাদা | মেজর |
সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক হলেন একজন বাংলাদেশী সাবেক সেনা কর্মকর্তা। তিনি ২০১১ সালের বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিযুক্ত।[১] তিনি আল-কায়েদার সহযোগী আনসারুল্লাহ বাংলা টীমের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছেন বলে বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও কিছু সংবাদপত্র দাবি করে। তার সেনা অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার, আনসারুল্লাহ বাংলা টীমের সন্ত্রাসী হামলার কোন প্রমাণ আদালতে প্রমাণিত হয় নাই।[২][৩]
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার মোস্তফাপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ জিলুল হক একজন ব্যবসায়ী।[৪]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৪১ তম দীর্ঘ কোর্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। তিনি মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে পড়াশোনা করেন। তাকে "বুদ্ধিমান" এবং "আইটি দক্ষ" হিসাবে বর্ণনা করা হয়।
বিতর্ক
[সম্পাদনা]জিয়াউল ২০১১ সালের বাংলাদেশ অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার মূল ভূমিকা হিসেবে অভিযুক্ত।[৪] এই অভ্যুত্থানকে হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশ শাখা সহায়তা দিয়েছিল যা বাংলাদেশের অইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও কিছু সংবাদপত্র দাবি করে। তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টীমে যোগ দিয়ে দ্রুত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি হয়ে উঠেন যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কিছু সংবাদপত্র দাবি করে।[২][৫]
অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে তাকে পলাতক দাবি করে বাংলাদেশ সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সংবাদপত্র ও বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি কাশিমপুর কারাগারের অভ্যন্তরে একটি গোপন বৈঠকে জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিম একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়। সংবাদপত্র সূত্র দাবি করে জামায়াত-মুজাহিদিন বৈঠকে জিয়াকে বোমা তৈরিতে।[৬]
২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তার উপর ৪০ মিলিয়ন টাকার পুরস্কার ঘোষণা করে।[৭]
২০২৪ সালের অক্টোবরে, একজন মেধাবী বাংলাদেশী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন দাবি করেন যে তার উপর এই অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন। মেজর জিয়াকে ২০১১ সালে ডিজিএফআই দ্বারা অপহরণ করে।[৮] তিনি তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে আরো দাবি করেছেন যে প্রথম আলো তাকে জঙ্গি হিসাবে উপস্থাপন করার জন্য দায়ী ছিল।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Arrest Maj Ziaul, Ishraq"। দ্য ডেইলি স্টার। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ "Home-grown militants and ex-major behind Bangladesh attacks, police say"। Reuters। ২৯ জুন ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Ansarullah Bangla Team reorganised as Ansar al-Islam"। দৈনিক প্রথম আলো। ৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ "Major Zia used UK mobile SIM to talk to officers"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Who is militant Zia?"। ঢাকা ট্রিবিউন। ৩ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "JMB sought military skills from Maj Zia"। ঢাকা ট্রিবিউন। ৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Tk40 lakh bounty on top 2 militants, details released"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "সাংবাদিক ইলিয়াসের প্রতবেদন প্রকাশের পর ঢাবিতে প্রথম আলো-ডেইলি স্টার পত্রিকা পুড়িয়ে বয়কটের ডাক"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০২৪।