বিষয়বস্তুতে চলুন

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ
অন্যান্য নাম
আইইবি
নীতিবাক্যউন্নত জগৎ গঠন করুন
ধরনপেশাজীবী সংগঠন
স্থাপিত১৯৪৮
অবস্থান
রমনা, ঢাকা
,
ওয়েবসাইটiebbd.org
মানচিত্র
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের প্রবেশ দ্বার, ঢাকা, বাংলাদেশ

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) বাংলাদেশের প্রকৌশল পেশাজীবীদের একটি জাতীয় সংগঠন। এটি সোসাইটিস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট ১৮৬০ দ্বারা নিবন্ধিত। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) বাংলাদেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় পেশাজীবী সংগঠন। আইইবিতে বর্তমানে সকল প্রকৌশল বিভাগ অন্তর্ভুক্ত। সংগঠনের শুরু থেকেই আইইবি প্রকৌশল ও বিজ্ঞানের জ্ঞান এবং অণুশীলন প্রচার করছে। আইইবির প্রধান লক্ষ্য হল পেশাদার শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত করা এবং দেশের প্রকৌশলীদের ক্রমাগত পেশাদারী উন্নয়ন সাধন করা। এটি দেশের ও বিদেশের অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনের ঘনিষ্ঠতা স্থাপন এবং সহযোগিতার কাজ নিরলসভাবে করে যাচ্ছে।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

ভারত উপমহাদেশে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য পতনের পর এবং পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পরপরই কয়েকজন ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী, প্রকৌশলীদের একটি পেশাদার ফোরাম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ফলশ্রুতিতে ১৯৪৮ সালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যার সদর দপ্তর ছিল ঢাকা, বাংলাদেশে। ১৯৪৮ সালের ৭ই মে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল ঢাকাতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, স্থাপন এবং এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৭১ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, পাকিস্তান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ নামে যাত্রা শুরু করে।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

[সম্পাদনা]

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) প্রতিস্ঠার প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমুহ [] -

  • উন্নত জগৎ গঠন।
  • বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের সব শাখায অণুশীলন ও উন্নতিকরন ও বাংলাদেশ ও বিশ্ব্জুড়ে খ্যাতি অর্জন।
  • ইঞ্জিনিয়ারিং অণুশীলন ও পেশাগত দক্ষতা প্রচার।
  • পেশাদার কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ এবং সদস্যদের কাজকর্মের উচ্চ মান বজায় রাখতে সাহায্য করা।
  • নৈতিকতার পেশাদারদারিত্ব কোড স্থাপন এবং সদস্যদের পেশাদারী আচরণ মেনে চলতে বাধ্য করা।
  • সদস্যদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জন ও বিনিময়ে সাহায্য করা।
  • সদস্যদের পেশাদারী স্বার্থ এবং সামাজিক উন্নয়ন প্রচার।
  • দেশের উপকরণ এবং সম্পদের অর্থনৈতিক সদ্ব্যবহার ও সংরক্ষণের জন্য মৌলিক প্রকৌশল গবেষণা উত্সাহিত করন।
  • মিউচুয়াল বেনিফিটের জন্য দেশ-বিদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান ও কলেজ এবং একই ধরনের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমে আইইবি’র অধিক উন্নতি সাধন।
  • সদস্যদের মধ্যে প্রকৌশল সম্পর্কিত তথ্য জানানো এবং জ্ঞান ও তথ্য প্রসারে উৎসাহ ও সাহায্য প্রদান।
  • প্রকৌশল গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের বৈজ্ঞানিক, প্রকৌশল ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করা।
  • প্রকৌশলের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সরকারি সংস্থা এবং শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতা ও প্রকৌশল ও কারিগরি শিক্ষার প্রচার এবং পেশা ও অণুশীলন সংক্রান্ত বিষয়ে সাহায্য প্রদান।

বিএইটিই

[সম্পাদনা]

বোর্ড অব অ্যাক্রিডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন হলো আইইবি এর একটি অনুমোদন সংস্থা। প্রতিষ্ঠানটি প্রকৌশল শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সক্ষমতার ভিত্তিতে প্রকৌশল শিক্ষা প্রদানের অনুমোদন দেয়।

সদস্য

[সম্পাদনা]

ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ -এর অণুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রকৌশল বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরা এখানে সদস্য হতে পারেন। বর্তমানে সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪১,৫৪৫ জন। যাদের মধ্যে প্রায় ৩০% ফেলো, ৬০% সদস্য এবং বাকিরা সহযোগী সদস্য। []

প্রশাসন

[সম্পাদনা]

ইনস্টিটিউশনের দৈনন্দিন কার্যাবলী আইইবি প্রেসিডেন্ট-এর নির্দেশ ও তত্ত্বাবধানে এবং কাউন্সিল কর্তৃক প্রণয়ন নীতি ও দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক দ্বারা পরিচালিত হয়। কাউন্সিল সাধারণত বিভিন্ন বিষয়ে কিছু স্থায়ী ও বিশেষ কমিটি গঠন করে। স্থায়ী কমিটি সাধারণত কাউন্সিল সদস্যদের নেতৃত্বে হয়।

সাংগঠনিক কাঠামো

[সম্পাদনা]

বছরের পর বছর ধরে সদস্য এবং কার্যক্রম সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। ইনস্টিটিউশনের এর কার্যক্রম প্রতি বছর বিস্তৃত হয়েছে। সদস্যদের চাহিদা পূরণের জন্য বেশ কিছু কেন্দ্র ও উপকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্তমানে দেশে ১৮টি কেন্দ্র, ৩১টি উপকেন্দ্র, ১০টি বৈদেশিক অধ্যায় আছে,[] যা নিচে তালিকাভুক্ত করা হল -

আইইবি-র কেন্দ্রসমুহ
(১) ঢাকা (৪) রাজশাহী (৭) বরিশাল (১০) ঘোড়াশাল (১৩) নারায়ণগঞ্জ (১৬) আশুগঞ্জ
(২) চট্টগ্রাম (৫) পাবনা (৮) ময়মনসিংহ (১১) বগুড়া (১৪) রাঙ্গাদিয়া (১৭) ফরিদপুর
(৩) খুলনা (৬)সিলেট (৯) রংপুর (১২) গাজীপুর (১৫) যশোর (১৮) দিনাজপুর
আইইবি-র উপ-কেন্দ্রসমুহ
(১) টাঙ্গাইল (৭) কুমিল্লা (১৩) জামালপুর (১৯) ব্রাহ্মণবাড়িয়া (২৫) নারায়ণগঞ্জ (৩১) নাটোর
(২) কাপ্তাই (৮) সিরাজগঞ্জ (১৪) তারাকান্দি (২০) চাঁদপুর (২৬) বড় পুকুরিয়া -
(৩) খাগড়াছড়ি (৯)নওগাঁ (১৫) জয়পুরহাট (২১) ঈশ্বরদী (২৭) নীলফামারী -
(৪) কক্সবাজার (১০)হবিগঞ্জ (১৬) পটুয়াখালী (২২) ফেঞ্চুগঞ্জ (২৮) পঞ্চগড় -
(৫) রাঙামাটি (১১)মৌলভীবাজার (১৭) ফেনী (২৩) টঙ্গী (২৯) নাটোর -
(৬) কুষ্টিয়া (১২) ভোলা (১৮) নোয়াখালী (২৪) সাভার (৩০) বাঘাবাড়ি -
আইইবি-র বৈদেশিক অধ্যায়সমূহ
(১) কাতার (৩) কুয়েত (৫) রিয়াদ (৭) মালয়েশিয়া (৯) যুক্তরাষ্ট্র
(২) ব্যাংকক (৪) ওমান (৬) দুবাই (৮) সিঙ্গাপুর (১০) অস্ট্রেলিয়া

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Aims and Objectives"। The Institute of Engineers, Bangladesh। ১৪ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৪ 
  2. "IEB: The Institute of Engineers, Bangladesh"। The Institute of Engineers, Bangladesh। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৪ 
  3. "Organizational Structure"। The Institute of Engineers, Bangladesh। ৬ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]