শিমুল বাগান
''শিমুল বাগান'' বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ১০০ বিঘার বেশি জায়গা জুড়ে যাদুকাটা নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা দেশের সবচেয়ে বড় শিমুল বাগান। [১][২]
অবস্থান
[সম্পাদনা]সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর নিকটবর্তী মানিগাঁও গ্রামে প্রায় ১০০ বিঘারও বেশি জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা এক শিমুল গাছের বাগান। নদীর ওপারে ভারতের মেঘালয় পাহাড়, মাঝে মায়ার নদী যাদুকাটা আর এপারে রক্তিম ফুলের সমারোহ, অগুণতি পাখির কলকাকলি। [৩][৪]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]২০০২ সালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মানিগাঁও গ্রামের যাদুকাটা নদী সংলগ্ন লাউয়ের গড়ে বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ধনাঢ্য ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন নিজের প্রায় ২ হাজার ৪০০ শতক জমিতে শৌখিনতার বসে শিমুল গাছ রোপণের উদ্যোগ নেন। তিনি প্রায় তিন হাজার শিমুল গাছ রোপণ করেন। দিনে দিনে বেড়ে ওঠা শিমুল গাছগুলো এখন হয়ে উঠেছে শিমুল বাগান। বাগানের সঙ্গে লেবুর বাগানও গড়ে উঠেছে।
বৈচিত্র্য
[সম্পাদনা]বসন্ত এলে দুহাজার শিমুল গাছ ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। ফাগুনের অরুণ আলোয় ফোটে বাগানের শিমুল ফুলগুলো। চোখের তৃষ্ণা মেটাতে টাঙ্গুয়ার হাওর, মেঘলয় পাহাড়ের পাদদেশে ও রূপের নদী যাদুকাটার মধ্যস্থলের বিশাল শিমুল বাগানে ফুটে ওঠা টুকটুকে লাল শিমুল ফুলগুলো দেখতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন শত শত পর্যটক। বসন্তের দুপুরে পাপড়ি মেলে থাকা শিমুলের রক্তিম আভা মন রাঙায় তো বটেই, ঘুম ভাঙায় শৌখিন হৃদয়ের। এ যেনো কল্পনার রঙে সাজানো এক শিমুলের প্রান্তর। ওপারে ভারতের মেঘালয় পাহাড়, মাঝে যাদুকাটা নদী আর এপাড়ে শিমুল বন। সব মিলে মিশে গড়ে তুলেছে প্রকৃতির এক অনবদ্য কাব্য।[৫]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "শিমুল যেথা রাঙায় সবার মন"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।
- ↑ শামস শামীম (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "সুনামগঞ্জ সীমান্তের রক্তরাঙা শিমুল বাগান"। দৈনিক কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ফয়সাল খলিলুর রহমান (৪ মার্চ ২০১৭)। "জাদুকাটা নদীপারের শিমুলবন"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৯।
- ↑ "বসন্তে ঘুরে আসুন সুনামগঞ্জের শিমুল বাগান"। jagonews24.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।
- ↑ এমরানুল হক চৌধুরী (১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "তাহিরপুরের শিমুল বাগান- সৌন্দর্যে নেচে ওঠে প্রকৃতিপ্রেমী"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৯।