ব্যবহারকারী:Gc Ray
আলাপ পাতা | প্রণীত নিবন্ধসমূহ | উইকিতে অবদান | উপপাতাসমূহ |
আজ রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪ (১৮ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ), ১৩:৪৬ (সর্বজনীন)
এই ব্যবহারকারী সম্প্রদায়ে হিন্দু |
এই ব্যবহারকারী স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষক |
এই ব্যবহারকারী ৭টি পদক প্রাপ্ত |
এই ব্যবহারকারী বাংলা উইকিতে সম্পাদনার সংখ্যা অনুযায়ী ১০ম এবং নিবন্ধের সংখ্যা অনুযায়ী ১১তম স্থানে রয়েছেন। |
ব্যবহারকারীর বিশ্বাস ও অভিপ্রায়
[সম্পাদনা]বিশ্বাস
[সম্পাদনা]- ব্রহ্ম এক ও অদ্বিতীয়, এবং সর্বশক্তিমান।
- ভগবান পথ প্রদর্শক, এবং নিষ্কাম কর্মই মানব মুক্তির পথ।
অভিপ্রায়
[সম্পাদনা]দেবতা হলো প্রাকৃত বা অতিপ্রাকৃত শক্তি যা স্বর্গীয় এবং পবিত্র। দেবতাগণ সর্বত্র বিরাজমান, কিন্তু তাঁদেরকে পদার্থের তৈরি মূর্তির মধ্যে আবদ্ধ করে দিচ্ছি। এছাড়াও দেবতার মূর্তির সৃষ্টিকর্তা মানুষ, এবং দেবতার প্রাণ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি চক্ষুদানের মতো কিছু অযৌক্তিক কর্মের দাবীদার পুরোহিত, তারাও মানুষ। এসকল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আমরা দেবতার অতিপ্রাকৃত শক্তিকে ছোট করছি। আরও পরিতাপের বিষয় হলো কিছু কিছু দেবীর মূর্তি তৈরির মাধ্যমে দেবীগণকে অন্যান্য সম্প্রদায়ের হাসির খোরাকে পরিনত করছি। কিন্তু দেবীগণকে আমরা মাতা হিসেবে শ্রদ্ধাকরি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বৈদিক দেবতাদের মানুষ বা অন্য প্রাণী রূপী প্রতিমূর্তি নেই, যেমন বৈদিক দেবতা অগ্নির বৈদিক মূর্তি হলো অগ্নি বা আগুন।
পূজা হলো দেবতার প্রতি ভক্তিমূলক শ্রদ্ধা। পূজা অর্থ আরাধনা, উপাসনা, অর্চনা, ভক্তি, শ্রদ্ধাজ্ঞাপন প্রভৃতি। প্রকৃতপক্ষে মূর্তিপূজার মাধ্যমে আমরা দেবতাদের প্রতি সেগুলো প্রদর্শন করছি না।
তাই, সাকারের চেয়ে নিরাকার উপাসনাই উত্তম।
ধর্ম হলো তা যাকে মনেপ্রাণে ধারণ করা যায়, এবং যা বিশ্বের সমস্ত সৃষ্টির কল্যাণ বয়ে আনে। ধর্ম শাশ্বত, এটি সকলের জন্য। ধর্মের কোন পৃথক রূপ নেই। ধর্ম জাতি এবং সম্প্রদায়ের ঊর্ধ্বে। সাম্প্রদায়িক ধর্ম হলো ধর্মীয় অনুশাসন, এবং ধর্মীয় অনুশাসন হলো মানুষের সঠিক জীবনযাপনের বিধিবিধান, যেগুলো মানুষের মঙ্গলের জন্য। ধর্মীয় বিধিবিধানের সমষ্টিগত রূপ ধর্মগ্রন্থ। সকল সাম্প্রদায়িক ধর্মেরই ধর্মগ্রন্থ রয়েছে।
আমার সাম্প্রদায়িক ধর্মের নাম হিন্দুধর্ম যার প্রকৃত নাম সনাতন ধর্ম। ধর্মটি মূলত বেদান্তবাদী ধর্ম। ধর্মটির মূল ধর্মগ্রন্থ হলো বেদ, এবং বেদের অন্তর্গত উপনিষদ। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, বেদ পরব্রহ্ম কর্তৃক প্রকাশিত। রামায়ণ ও মহাভারত হলো মহাকাব্য। ভগবদ্গীতা মহাভারত-এর অংশ। এছাড়াও রয়েছে পুরাণ, আগম, ধর্মসূত্র, ধর্মশাস্ত্র প্রভৃতি। তবে পরিতাপের বিষয় যে পুরাণাদি ধর্মগ্রন্থ, বর্ণপ্রথা ও ব্রাহ্মণ্যবাদ হিন্দুধর্ম তথা সনাতনধর্মের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করেছে। সৃষ্টিকর্তা নিয়ে বিভিন্ন মতবাদের জন্ম দিয়েছে, যা হিন্দুধর্মের জন্য অশুভ সংকট। প্রকৃতপক্ষে মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা একজন, তাঁর সমকক্ষ কেউ থাকতে পারে না, অথবা তাঁর অংশীদার কেউ হতে পারে না। উপনিষদে তাঁকে "এক ও অদ্বিতীয়" হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে, এবং ব্রহ্ম নামে নামকরণ করেছে। যদিও কিছু উপনিষদে ব্রহ্মকে বিষ্ণু বা শিব হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রহ্ম নিরাকার। ব্রহ্মের জন্ম ও মৃত্যু নেই। তিনি অব্যয় ও শাশ্বত। তিনি সর্বব্যাপী, অনাদি ও অনন্ত, চিরসত্য ও পরমানন্দ যা নিজে অপরিবর্তনীয় হয়েও সকল পরিবর্তনের কারণ। দেবদেবী সহ সবকিছুই ব্রহ্মের সৃষ্টি এবং ব্রহ্মে লয়।
বেদ ও উপনিষদে ব্রহ্ম সম্পর্কে কিছু মহাবাক্য উল্লেখ করা হয়েছে। সকল মহাবাক্যের সার হলো "তিনি এক ও অদ্বিতীয়, তিনি প্রজ্ঞা, তিনি আত্মা, তিনি দিব্য, সবই তিনি"। তবে ব্রহ্মকে সগুণ এবং নির্গুণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রহ্মের সগুণ রূপ হচ্ছে ঈশ্বর। ভগবান হচ্ছে ব্রহ্ম কর্তৃক প্রেরিত পথ প্রদর্শক, যাঁরা বিষ্ণু বা শিবের অবতার হিসেবে বিবেচিত।
ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য
[সম্পাদনা]— উইকিপিডিয়ান — | |
নাম | গোপাল চন্দ্র রায় Gopal Chandra Ray |
---|---|
যোগাযোগের তথ্য | |
ইমেইল | gcraykkp@gmail.com |
ফেসবুক | gc.ray.9 |
টুইটার | GCRaykkp |