সর্বত মঙ্গল রাধে বিনোদিনী রাই

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলা-এর সঙ্গীত
বাউল, বাংলার আধ্যাত্মিক গান
ধরন
নির্দিষ্ট ধরন
ধর্মীয় সঙ্গীত
জাতিগত সঙ্গীত
ঐতিহ্যবাহি সঙ্গীত
মিডিয়া এবং কর্মক্ষমতা
সঙ্গীত মিডিয়াবেতার

টেলিভিশন

ইন্টারনেট

সর্বত মঙ্গল রাধে বিনোদিনী রাই একটি প্রচলিত কীর্তন। এটি যুবতী রাধা আর কৃষ্ণের প্রথম দর্শনের অনুভূতি সম্পর্কিত গীতি।[১] রাধাকৃষ্ণ'র কীর্তি প্রধান, এই লোকসঙ্গীতের কথা, ১৬৫০ সালের কবি দ্বিজ কানাই রচিত মহুয়া পালা হতে উৎপাদিত, প্রভাবিত এবং কালের পরিক্রমায় স্থানীয় বাউলদের যোগ করা ছত্রে সমৃদ্ধ। গানের কথাগুলি ভগ্নাংশ অথবা সম্পূর্ণরূপে বাউলদের ব্যক্তিগত পান্ডুলিপি, লোকসাহিত্যের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক সংগ্রহ ও সংকলনে পালাগান, পল্লীগীতি, গ্রাম্য ছড়াঝাঁপান গান আকারে প্রকাশিত হয়েছে।[২] গানটির বর্তমান প্রচলিত গীতিরূপ মূলত উল্লিখিত লৌকিক সাহিত্য উপাদানের যৌগিক মিশ্রণ। বাংলার বাউলদের কন্ঠে নিয়মিত পরিবেশিত কীর্তনটির বিভিন্ন সময় একক অথবা সঙ্গীতদল কর্তৃক অনুষ্ঠানিক সঙ্গীতায়োজন, পরিবেশন ও প্রকাশ হয়েছে। গানটি মেধাস্বত্ব বিতর্কের জন্য আলোচিত।

গীত উৎস[সম্পাদনা]

সর্বত মঙ্গল রাধে গানটির নির্দিষ্ট কোন গীতিকার নেই এবং গানটির সুসংহ গীত নেই, বরং পালাগান, পল্লীগীতি, গ্রাম্য ছড়া ও ঝাঁপান গান হতে রাধাকৃষ্ণ প্রণয়ের ঘটনা নিয়ে এই গান গাওয়া হয়। বিভিন্ন সময় গানটির গীতিকবিতা অংশসমূহের আংশিক অথবা অধিকাংশ'র আনুষ্ঠানিক প্রকাশ ঘটেছে গ্রাম্যছড়া, লোকসঙ্গীত, পালা ও ঝাপান গানের সংকলনে। এটির আধুনিক সংস্করণগুলিতে পরিবেশনকারী দল বা শিল্পীরা প্রচলিত গীতির পাশাপাশি নিজস্ব শব্দচয়ন যুক্ত করে চলিত রূপ দিয়েছেন।[৩] গানটির সুচনাংশের কয়েকটি সংস্করণ রয়েছে, তারমধ্যে বিমল কুমার মুখোপাধ্যায়ের ‘বাঙলার গ্রাম্যছড়া’ নামক বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলের গ্রাম্য ছড়ার সংকলনের গীতি[৪] এবং আশুতোষ ভট্টাচার্য্যের 'বঙ্গীয় লোক-সঙ্গীত রত্নাকর' গ্রন্থে একটি ঝাপান গানের গীতি উল্লেখযোগ্যঃ[৫]

সর্বমঙ্গলে রাধে বিনোদিনী রাই।
বৃন্দাবনে বন্দী পীর ঠাকুর কানাই

অথবা

সর্ব জয় মঙ্গলা রাধে বিনোদিনী রায়।
বৃন্দাবন মন্দিরে গাইব ঠাকুর কানাই
আজকে রাধে কুম্ভ কক্ষে জল ভরিতে যায়।
ধীরে ধীরে চিকন কালা পিছে পিছে যায়।

বাংলা গ্রাম্যছড়াবঙ্গীয় লোক-সঙ্গীত রত্নাকর ছাড়াও কীর্তনটির সূচনাংশ বাংলা একাডমির 'লোকসাহিত্য সংকলন'[২] এবং গিরিবালা দেবী কর্তৃক 'রায়বাড়ি' গ্রন্থে অল্পবিস্তর সংকলিত হয়েছে।[৬] গানের আনুষ্ঠানিক প্রকাশগুলির মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন অংশটি কবি দ্বিজ কানাইয়ের ১৬৫০ সালে রচিত মহুয়া পালার ৫ নং পর্বের অন্তর্গত। যেটি দীনেশচন্দ্র সেনের ময়মনসিংহ অঞ্চলের পালা সংকলন মৈমনসিংহ গীতিকার অন্তর্গতঃ[২]

‘লজ্জা নাই নির্লজ্জ ঠাকুর লজ্জা নাইরে তর।
গলায় কলসি বাইন্দা জলে ডুব্যা মর \’
কোথায় পাব কলসি কইন্যা, কোথায় পাব দড়ী।
তুমি হও গহীন গাঙ্ আমি ডুব্যা মরি \’

গীতিকবিতার আরেকটি প্রধান অংশ পাওয়া যায় আশুতোষ ভট্টাচার্য্যের লেখা ‘বাংলার লোক-সাহিত্য’ গ্রন্থে। আশুতোষ ভট্টাচার্য্য মনে করেন, এই পদগুলোর মধ্যে ‘মৈমনসিংহ-গীতিকা’র মহুয়া পালার সুপরিচিত কয়েকটি পদ দ্বারা প্রভাবিতঃ[৭]

ছান করিয়া আইস্যা রাধে মেইলা দিলেন চুল,
পিছন হইতে কিষ্টঠাকুর মেইলা মারলেন ফুল।
“অমন ক্যানে কর কিষ্ট, অমন ক্যানে কর?
যমুনার জলে গিয়া তুমি ডুইব্যা মর।”
“কোথায় পাইমু হাড়ি কলসী, কোথায় পাইমু দড়ি?
রাধে, তুমি হও যমুনার জল, আমি ডুইব্যা মরি।”

সরলপুর সংস্করণ[সম্পাদনা]

"যুবতি রাধে"
সরলপুর কর্তৃক একক সঙ্গীত
রেকর্ডকৃত২০১২
প্রযোজকতারিকুল ইসলাম তপন

বাংলাদেশের শেরপুর ভিত্তিক সঙ্গীতদল সরলপুর কীর্তনটির একটি সংস্করণ যুবতী রাধে শিরোনামে পরিবেশন করে থাকে।[৮] সরলপুরের ভাষ্য অনুযায়ী, এই সংস্করণটির ৩০ শতাংশ বাউলদের প্রচলিত কথ্যগীত এবং বাকি ৭০ শতাংশ দলটির নিজস্ব শব্দচয়নে রচিত। দলটি ২০০৮ সালে বকশীগঞ্জের বাউল ও তার সাধন সঙ্গিনীর কাছ থেকে (প্রেমলীলা নামে আখ্যায়িত)[৯] কীর্তনটির প্রচলিত কথ্যরূপ সংগ্রহ করে।[৩][১০] দলটির প্রতিষ্ঠাতা তারিকুল ইসলাম তপন প্রচলিত কথ্যরূপের সাথে সমার্থক চলিত শব্দে নিজস্ব বচনযুক্ত করে যুবতি রাধে শিরোনামে ৪২ পঙতির[১১] আধুনিক সংস্করণ রচনা এবং সুরারোপ করেছিলেন। ২০১২ সালে যুবতী রাধে-এর সঙ্গীত আয়োজন ও ধারণ করা হয়।[৩]

যুবতী রাধে সহ সরলপুরের কোন গান আনুষ্ঠানিক স্টুডিও এ্যালবামে প্রকাশ হয়নি,[১২] বরং গানটি বিভিন্ন কনসার্ট ও টেলিভিশনের সরাসরি প্রচারের সঙ্গীতানুষ্ঠানে একাধিক বার পরিবেশন করা হয়েছে।[১১]

সুমি মির্জা সংস্করণ[সম্পাদনা]

"বিনোদিনী রাই"
সুমি মির্জা কর্তৃক একক সঙ্গীত
মুক্তিপ্রাপ্ত৮ আগস্ট, ২০১৯
লেবেললেজার ভিশন
প্রযোজকমাহমুদ সানি

এই সংস্করণটি বাংলাদেশের কণ্ঠশিল্পী সুমি মির্জার কন্ঠে বিনোদিনী রাই শিরোনামে ধারণকৃত। সংস্করণটির প্রথম আট পঙতি কন্ঠশিল্পীর নিজস্ব শব্দচয়নে এবং অবশিষ্ঠ অংশ মহুয়াপালার অন্তর্গত। মাহমুদ সানির সঙ্গীতায়োজনে ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল লেজার ভিশনের পরিবেশনায় ইউটিউবে প্রকাশিত হয়।[৩]

প্রকাশিত গানটি সরলপুরের সাথে মেধাস্বত্ব জটিলতায় নাম পরিবর্তন করে পরবর্তীতে বিনোদিনী রাই শিরোনামে ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট পুনরায় সঙ্গীতচিত্র হিসেবে ইউটিউবে প্রকাশিত হয়।[১৩] বিড়ম্বনা এড়াতে সুমি মির্জা এই সংস্করণের একটি পৃথক মেধাস্বত্ব নেন।[৩]

আমাদের গান সংস্করণ[সম্পাদনা]

"সর্বত মঙ্গল রাধে"
আইপিডিসি আমাদের গান অ্যালবাম থেকে
মেহের আফরোজ শাওনচঞ্চল চৌধুরী কর্তৃক একক সঙ্গীত
মুক্তিপ্রাপ্ত২০ অক্টোবর, ২০২০
বিন্যাসভিডিও স্ট্রিমিং
রেকর্ডকৃত২০২০
স্থানঢাকা, বাংলাদেশ
দৈর্ঘ্য০৪:৪৯
লেবেলআইপিডিসি আমাদের গান
প্রযোজকপার্থ বড়ুয়া

এই সংস্করণটি আইপিডিসি আমাদের গান প্রকল্পে ৮টি গানের সঙ্গীতায়োজনের অংশ হিসেবে প্রকাশিত হয়। ২০২০ সালের অক্টোবরে আইপিডিসি ও বিজ্ঞাপনি সংস্থা ক্রিয়েটো বাংলাদেশের লোকজ সংগীতকে সাম্প্রতিক সময়ের উপযোগী করে নতুন সঙ্গীতায়জন ও প্রকাশের ঘোষণা দেয়।[১৪] তাদের বাছাই করা লোকগানগুলির মধ্যে 'সর্বত মঙ্গল রাধে' অন্যতম।[১] গানটি ধারণ করা হয় পার্থ বড়ুয়ার সঙ্গীত পরিচালনায়, মেহের আফরোজ শাওনচঞ্চল চৌধুরীর দ্বৈত পরিবেশনায়।[১২][১৫] ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর আয়োজনের তৃতীয় একক গান হিসেবে সরাসরি ইউটিউবে সঙ্গীতচিত্র প্রকাশ করা হয়।[১৬]

গ্রহণযোগ্যতা ও প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

গানটি দ্রুত সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় হয়।[১৭][১৮] কন্ঠদানের জন্য শাওন ও চঞ্চল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দর্শক-শ্রোতাদের প্রশংসা অর্জন করেন।[৮][১৯] গানটিকে ২০২০ সালে বাংলাদেশে প্রযোজিত সবচেয়ে বেশি দর্শন পাওয়ার যোগ্য গান হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল।[২০] গানটির গীতি 'লোকজ সঙ্গীত ও সংগৃহীত' হিসেবে প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পর, সরলপুর গানটির গীতিকবিতা তাদের 'যুবতী রাধে' গানের নকলের অভিযোগ তুলে মেধাস্বত্ত্ব লঙ্ঘনের দাবী করে।[১১] প্রকাশের একদিন পর,[২১] সরলপুর দলটির আনুষ্ঠানিক আইনি অভিযোগের আগেই গানটির প্রযোজকরা তাদের ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পাতা থেকে গানটি অপসারণ করে।[২২]

মেধাস্বত্ব বিতর্ক[সম্পাদনা]

গানটি বাংলার চিরায়ত লোকগান। লোকসঙ্গিতগুলি বাংলাদেশের মেধাস্বত্ব আইন অনুযায়ী পাবলিক ডোমেইনের অংশ। তথাপি গানটির স্বত্ত্ব নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়। বাংলাদেশ হতে 'যুবতী রাধে' ও 'বিনোদিনী রাই' নামে এই গানের দুইটি মেধাস্বত্ব গৃহীত হয়। ২০১৮ সালের ৪ জুন, বাউল ও তার সাধন সঙ্গিনীকে কোন কৃতিত্ব না দিয়ে সরলপুর তাদের প্রযোজিত সংস্করণটির জন্য বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস হতে মেধা স্বত্ত্ব গ্রহণ করে;[১২][২৩] তাদের নিজস্ব মেধাস্বত্তের গানটি ইউটিউবে একটি অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে প্রকাশের সময় এবিষয়ে উল্লেখ না করায় পরবর্তীতে প্রকাশিত সংস্করণগুলির কন্ঠশিল্পীদের বিভ্রান্ত করে।[১১]

সরলপুর পরবর্তীতে প্রকাশিত সংস্করণগুলির ক্ষেত্রে স্বত্ব লঙ্ঘন, অপসারণের দাবী এবং আইনি অভিযোগ করে।[৮][১১] ২০১৮ সালে সুমি মির্জা তার গানটি 'সংগৃহিত' উল্লেখ করেছিলেন। সুমি তার গীতি উৎস 'মৈমনসিংহ গীতিকা' হলেও প্রমাণ করতে পারেননি। সুমির বিরুদ্ধে সরলপুর আইনি ব্যবস্থা নিলে কপিরাইট অফিস সরলপুরকে মেধাস্বত্ব প্রদান করে।[১০] সুমি তার সংস্করণে ভাবগত মিল রেখে শব্দচয়নে পরিবর্তন আনেন, এবং মেধাস্বত্ব নিয়ে পুনরায় বিনোদিনী রায় নামে প্রকাশ করেন। তথাপি সরলপুরের সাথে সুমির দ্বন্দ্ব, বাংলাদেশের আদালতে 'অমিমাংসিত' অবস্থায় রয়েছে।[৮] দ্বিতীয়বার, সরলপুর আইপিডিসি'র বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে।[১১] তাদের গানের সাথে 'কোথাও কোন গানের হুবহু মিল নেই' বক্তব্য দেয়[১০] এবং গানের গীতি ও সুর তাদের নিজস্ব দাবী করে[১২] আইপিডিসি'র বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করে।[১১]

সাইমন জাকারিয়া যুবতী রাধে-র মৌলকত্ব নিয়ে অভিযোগ করেন।[২৪] তিনি আশুতোষ ভট্টাচার্য সম্পাদিত 'বঙ্গীয় লোক-সঙ্গীত রত্নাকর'-এর ১৯৬০ সংস্করণ, ‘বাংলার লোকসাহিত্য'-এর ১৯৬২ সংস্করণে কীর্তনটির বিভিন্ন পঙ্‌ক্তি এবং পাবনার বাউল নেপাল চন্দ্র দাশের হস্তলিখিত ‘বাঁশি চুরি’ কবিতার পাণ্ডুলিপিতে এই গানের বিভিন্ন পঙ্‌ক্তির সাথে সরলপুরের গীতির ভাবগত ও ক্ষেত্রবিশেষে হুবহু মিলের বর্ণনা ও বরাত দিয়ে কীর্তনটিকে বাংলাদেশের গ্রামের লোকায়ত গান হিসেবে প্রমাণ উপস্থাপন করেন।[৯][২৫] বিভিন্ন গ্রন্থ ও পান্ডুলিপির সূত্র উপস্থাপনের পাশাপাশি গানটির প্রাচীনত্ব প্রমাণের জন্য বাউলদের উৎসবে 'সমাপনী সঙ্গীত' হিসবে পরিবেশনের গানটির ভিডিও উপস্থাপন করেন।[২৫]

২০২০ সালের ২৩ অক্টোবর, ৬০ বছরের পুরনো নথিতে চিরায়ত লোকগান হিসেবে এই গানের প্রাচীনত্ব উপস্থাপন করার পর[২৬][২৭] ২৮ অক্টোবর আইপিডিসি সরলপুরের সংস্করণটির মৌলিকত্ব নিয়ে বাংলাদেশের কপিরাইট অফিসে পাল্টা অভিযোগ করে।[২৮] ২ নভেম্বর, সরলপুরের গানটিতে কবি দ্বিজ কানাইয়ের মহুয়া পালা, আশুতোষ ভট্টাচার্যের বাংলার লোক-সাহিত্য (দ্বিতীয় খণ্ড) ও বিমল কুমার মুখপাধ্যায়ের বাংলার গ্রাম ছাড়া গ্রন্থটিতে প্রকাশিত লেখার সঙ্গে শব্দচয়নের প্রায় হুবহু মিল থাকায় গানটির মৌলিকত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়নি মর্মে তাদের সংস্করণটির মেধাস্বত্ত্ব বাতিলের জন্য আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।[২৩] গানটির লোকগান হিসেবে প্রমাণ ও মেধাস্বত্ব বিলোপের বিষয়টি প্রমাণ দুইপক্ষ থেকে চাওয়া হয়।[২৯] কপিরাইট অফিস গানটির কথা নিয়ে তদন্ত করার নিমিত্তে বাংলা একাডেমি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের শিক্ষকদের নিরীক্ষা ও মতামত নেয়। তদন্তে গানটি লোকগান হিসেবে প্রমাণিত হওয়ায়, ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি কপিরাইট অফিস সরলপুরের সংস্করণটির মেধাস্বত্ব বাতিল করে।[৩০][৩১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "শাওন-চঞ্চলের কণ্ঠে 'সর্বত মঙ্গল রাধে'"শাওন-চঞ্চলের কণ্ঠে ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’বণিক বার্তা। ২০২০-১০-২২। ২০২২-০১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৫ 
  2. ফরিদ হাসান, মুহাম্মদ (২০২০-১০-২৫)। "'সর্বত মঙ্গল রাধে' গানটির উৎস কোথায়?"জাগো নিউজ। ২০২১-০১-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১২ 
  3. "গানের আসল মালিক কে?"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২০২০-১০-২২। ২০২০-১১-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৭ 
  4. কুমার, বিমল ১৯৭৪, পৃ. ১৬-১৭।
  5. আশুতোষ ১৯৬৭, পৃ. ৫৭৫-৫৭৬।
  6. গিরিবালা ১৯৯১, পৃ. ১০৯।
  7. আশুতোষ ১৯৫৪, পৃ. ২১২-২১৩।
  8. "Chanchal and Shaon's 'Shorboto Mongolo Radha' controversy explained" [চঞ্চল ও শাওনের 'সর্বত মঙ্গল রাধা'র বিতর্কের ব্যাখ্যা]। ঢাকা ট্রিবিউন (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১০-২২। ২০২১-০১-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৯ 
  9. "যেসব কারণে 'সর্বত মঙ্গল রাধে' গানের মালিকানা কারো হতে পারে না"জাগো নিউজ। ২০২০-১০-২৯। ২০২১-০১-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৩ 
  10. সাদ, সাইমুম (২০২০-১০-২২)। "কপিরাইট: 'সর্বত মঙ্গল রাধে' নিয়ে বিতর্ক"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২০২১-০১-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৩ 
  11. "কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ দায়ের করল 'সরলপুর'"সময় টিভি। ২০২০-১২-০৯। ২০২২-০১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৭ 
  12. "'যুবতী রাধে' নিয়ে চরম বিভ্রান্ত শাওন"প্রথম আলো। ২০২০-১০-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  13. "বিনোদিনী রাই"লেজার ভিশন। ২০১৯-০৮-০৮। ২০২১-০২-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৮ইউটিউব-এর মাধ্যমে। 
  14. "পার্থ বড়ুয়ার সংগীতায়োজনে 'আইপিডিসি আমাদের গান'"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। ২০২০-১০-০৫। ২০২১-০৫-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৭ 
  15. "'যুবতী রাধে' বির্তকে যা বললেন চঞ্চল চৌধুরী"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০২০-১০-২৪। ২০২১-০১-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৩ 
  16. "চঞ্চল-শাওনের ভাইরাল গান নিয়ে যা বলল আয়োজক আইপিডিসি"জাগো নিউজ। ২০২০-১০-২৪। ২০২০-১২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৭ 
  17. "কোন গানে শাওন নেচেছেন, প্রশ্ন সরলপুরের"রাইজিংবিডি.কম। ২০২০-১১-২৪। ২০২১-০২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৭ 
  18. "সংগীতাঙ্গন ২০২০ :মেধাস্বত্ব নিয়ে সচেতনতার বছর"দৈনিক ইত্তেফাক। ২০২০-১২-৩১। ২০২২-০১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৩ 
  19. "চঞ্চল-শাওনের 'যুবতি রাধে' ভাইরাল (ভিডিও)"রাইজিংবিডি.কম। ২০২০-১০-২১। ২০২০-১১-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৭ 
  20. "করোনায় ওটিটির উত্থান"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ২০২০-১২-৩১। ২০২১-০২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৭ 
  21. "Chanchal and Shaon's cover of "Juboti Radhe" removed due to copyright claim" [মেধাস্বত্ত্ব দাবী করায় চঞ্চল ও শাওনের গাওয়া 'যুবতি রাধে' অপসারণ]। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১০-২১। ২০২০-১১-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৭ 
  22. "যে কারণে 'সর্বত মঙ্গল রাধে' গানের কপিরাইট নিয়ে বিভ্রান্তি"বিবিসি বাংলা। ২০২০-১০-২৫। ২০২১-০১-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৭ 
  23. "'যুবতী রাধে' গানের কপিরাইট বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ"সময় টিভি। ২০২০-১১-০৪। ২০২১-০১-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৯ 
  24. "'যুবতী রাধে' বিতর্ক : এখন যা বলছে 'সরলপুর' ব্যান্ড"এনটিভি অনলাইন। ২০২০-১১-২৪। ২০২১-০১-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৩ 
  25. "'সর্বত মঙ্গল রাধে' লোকজ গান, কপিরাইট হীন উদ্দেশ্যে নেওয়া!"বার্তা২৪ ডট কম। ২০২০-১০-২৭। ২০২০-১১-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৩ 
  26. "চঞ্চল ও শাওনের গাওয়া গান–বিতর্ক: কে কী বলছেন"প্রথম আলো। ২০২০-১০-২৩। ২০২০-১১-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৩ 
  27. "'যুবতী রাধে' গানের সমাধান মিলছে না, মামলা করবে সরলপুর"দৈনিক সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১০-৩০। ২০২২-০১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৩ 
  28. "'যুবতী রাধে' গানের সমাধান মিলছে না"চ্যানেল টুয়েন্টিফোর। ২০২০-১০-২৮। ২০২০-১১-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৩ 
  29. "'সর্বত মঙ্গল রাধে' গানের কপিরাইট, যা বলল তিন পক্ষ"দৈনিক সমকাল। ২০২০-১১-০৫। ২০২২-০১-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৩ 
  30. "'সর্বত মঙ্গল রাধে' গানটি চুরি করেছে 'সরলপুর' ব্যান্ড!"ঢাকা পোস্ট। ২০২২-০১-২৭। ২০২২-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-০২ 
  31. "চৌর্যবৃত্তির অপরাধে 'যুবতী রাধে' গানটির স্বত্ব সরলপুর ব্যান্ডের থাকছে না"প্রথম আলো। ২০২২-০১-২৭। ২০২২-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-০২ 

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

  • মুখোপাধ্যায়, বিমল কুমার (১৯৭৪)। বাঙলার গ্রাম্যছড়াকলকাতা: স্বারস্বত লাইব্রেরি। পৃষ্ঠা ১৬-১৭। 
  • ভট্টাচার্য্য, আশুতোষ (১৯৬৭)। বঙ্গীয় লোক-সঙ্গীত রত্নাকর৩য়কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ লোক সাহিত্য গবেষণা পরিষদ। পৃষ্ঠা ৫৭৫-৫৭৬। 
  • দেবী, গিরিবালা (১৯৯১)। রায়বাড়ি১মকলকাতা: দে’জ পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ১০৯। 
  • ভট্টাচার্য্য, আশুতোষ (১৯৫৪)। বাংলার লোক-সাহিত্য২য় (১ম সংস্করণ)। কলকাতা: ক্যালকাটা বুক হাউজ। পৃষ্ঠা ২১২-২১৩।