মোল্লা ফজলে আকবর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মোল্লা ফজলে আকবর
জন্মচট্টগ্রাম
আনুগত্য বাংলাদেশ
সেবা/শাখা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
কার্যকাল৩০ নভেম্বর ১৯৭৬ - ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
পদমর্যাদা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
ইউনিটআর্টিলারি কর্পস
নেতৃত্বসমূহ
যুদ্ধ/সংগ্রামলাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ

মোল্লা ফজলে আকবর ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তিন তারকা জেনারেল। তিনি সাবেক মহাপরিচালক প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর। তিনি বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) চেয়ারম্যান।[১]

শিক্ষা জীবন[সম্পাদনা]

মোল্লা ফজলে আকবর বেলুচিস্তান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওয়ার স্টাডিজে বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আর্টস ব্যাচেলর ডিগ্রী লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স ইন সোস্যাল স্টাডিজ (এমএসএস) এবং রয়াল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা থেকে মাস্টার্স অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স অফ ফিলোসফি (এমফিল) অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইপি)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সহকারী হিসাবে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।

তিনি দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন সামরিক কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি চীন থেকে এন্টি বিমান ফায়ারিং ড্রোন কোর্স এবং যুক্তরাজ্য থেকে নিরাপত্তা গোয়েন্দা প্রশাসন কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি পাকিস্তানের কোয়েটা সেনা কমান্ড এবং স্টাফ কলেজের স্নাতক। তিনি বাংলাদেশ জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজের স্নাতক।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

সামরিক[সম্পাদনা]

৩০ নভেম্বর ১৯৭৬ সালে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কর্পসে কমিশন করেন।

তিনি দুই পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর, স্টাফ অফিসার প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), গ্রেড এক স্টাফ অফিসার (প্রশিক্ষণ ও অপারেশনস) ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন, ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সহকারী প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা এবং কর্নেল হিসাবে কাজ করেন। একটি পদাতিক বিভাগের স্টাফ। সেনাবাহিনী সদর দফতরের জেনারেল স্টাফ শাখায় সামরিক অপারেশন ও আর্টিলারি ডিরেক্টর হিসাবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

মোল্লা ফজলে আকবর একটি বিমান প্রতিরক্ষা আর্টিলারি রেজিমেন্ট কমান্ডার। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ব্রিগেড (এডিএ) এবং একটি ফিল্ড আর্টিলারি ব্রিগেড কমান্ডার। তিনি বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নামে পরিচিত বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সেক্টর কমান্ডার।

তাকে ২০০৯ সালে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। [২] ২০১০ সালে তাকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়।[৩] তিনি মহাপরিচালক হিসেবে তার কার্যকালীন সময়ে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সহযোগিতা উন্নত করেছিলেন। তিনি সন্ত্রাসবাদ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মনোযোগ দিয়ে ছিলেন। [৪][৫]

তার শেষ কার্যভারে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) কমান্ড্যান্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। মার্চ ২০১০ সাল থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রেজিমেন্টের আর্টিলারি বিভাগের কর্নেল কমান্ড্যান্ট ছিলেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। [১]

জাতিসংঘ মিশন[সম্পাদনা]

তিনি লাইবেরিয়ায় বাংলাদেশ সেক্টরের প্রথম সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। ইউএনএমআইএল (লাইবেরিয়ায় জাতিসংঘ মিশন) যেখানে তিনি ব্রিগেড গ্রুপ ফোর্সকে অন্তর্ভুক্ত করেন ও কমান্ড দেন।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Lt Gen Mollah Fazle Akbar | Aviation Show MENASA"www.terrapinn.com। ২০১৬-১১-০৭। ২০১৬-১১-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-১১ 
  2. "New DGFI chief named"bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৬ 
  3. "2 army officers promoted to lieutenant general"thedailystar.net। The Daily Star। ২৪ মে ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৬ 
  4. "Bangladesh's Intelligence Chief Pledges to Fight Terrorism and Respect Human Rights"wikileaks.org। Bangladesh Dhaka। ৬ অক্টোবর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৬ 
  5. "Bangladesh's New Intel Chief Promises Enhanced Ct Cooperation"wikileaks.org। Bangladesh Dhaka। ১৪ মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ নভেম্বর ২০১৬