ব্যবহারকারী:Robin Saha/খেলাঘর/১১

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

কল্কি অবতার হিসেবে দাবীদার[সম্পাদনা]

কল্কি অবতার

কল্কি হচ্ছেন হিন্দুধর্মের একটি পৌরাণিক চরিত্র। পুরাণ অনুযায়ী তিনি হচ্ছেন বিষ্ণুর দশম অবতার, যিনি কলি যুগের অবসান ঘটাবেন, অন্ধকার ও ধ্বংসাত্মক সময়ের অবসান ঘটিয়ে সত্যকে পুনরুজ্জীবিত করবেন, অধর্ম দূর করবেন ও সত্যযুগের সূচনা করবেন। হিন্দুধর্মের এই পৌরাণিক চরিত্রকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যাক্তিকে কল্কি অবতার হিসেবে দাবী করা হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের তালিকা যারা নিজেদের অতীতে "কল্কি অবতার বলে দাবি করেছেন" বা "তাদেরকে দাবী করা হয়"।

মসীহ[সম্পাদনা]

মশীহ বা মসীহ ইব্রাহিমীয় ধর্ম অনুসারে নির্দিষ্ট একটি জনগোষ্ঠীর ত্রাণকর্তা বা রক্ষাকারী। ইব্রাহিমীয় ধর্মের অনুসারীরা বিশ্বাস করেন যে অদূর ভবিষ্যতে মসীহের পৃথিবীতে আবির্ভাব হবে এবং তিনি পৃথিবীতে ন্যায়ের রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে অনুসারীদের সাথে করা স্রষ্টার অঙ্গীকার সম্পন্ন করবেন।

মাহদী[সম্পাদনা]

মাহদী হলেন ইসলামি পরলোকতত্ত্ব অনুসারে একজন প্রতীক্ষিত ত্রাণকর্তা, মুক্তিদাতা বা মশীহীয় ব্যক্তিত্ব যিনি শেষ যুগে আবির্ভূত হবেন এবং পৃথিবী থেকে অন্যায় ও অশুভ শক্তি দূরীভূত করে ন্যায়বিচার ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। ইসলামি ঐতিহ্যমতে তিনি নবী ঈসার সঙ্গে আগমন করবেন এবং ঈসা মাহদীকে দজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহযোগিতা করবেন। তবে তাঁর বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা সম্পর্কে তাদের মধ্যে ব্যাপক মতবিরোধ রয়েছে। বিভিন্ন সূত্রমতে তাঁর শাসনকাল ৬, ৭ বা ৯ বছর স্থায়ী হবে।[১০]

মৈত্রেয়[সম্পাদনা]

রিয়াজ আহমেদ গোহর শাহী[সম্পাদনা]

রিয়াজ আহমেদ গোহর শাহী হলেন আধ্যাত্মিক আন্দোলন “মেসিয়াহ ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনাল (MFI)” এবং “আঞ্জুমান সেরফারোশান-ই-ইসলামের” প্রতিষ্ঠাতা। মেসিয়াহ ফাউন্ডেশন ইন্টারন্যাশনালের একটি আধ্যাত্মিক সহযোগী সংগঠন হল কল্কি অবতার ফাউন্ডেশন, যা ২০০০ সালে ইউনুস আলগোহর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[১১][১২] শাহীকে প্রতীক্ষিত কল্কি অবতার বলে বিশ্বাস প্রচার করা কল্কি অবতার ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য।[১৩] এবং কল্কি অবতার ঘোষণা করার জন্য তিনি বিতর্কিত হন। একই সাথে তাকে মাহদী, মশীহ বলেও দাবি করা হয়। লন্ডন, যুক্তরাজ্যে সদর দপ্তর হলেও সংস্থাটি শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াতেও কাজ করে।[১৪][১৩][১৫][১৬][১৭] সংস্থাটি শ্রীলঙ্কায় বিশেষভাবে সক্রিয়।[১৮][১৯][২০][২১]

শাহীর সমর্থকরা দাবি করেন যে চন্দ্র, সূর্য, নীহারিকা এবং মক্কার কালো পাথরে অলৌকিকভাবে তার মুখচ্ছবি ফুটে উঠেছিল,[২২] এবং এই আবির্ভাবগুলো ঈশ্বরের সংকেত হিসেবে ছিল, যা প্রমাণ করে গোহর শাহীই হলেন প্রতীক্ষিত ইমাম মাহদী, মশীহ এবং কল্কি অবতার। শাহী-ও এই দাবিকে সমর্থন করে বলেছেন যে, ঈশ্বর চাঁদে এবং বিভিন্ন স্থানে শাহীর ছবি প্রকাশ করেছিলেন, যার জন্য শাহী নিজে দায়ী নন, এবং এই ঘটনা যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয় তবে সেসব প্রশ্ন ঈশ্বরের কাছে উত্থাপন করা উচিত।[২৩] MFI দাবি করে যে চাঁদে গোহর শাহীর ছবি বিভিন্ন ভাষায় লোকেদের সাথে কথা বলেছে এবং যারা ঈশ্বরের সন্ধান করছে তাদের জন্য আধ্যাত্মিক অনুগ্রহ প্রদান করেছে।[২৪][২৫][২৬][২৭] MFI কথিত অলৌকিক ঘটনাগুলোকে ঈশ্বরের নিদর্শন বলে দাবি করে, শাহীকে প্রতীক্ষিত মাহদী বলে নির্দেশ করে। তারা ঘোষণা করে যে মশীহ, কল্কি অবতার এবং ইমাম মাহদীর উপাধিগুলো একই ব্যক্তির আলাদা উপাধি, যাকে তারা শাহী হিসাবে চিত্রিত করেছে। তারা এটিকে সমর্থন করার জন্য ধর্মীয় গ্রন্থগুলোর[২৮] পাশাপাশি নস্ট্রাডামাস,[২৯] এবং জাফর আল-সাদিকের বক্তব্য উদ্ধৃত করে।

মির্জা গোলাম আহমদ[সম্পাদনা]

মির্যা গোলাম আহমদকে কল্কি অবতার হিসেবে দাবি করা হয়, ইতোমধ্যে যেই অবতারের জন্ম হয়ে গেছে। কল্কিঅবতারের সাথে মির্যা গোলাম আহমদের সাদৃশ্য দেখানো হয়। মতটি দাবি করে, কল্কি হবেন “বিষ্ণুর যশগানকারী”, যার “আহমদ” শব্দের সমার্থক। কল্কির জন্মস্থান শম্বল গ্রামের অর্থ ইসলামপুর, যার বাংলা অর্থ হবে, শান্তিপূর্ণ গ্রাম। এছাড়া আরেকটি অর্থে বলা হয় সম্ভ্রান্ত ব্যাক্তির গ্রাম। আবার দাবি করা হয়, এর অর্থ জলের নিকটবর্তী স্থান। এই অর্থসমূহ দ্বারা কাদিয়ান গ্রামের মিল খোঁজা হয়, যা ছিল মির্জা গোলাম আহমদের জন্মস্থান।[৩০]

অথর্ববেদে বলা হয়েছে কল্কির আগমন হবে “কদুন” নামক স্থানে যাকে বর্তমানে কাদিয়ান বলে হয়। পাঞ্জাবের কাদিয়ান গ্রামের পূর্বনাম ছিল ইসলামপুর। উল্লেখ্য, মির্যা গোলাম আহমদের জন্ম পাঞ্জাবের কাদিনিয়া গ্রামে।

পুরাণ অনুযায়ী কল্কির চারজন পুত্র। সেই অনুযায়ী বলা হয়, মির্জা গোলাম আহমদের সন্তান সংখ্যা চার। যদিও তার ১ম স্ত্রীর গর্ভে ২ জন সন্তান; ২য় স্ত্রীর ৫ জন সন্তান, যাদের মাঝে ২ জন ছিলেন নারী। এবং আরও ৫ জন সন্তান ছিলেন যারা অল্প বয়সে মৃত্যুবরণ করে।

ইসলামের নবী মুহাম্মদকে মির্যা গোলাম আহমদের পিতা বলে দাবি করা হয়। মুহাম্মদের জন্ম মক্কায়। এই মক্কাকে হিন্দুধর্মে “মোক্ষ ঈশ্বরাশ্রম” নামক স্থানের সমার্থক বলা হয়। এই স্থানকেই হিন্দুধর্মে কল্কির পিতার জন্মস্থান হিসেবে দাবি করা হয়। মুহাম্মদই ছিলেন কল্কির পিতা।

মুহাম্মাদ[সম্পাদনা]

হিন্দুধর্মের কল্কি অবতারকে মুসলিমগণ কর্তৃক ইসলাম ধর্মের নবী মুহাম্মাদ দাবি করা হয়। ১৯৬০ সালে প্রকাশিত “কল্কি অবতার ঔর মোহাম্মাদ সাহাব নামে একটি হিন্দি বইতে কল্কি অবতারের সাথে মুহাম্মাদে সাদৃশ্যতা দেখানো হয়। ইসলামি চিন্তাবিদ জাকির নায়েক সহ অনেক ইসলামিক লেখক ও বক্তা তাদের তুলনামূলক ধর্মালোচনায় কল্কি অবতারের সাথে মুহাম্মাদের সাদৃশ্য দেখানোর চেষ্টা করেন।[৩১] দেখা যায়, ইসলাম ধর্মগ্রন্থ ও হিন্দু ধর্মগ্রন্থ থেকে বিভিন্ন ত্রুটিযুক্ত তথ্য ব্যবহার হয়েছে যা বিতর্কের সৃষ্টি করে।[৩২]

যেসব বৈশিষ্ট্য দিয়ে তুলনা করা হয়[সম্পাদনা]

  • জন্মস্থান: কল্কি জন্মস্থান শম্ভল গ্রামের সাথে মুহাম্মদের জন্মস্থান মক্কার আক্ষরিক অর্থের সাদৃশ্যতা।
  • পিতামাতার নাম: কল্কির পিতামাতা বিষ্ণুযশ ও সুমতির সাথে মুহাম্মদের পিতামাতা আব্দুল্লাহ্ ও আমিনার সাদৃশ্যতা দেখানো হয়েছে। ‘আব্দুল্লাহ’ অর্থ ‘আল্লাহর দাস’ এবং ‘আমিনা’ অর্থ ‘শান্ত স্বভাবযুক্ত’; কল্কির পিতামাতার ক্ষেত্রেও একই অর্থ দাবি করা হয়েছে।
  • আচরণগত: বাহন হিসেবে ঘোরার ব্যবহার, অস্ত্রহিসেবে তরবাড়ি ব্যবহার, সর্বশেষ আগমন, অসাধুর দমন, পরাক্রমশালীতা, অল্পভাষণ, দান, কৃতজ্ঞতা ইত্যাদি আচরণগত দিক দিয়ে উভয়ের সাদৃশ্যতা দেখানো।
  • জন্মসময়: জন্ম তারিখের সাদৃশ্যতা।

কল্কি অবতারকে মুহাম্মাদ হিসেবে দাবীর সমালোচনা[সম্পাদনা]

  • উভয়ের আচরণগত বৈশিষ্ট্য়ের অনেক বৈসাদৃশ্যতা দেখা যায়। তাছাড়া অর্থগত কোনো সাদৃশ্যতা থাকলেও চরিত্রদ্বয় এক নাও হতে পারে।[৩৩]
  • হিন্দুমতানুসারে কল্কিদেবকে ভগবান বিষ্ণুর অবতার রূপে দেখা হয়।[৩৪] তিনি মানব হতে পারেনা।[৩৩]:পৃ:১৪
  • হিন্দুদের বিশ্বাসানুযায়ী কল্কিদেবের আগমন হবে কলিযুগের শেষে। অর্থাৎ আরও ৪,২৭,০০০ বছর পর।[৩৫][৩৪] অতিতের কোনো সময়ে কল্কির আবির্ভাব ঘটতে পারে না।[৩৩]:পৃ:১৯
  • কল্কির পিতা ‘বিষ্ণুযশ’ নামের অর্থ ‘বিষ্ণুর ন্যায় যশ যার’ এবং মাতা ‘সুমতি’ নামের অর্থ ‘সুবুদ্ধি’[৩৬]। যার সাথে “আল্লাহর দাস” এবং “শান্ত স্বভাবযুক্ত” অর্থের সাদৃশ্যতা নেই। তাছাড়া মুহাম্মদের জন্মের আগে তার পিতার মৃত্যু হয়।[৩৭] কিন্তু কল্কির ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না।[৩৩]:পৃ:৩৮-৩৯; ৬৭
  • বইটিতে মক্কা স্থানের সাথে কল্কির জন্মস্থান শম্ভল গ্রামের সাদৃশ্য দেখানো হয়েছে যার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ করা হয়েছে ‘শান্তির স্থান’। অথচ শম্ভল (শম্ভু + আলয়) শব্দের আক্ষরিক অর্থ ‘কল্যানের নিবাস’। অপর দিকে মক্কা শব্দের আক্ষরিক অর্থ স্পষ্ট জানা যায় না।[৩৮]
  • কল্কি পুরাণের বর্ণনা অনুযায়ী শম্বল গ্রাম হবে নদী, পর্বত, কুঞ্জশোভিত, ষড়ঋতু সমন্বিত সমৃদ্ধ প্রকৃতি ও বনভূমি পূর্ণ স্থান। বনভূমি ও নদীবিহীন কোনো মরুভূমি অঞ্চল শম্বলগ্রাম হবে না। এছাড়া ভারতের উত্তর প্রদেশের সম্ভল গ্রামকে পুরাণে উল্লিখিত গ্রাম বলে হিন্দুবিশ্বাসিগণ মনে করেন।[৩৩]
  • কল্কির জন্ম মাধব (চান্দ্র মাস অনুযায়ী মাঘ) মাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশ তিথিতে যা চন্দ্র মাসের ২৭ (কৃষ্ণপক্ষের ১৫দিন + ১২দিন) তারিখ হয়। অপরদিকে ‍মুহাম্মদের জন্ম তারিখ নির্ণয়ে মুসলিম সমাজে মতভেদ আছে[৩৯][৩৩]:পৃ:৫৭-৫৯
  • পুরাণ অনুযায়ী কল্কি হবেন পিতামাতার চতুর্থ সন্তান।[৪০] কিন্তু মুহাম্মদের ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না।
  • কল্কির ‘দুই’ জন স্ত্রী ছিলেন ‘পদ্মা’ ও ‘রম্ভা’। পদ্মা হবেন সিংহলের (বর্তমান শ্রীলঙ্কার) রাজকন্যা।[৪১] এর সাথে দাবিকৃত চরিত্রের সাদৃশ্যতা নেই।[৩৩]:পৃ:৪৫-৪৭

বিজয়কুমার নাইডু[সম্পাদনা]

বিজয়কুমার নাইডু যিনি ১৯৯০ সালে নিজেকে বিষ্ণুর দশম অবতার কল্কি বলে দাবি করেছিলেন।[৪২] অক্সফোর্ড হ্যান্ডবুক অফ নিউ রিলিজিয়াস মুভমেন্টস বলে যে, বিজয়কুমার বর্তমানে কল্কির চূড়ান্ত এবং ভবিষ্যত অবতার বলে দাবি করা আধ্যাত্মিক ব্যাক্তিদের মঝে সবচেয়ে বিখ্যাত।[৪৩] "ইন্ডিয়া টুডে ম্যাগাজিনের কাছে ২০০২ সালের একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমি বিশ্বাস করি আমি ঈশ্বরের মতো কাজ করতে পারি এবং মানুষকে তাদের দুঃখ থেকে মুক্তি দিতে পারি।" কল্কি ভগবানের স্ত্রী, যিনি 'আম্মা' নামে পরিচিত, তিনি নিজেকে বিষ্ণুর সহধর্মিণী পদ্মাবতী বলে দাবি করেন।[৪৪]

কল্কি ভগবানের দাবি যে তিনি হিন্দু স্বর্ণযুগের উদ্বোধন করেছিলেন তা হিন্দু আধ্যাত্মিক আচার্যরা ভালভাবে গ্রহণ করেননি।[৪৫][৪৬] তার অতিপ্রাকৃত, অলৌকিক এবং আধ্যাত্মিক ক্ষমতা বলে দাবি করা অনেক ঘটনা সমালোচিত হয়েছে।[৪৭][৪৮] তার প্রতিশ্রুত আধ্যাত্মিক জাগরণের ভবিষ্যৎ বাণী সফল হয়নি বলে অনেক ব্যাক্তি তাতে আস্থা হারিয়ে ফেলে।[৪৯]

সাময়েল অউন উইর[সম্পাদনা]

এমন অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে যেখানে সাময়েল অউন উইর দাবি করেছেন যে তিনি একজন কর্তা এবং তাঁর অভ্যন্তরীণ সত্তা, সাময়েল হলেন কুম্ভ রাশির অবতার। উদাহরণ স্বরূপ, The Aquarian Message-এ তিনি লিখেছেন, "মৈত্রেয় বুদ্ধ সাময়েল হল নতুন যুগের কল্কি অবতার, যিনি সাদা ঘোড়ার উপর বসে ছিলেন।" তিনি তার রচিত বই "হোয়াইট হর্স রাইডার"-এ দাবি করেন তিনিই হলেন কল্কি অবতার এবং মৈত্রেয় বুদ্ধ।[৫০]

তিনি আরও বলেছেন যে তিনি পূর্ববর্তী মন্বন্তরে আত্ম-উপলব্ধির মহান কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন এবং পতিত দেবদূত হওয়ার আগে করুণার বোধিসত্ত্ব হিসাবে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে পৃথিবীতে বসবাস করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে এই কারণেই সাময়েল একটি দানবীয় অর্থের সমার্থক, যেমন "অন্ধ ঈশ্বর" এবং সেইসাথে একজন দেবদূত, এবং এটি শুধুমাত্র তার সাম্প্রতিক অবতারে ছিল যে তিনি তার কর্মের ফল ভোগ করেছিলেন এবং পুনরায় বোধিসত্ত্ব লাভ করেছিলেন।[৫১]

যদিও তিনি তার আধ্যাত্মিক দক্ষতা বহুবার দাবি করেছেন, তিনি নিয়মিতভাবে তার ব্যক্তিত্বের উপাসনা প্রত্যাখ্যান করেছেন।[৫২]


বইটির বিষয়বস্তু মূলত কল্কি অবতারকে মুহাম্মাদ বলে দাবি এবং হিন্দুধর্মগ্রন্থে ইসলামীয় নবী মুহাম্মদের উপস্থিতি দাবিতে আলোচনা। এজন্য হিন্দু শাস্ত্রের সূত্র হিসেবে কল্কি পুরাণ, ভবিষ্য পুরাণ, ভাগবত পুরাণ, বেদ প্রভৃতি বেছে নেওয়া হয়েছে। হিন্দু পণ্ডিতগণ এসমস্ত দাবিসমূহের সমালোচনা এবং বিরোধিতা করেন। একটি ভারতীয় সংগঠন ‘অগ্নিবীর’ এসমস্ত দাবীর সমালোচনা করে। এছাড়া “অভ্রান্ত বৈদিক শাস্ত্রের আলোকে কল্কি অবতার (২০১৯)” বইতে কল্কি অবতারের সাথে দাবিকৃত সাদৃশ্যতার সমালোচনা পাওয়া যায়।[৫৩]

বইটিতে কল্কিপুরাণ হতে কল্কির সাথে যেসমস্ত সাদৃশ্যতা দেখানো হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, আচরণগত সাদৃশ্যতা। যেমন: কল্কির সর্বশেষ আগমনের সাথে মুহাম্মাদ ইসলামের শেষ নবী; কল্কির শ্বেতঅশ্ব ও তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ করার সাথে মুহাম্মাদের বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধ প্রভৃতি।[৫৪] সমালোচকগণ এ ধরণের সাদৃশ্যতার বিপরীতে কল্কির সাথে মুহাম্মাদের বৈসাদৃশ্যসমূহের উদ্ধৃতি করেন।[৩২] আবার বইটিতে আক্ষরিক অর্থ প্রয়োগ করেও বিভিন্ন বিষয়ে সাদৃশ্যতা থাকার কথা বলা হয়। এধরণের আক্ষরিক অর্থ প্রয়োগ দ্বারা চরিত্রদ্বয়ের সাদৃশ্যতা তৈরিকে সমালোচকগণ ভ্রান্তিমূলক এবং অর্থের ভুল প্রয়োগ বলে মনে করেন।[৫৫]

এছাড়াও বইটিতে ভবিষ্য পুরাণের প্রতিসর্গ পর্বে বর্ণিত ইব্রহীমিয় আদম ও হব্যবতির(হাওয়া), নূহ্যের বৃত্তান্ত তুলে ধরা হয়েছে। পণ্ডিতদের মতে ভবিষ্য পুরাণের ‘প্রতিসর্গপর্ব’ অংশটি অষ্টাদশ কিংবা ঊনবিংশ শতকের প্রক্ষিপ্ত সংযোজন বলে বিবেচিত হয়।[৫৬][৫৭][৫৮] মরিজ উইন্টারনিৎজ বলেছেন, ভবিষ্য পুরাণ শিরোনামে যেসব পুথি আমাদের হস্তগত হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে আপস্তম্বীয় ধর্মসূত্র গ্রন্থে উদ্ধৃত মূল ভবিষ্য পুরাণের সেই প্রাচীন কীর্তি নয়।[৫৯][৬০] গুস্তাভ গ্লেসার দেখিয়েছেন, ভবিষ্য পুরাণের টিকে থাকা পাণ্ডুলিপিগুলি মূল ভবিষ্য পুরাণের প্রাচীন বা মধ্যযুগীয় সংস্করণও নয়। এই পর্বের রচয়িতা ইংরেজি বাইবেল এবং আরবি ইসলামী গ্রন্থ উভয়ই জানেন বলে মনে করা হয়, তবে এখানে ব্যবহৃত অনেক শব্দই আরবি শব্দ ও নাম থেকে উদ্ভূত হয়েছে, ইংরেজি উৎস থেকে তেমন ব্যবহৃত হয় নি। এতে মুঘল ইতিহাস সম্পর্কেও সমালোচনামূলক মন্তব্য রয়েছে (পাঠগুলিতে তাদের "মুকুল" বলা হয়েছে) এবং একজন মহামদের কথা বলা হয়েছে। সমালোচকগণ দেখান, ভবিষ্য পুরাণে বর্ণিত মহামদ হচ্ছেন ‘ম্লেচ্ছ’(=বিদেশি, বর্বর) এবং তিনিই ত্রিপুরাসুর নামক ‘দৈত্য’ বা ‘পিশাচ’ যার পুনর্জন্ম হয়েছে[৬১] এবং মুসলমান শব্দের অর্থ ধর্ম নষ্টকারী বলা হয়েছে।[৬২] আরবীয় শব্দের উপস্থিতি থেকে বুঝা যায় ভবিষ্য পুরাণের এই অংশটি চতুর্দশ শতাব্দির পরে ভালভাবে লেখা হয়েছিল এবং অবশ্যই মুঘল সাম্রাজ্যের উত্থানের পর এবং ভারতে আরবি উৎস প্রাপ্তির পর রচিত হয়েছিল।[৬৩] এজন্য এই পর্বটি বহু পণ্ডিতকে ভবিষ্য পুরাণের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পরিচালিত করেছে এবং এই পুরাণগুলি প্রামাণিক ধর্মগ্রন্থ হিসেবে গৃহীত হয়নি।[৬৪][৫৬] এই পুরাণে সন্তে (Sunday থেকে এসেছে), ফার্বরী (ফেব্রুয়ারি থেকে এসেছে), সিক্সটী (Sixty থেকে এসেছে) সহ এধরণের শব্দের ব্যবহার আরও পাওয়া যায়।[৬৫] এ কে রামানুজন একটি " যথাযথভাবে হালনাগাদকৃত ভবিষ্য পুরাণ" গ্রন্থে খ্রিস্ট, মুসারাণী ভিক্টোরিয়ার উল্লেখ পেয়েছেন।[৬৬] প্রতিসর্গপর্ব প্রসঙ্গে হাজরা বলেছেন: ভবিষ্য পুরাণ-এর(এক।১।২-৩) অন্তর্গত হলেও প্রতিসর্গপর্ব আদম, নোয়া, যাকুতা, তৈমুরলং, নাদিরশাহ, আকবর (দিল্লীশ্বর), জয়চন্দ্র... এবং আরও অনেকের কথা বলে। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের কথাও এ গ্রন্থ জানে, এমনকি কলকাতা ও পার্লামেন্টের কথাও উল্লেখ করে।[৬৭]

বইটিতে আরও দাবি করা হয়, বেদে মুহাম্মাদের ভবিষ্যৎবাণীর কথা আছে। যেমন অথর্ববেদের কুন্তপ সুক্তে বিদ্যমান ‘নরাসংশ’, যা যেকোনো প্রসংশিত ব্যাক্তির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে, এর সাথে মুহাম্মদ শব্দের অর্থ প্রশংসা বলে উক্ত সুক্তে মুহাম্মদের বর্ণনার দাবি করা হয়েছে। উক্ত সুক্তে দেখা যায় কোনো ন্যায়পরায়ণ প্রশংসিত রাজার (ইন্দ্রের) উদ্দেশ্যে প্রশংসা করা হয়েছে, সেগুলোর সাথে মুহাম্মদের কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায় না।[৬৮] মূলত মুহাম্মদকে প্রমাণ করার জন্য প্রেক্ষাপট তৈরির উদ্দেশ্যে মন্ত্রের নির্দিষ্ট কিছু পদকে সূক্ষ্মভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেগুলোর অর্থগত মিল দেখানো হয়েছে। সমালোচকগণ এধরণের অর্থপ্রয়োগকে গুপ্ত প্ররোচনা বলে মনে করেন।[৫৫]


উক্ত বইটিতে মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীর তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব সংক্রান্ত বক্তব্য ও কাদিয়ানী চিন্তাধারা সম্বলিত কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের লেখক মাওলানা আবদুল হক বিদ্যার্থী কাদিয়ানী কর্তৃক লিখিত Muhammad in World Scriptures (১৯৩৫) বই হতে অনুলিপিত হয়।[৬৯] এতে ইসলাম ধর্মের নবী মুহাম্মাদকে হিন্দুধর্মের কল্কি অবতারের সাথে সাদৃশ্য দেখানোর পাশাপাশি বেদ ও পুরাণে মুহাম্মাদের ভবিষ্যৎবাণী থাকার দাবি করা হয়েছে। ইসলামি চিন্তাবিদ জাকির নায়েক[৭০][৭১][৭২], মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান আজমী সহ বিভিন্ন ইসলামি বক্তা ও লেখক তাদের তুলনামূলক ধর্মালোচনায় বিষয়বস্তুর উপর আলোচনা করেছেন এবং একইভাবে হিন্দুধর্মগ্রন্থে ইসলামি ভবিষ্যৎবাণী থাকার কথা দাবি করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Effendi, Shoghi। God Passes By। Baha'i Publishing Trust। পৃষ্ঠা 94। 
  2. Bassuk, Daniel E. (১৯৮৭)। Incarnation in Hinduism and Christianity: The Myth of the God-Man। Palgrave Macmillan। পৃষ্ঠা 146–147। আইএসবিএন 978-1-349-08642-9 
  3. Robertson, John M. (২০১২)। Tough Guys and True Believers: Managing authoritarian men in the psychotherapy room। Routledge। পৃষ্ঠা 62–63। আইএসবিএন 978-1-136-81774-8 
  4. Robinson, R.; Clarke, S. (২০০৩)। Religious Conversion in India: Modes, motivations, and meanings। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 44, 108–113। আইএসবিএন 978-0-19-566329-7 
  5. Sikand, Y. (২০০৪)। Muslims in India Since 1947: Islamic perspectives on inter-faith relations। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 162–171। আইএসবিএন 978-1-134-37825-8 
  6. Lewis, James R.; Tollefsen, Inga B. (২০০৪)। The Oxford Handbook of New Religious Movements2। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 409। আইএসবিএন 9780190611521 
  7. "Who is Samael Aun Weor?"Samael.org। ৩ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  8. Sikand, Yoginder (২০০৮)। Pseudo-messianic movements in contemporary Muslim South Asia। Global Media Publications। পৃষ্ঠা 100। 
  9. Juergensmeyer, Mark (২০০৬)। Oxford Handbook of Global Religions। Oxford: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 520। আইএসবিএন ৯৭৮-০-১৯-৫১৩৭৯৮-৯, ISBN (Ten digit): 0195137981। 
  10. "Hadith – Chapters on Al-Fitan – Jami' at-Tirmidhi – Sunnah.com – Sayings and Teachings of Prophet Muhammad (صلى الله عليه و سلم)"sunnah.com। সংগ্রহের তারিখ ৩ মার্চ ২০১৭ 
  11. Sikand, Yoginder (২০০৮)। Pseudo-messianic movements in contemporary Muslim South Asia। Global Media Publications। পৃষ্ঠা 100। 
  12. Juergensmeyer, Mark (২০০৬)। Oxford Handbook of Global Religions। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 520। আইএসবিএন 978-0-19-513798-9। ISBN (Ten digit): 0195137981। 
  13. উদ্ধৃতি খালি (সাহায্য) 
  14. "Kalki Avatar Foundation"। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০১৩ 
  15. উদ্ধৃতি খালি (সাহায্য) 
  16. উদ্ধৃতি খালি (সাহায্য) 
  17. উদ্ধৃতি খালি (সাহায্য) 
  18.   |ধারাবাহিক= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)[অকার্যকর সংযোগ]
  19. উদ্ধৃতি খালি (সাহায্য) 
  20. উদ্ধৃতি খালি (সাহায্য) 
  21.   |ধারাবাহিক= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  22. "Country Reports on Human Rights Practices by United States of America"U.S. Department of State। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১০ 
  23. "Gohar Shahi interview with Scholars"। via YouTube। ২০২১-১২-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১০ 
  24. উদ্ধৃতি খালি (সাহায্য) 
  25. "His Holiness Younus AlGohar speaks to the Lakbima Newspaper"। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুলাই ২০১৩ 
  26.   |ধারাবাহিক= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)
  27. "The Tower of Divine Love and Light"। সংগ্রহের তারিখ ১ জুলাই ২০১২ 
  28. উদ্ধৃতি খালি (সাহায্য) 
  29. "The Man on the Moon that Nostradamus Prophesized"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১০ 
  30. Habibullah, মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ্‌/ Mohammad (২০১৫-০৬-১৫)। পাক্ষিক আহ্‌মদী - নব পর্যায় ৭৭বর্ষ । ২৩তম সংখ্যা । ১৫ই জুন, ২০১৫ইং | The Fortnightly Ahmadi - New Vol: 77 - Issue: 23 - Date: 15th June 2015। Ahmadiyya Muslim Jama'at Bangladesh। 
  31. "Prophet Muhammad (pbuh) in the Hindu Scriptures – The Kalki Avtar – Dr Zakir Naik" 
  32. অভ্রান্ত বৈদিক শাস্ত্রের আলোকে কল্কি অবতার; প্রকাশক: শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী; রচনা, সংকলন ও সম্পাদনা: প্রণয়কুমার পাল ও শুভাশীষ দত্ত; প্রকাশনা: অমৃতের সন্ধানে প্রকাশন; প্রথম প্রকাশ - ২০১৯ ।
  33. অভ্রান্ত বৈদিক শাস্ত্রের আলোকে কল্কি অবতার; প্রকাশক: শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী; রচনা, সংকলন ও সম্পাদনা: প্রণয়কুমার পাল ও শুভাশীষ দত্ত; প্রকাশনা: অমৃতের সন্ধানে প্রকাশন; প্রথম প্রকাশ - ২০১৯ ।
  34. B-Gita 8.17 ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে "And finally in Kal-yuga (the yuga we have now been experiencing over the past 5,000 years) there is an abundance of strife, ignorance, irreligion and vice, true virtue being practically nonexistent, and this yuga lasts 432,000 years. In Kali-yuga vice increases to such a point that at the termination of the yuga the Supreme Lord Himself appears as the Kalki avatara"
  35. J. L. Brockington (১৯৯৮)। The Sanskrit Epics। BRILL Academic। পৃষ্ঠা 287–288 with footnotes 126–127। আইএসবিএন 90-04-10260-4 
  36. "Bangladict.com - অভিধানে 'মতি' এর অর্থ"www.bangladict.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-০১ 
  37. Meri, Josef W. (২০০৪), Medieval Islamic civilization (ইংরেজি ভাষায়), 1, Routledge, পৃষ্ঠা 525, আইএসবিএন 978-0-415-96690-0, ১৪ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ৩ জানুয়ারি ২০১৩ 
  38. Versteegh, Kees (২০০৮)। C.H.M. Versteegh; Kees Versteegh, সম্পাদকগণ। Encyclopedia of Arabic language and linguistics, Volume 4 (Illustrated সংস্করণ)। Brill। পৃষ্ঠা 513। আইএসবিএন 978-90-04-14476-7 
  39. "মহানবী (সা.)-এর জন্ম তারিখ নিয়ে ঐতিহাসিকদের অভিমত | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। ২০১৬-০৪-২২। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৬-৩০ 
  40. কল্কি পুরাণ ২।৩১
  41. Rocher 1986, পৃ. 183 with footnotes।
  42. S, Jayaseelan K. (১৯ অক্টোবর ২০১৯)। "The rise of 'Kalki' Bhagwan: From an LIC agent to a self-proclaimed 'avatar'"The Federal 
  43. Cowan, Douglas E. (২০০৯-০৯-০২)। "New Religious Movements"। ডিওআই:10.1093/oxfordhb/9780195170214.003.0008 
  44. Swamy, Rohini (২০১৯-১০-২২)। "Kalki Bhagavan, guru who started as LIC clerk & now has 'undisclosed income' of Rs 500 cr"ThePrint (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৯ 
  45. Newcombe, Suzanne; Harvey, Sarah (২০১৬-০৪-১৫)। Prophecy in the New Millennium: When Prophecies Persist (ইংরেজি ভাষায়)। Routledge। আইএসবিএন 978-1-317-07459-5 
  46. Townsend, R. Lataine (২০১২-০১-০৪)। 2013: Beginning an Era of Hope and Harmony (ইংরেজি ভাষায়)। BalboaPress। আইএসবিএন 978-1-4525-4342-0 
  47. site admin (২০০২-০৬-১৭)। "Cult in crisis – RELIGION News – Issue Date: Jun 17, 2002"। Indiatoday.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১১ 
  48. Nayak, Narendra। "The cult of Kalki by Narendra Nayak"mm-gold.azureedge.net। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০২০ 
  49. "Oneness Movement – WRSP" (ইংরেজি ভাষায়)। 
  50. Samael Aun Weor [1960] (2004). The Aquarian Message: Gnostic Kabbalah and Tarot in the Apocalypse of St. John. Glorian Publishing. ISBN 0974591653.
  51. Samael Aun Weor. Who is Samael Aun Weor?. Retrieved January 20, 2009.
  52. Samael Aun Weor. Inside the Vestibule of Wisdom. Retrieved January 20, 2009.
  53. অভ্রান্ত বৈদিক শাস্ত্রের আলোকে কল্কি অবতার; প্রকাশক: শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী; রচনা, সংকলন ও সম্পাদনা: প্রণয়কুমার পাল ও শুভাশীষ দত্ত; প্রকাশনা: অমৃতের সন্ধানে প্রকাশন; প্রথম প্রকাশ - ২০১৯ ।
  54. কল্কি অবতার এবং মোহাম্মদ সাহেব - প্রকাশক: ইসলামী সাহিত্য প্রকাশনালয়।
  55. "Prophet Muhammad (pbuh) in the Hindu Scriptures – The Kalki Avtar – Dr Zakir Naik" 
  56. Rocher 1986
  57. Dalal 2014
  58. Alf Hiltebeitel (১৯৯৯)। Rethinking India's Oral and Classical Epics। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 217–218। আইএসবিএন 978-0-226-34050-0 
  59. For statement that the extant text is not the ancient work, see: Winternitz, volume 1, p. 567.
  60. For the quotation in Āpastambīya Dharmasūtra attributed to the Bhaviṣyat Purāṇa not extant today, see: Winternitz, volume 1, p. 519.
  61. ভবিষ্য পুরাণ, ৩।২১।১১-১২
  62. Newar, Sanjeev (২০০৯-১২-২৪)। "Prophet in Hindu Scriptures – Bhavishya Puran (Part 2)"Agniveer (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২৩ 
  63. Alf Hiltebeitel (১৯৯৯)। Rethinking India's Oral and Classical Epics। University of Chicago Press। পৃষ্ঠা 274–277। আইএসবিএন 978-0-226-34050-0 
  64. K P Gietz 1992
  65. Glaesser, Gustav (১৯৬৯)। "Review of Das Bhaviṣyapurāṇa (Münchener Indologische Studien vol. 5) by Adam Hohenberger, Helmut Hoffmann": 511–513। জেস্টোর 29755461 
  66. For quotations see: Ramanujan, A. K., "Folk Mythologies and Purāṇas" in: Doniger
  67. For quotation describing the Pratisargaparvan as "practically a new work" see: Hazra, Rajendra Chandra, "The Purāṇas", in: Radhakrishnan (CHI, 1962), volume 2, p. 263.
  68. ড. তুলশিরাম শার্মা (লন্ডন ইউ কে.); অথর্ববেদ (ইংরেজি ভাষা); প্রকাশক- Vijaykumar Govindram Hasanand
  69. Muhammad in World Scriptures (১৯৩৫) - মাওলানা আবদুল হক বিদ্যার্থী
  70. Comparison of work of Zakir Naik Salafi and Abdul Haq Vidyarthi Qadiyani - জাহিদ আযিয কাদিয়ানী
  71. Research, Agniveer (২০১০-০১-০২)। "Dr Zakir Naik's fraud exposed"Agniveer (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২৬ 
  72. "sunnipediabd.com - sunnipediabd Resources and Information."ww1.sunnipediabd.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-২৬