এটি ২০২০ সালের ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পাশাপাশি সম্পূর্ণরূপে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে পরিচালিত বাংলাদেশের প্রথম প্রধান নির্বাচনগুলির মধ্যে একটি। এর আগে দেশটিতে ইভিএমের সীমিত ব্যবহার ছিল। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ইভিএম গ্রহণে সমর্থন দিয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতারাসহ অন্যান্য দলের নেতারা বলেছেন, তারা আশঙ্কা করছেন যে মেশিনগুলো ভোট কারচুপির জন্য ব্যবহার করা হবে। একটি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল যে মেশিনগুলিতে ভোটার-যাচাইকৃত কাগজের অডিট ট্রেল নেই।[৩][৪][৫]
বিএনপি এই নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে এবং ভোট কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তোলে। ৩ মার্চ ২০২০-এ, ইশরাক হোসেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে নির্বাচনী ফল বাতিল এবং নিজেকে প্রকৃত বিজয়ী ঘোষণার আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন এবং শেখ ফজলে নূর তাপসসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়।
২৭ মার্চ ২০২৫-এ, ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম রায় প্রদান করেন। রায়ে শেখ ফজলে নূর তাপসএর মেয়র পদে বিজয় বাতিল করা হয় এবং ইশরাক হোসেনকে প্রকৃত বিজয়ী ও বৈধ মেয়র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ইশরাক হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এই রায়ের ফলে প্রায় পাঁচ বছর পর নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তিত হয়। এরপর ২৮ এপ্রিল ২০২৫, তাকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।