সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯
জাতীয় সংসদ
কার্যকারী এলাকাসারা বাংলাদেশে কার্যকর
প্রণয়নকারীজাতীয় সংসদ
অবস্থা: যথেষ্ট সংশোধিত

সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ একটি বাংলাদেশি আইন যা সন্ত্রাসী কার্য প্রতিরোধ এবং কার্যকর শাস্তির বিধানসহ আনুষঙ্গিক বিষয়াদি সম্পর্কে সন্ত্রাসবাদকে সুনির্দিষ্টভাবে লক্ষ্য করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

আইনটি ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার প্রণয়ন করেছিল। আইনটি ২০০৮ সালের ১১ জুন থেকে কার্যকর করা হয়েছিল। আইনটি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধে তৈরি করা হয়েছিল।[২] আইনটি ২০১১ ও ২০১৩ সালে সংশোধন করা হয়েছিল। সংশোধনী আইনের অধীনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড করা হয়।[৩]

সমালোচনা[সম্পাদনা]

মানবাধিকার সংগঠন অধিকার, সরকারক আইনটিকে বিরোধী ব্যক্তিদের উপর দমন করার জন্য ব্যবহার হচ্ছে এই অভিযোগে বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে। [৪] এই আইনের অধীনে মামলাগুলির বিচার শুরু হওয়ার জন্য সরকারের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়, যা কখনও কখনও বিলম্ব হয়, ফলে কার্যকরভাবে মামলাগুলি আইনি বিড়ম্বনায় ফেলে দেয়। [৫]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Anti Terrorism Act, 2009" (পিডিএফ)satp.org। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  2. এ.এম.এম শওকত আলী (২০১২)। "সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯"ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিআইএসবিএন 9843205901ওএল 30677644Mওসিএলসি 883871743 
  3. "Bangladesh: New Amendment to Anti-Terrorism Act gags Freedom of Expression"Worldwide Movement for Human Rights (ফরাসি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  4. "Odhikar's concern about Anti-Terrorism Act 2009"odhikar.org। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  5. "27 anti-terror cases stuck"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২৩ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭