আবু তায়েব মুহাম্মদ জহিরুল আলম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আবু তায়েব মুহাম্মদ জহিরুল আলম
জন্ম১৯৫২ (1952) (বয়স ৭২)
বোয়ালখালী, বাংলাদেশ
আনুগত্য বাংলাদেশ
সেবা/শাখা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
পদমর্যাদা লেফটেন্যান্ট জেনারেল
নেতৃত্বসমূহ
  • ফোর্স কমান্ডার - ইউএনএমআইএল
  • কমান্ডার - ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (বাংলাদেশ)
  • সামরিক প্রশিক্ষণ পরিচালক- সেনাবাহিনী সদর দপ্তর
যুদ্ধ/সংগ্রাম
  • ইউএনআইকেওএম
  • ইউএনএমআইএল

আবু তায়েব মুহাম্মদ জহিরুল আলম, আরসিডিএস, পিএসসি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেলজাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম কর্মকর্তা তিনি। জাতিসংঘের মিশন ফোর্স কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন (ইউএনএমআইএল)। বাংলাদেশ জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজের কমান্ডার ছিলেন। [১][২][৩][৪] বর্তমানে তিনি হামদর্দ পাবলিক কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান পদে কর্মরত আছেন।[৫]

প্রাথমিক ও শিক্ষাজীবন[সম্পাদনা]

লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবু তায়েব মুহাম্মদ জহিরুল আলম চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলায় ১৯৫২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। ১৯৯৩ সালে স্কলারশিপ নিয়ে ওয়ার স্টাডিজে কিংস কলেজ লন্ডন থেকে মাস্টার'স ডিগ্রী অর্জন করেন এবং যুক্তরাজ্যের রয়েল কলেজে ডিফেন্স স্টাডিজে পড়াশোনা করেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

সেনাবাহিনী[সম্পাদনা]

আবু তায়েব মুহাম্মদ জহিরুল আলম ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং বিভিন্ন ক্ষমতা অর্জন করেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি সেনা সদর দফতরে সামরিক প্রশিক্ষণ পরিচালক ছিলেন। ২০০১-২০০৩ সালে তিনি বিভাগীয় কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ৪ জানুয়ারী ২০০৪ থেকে ১২ জুন ২০০৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজের কমান্ড্যান্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। [১]

জাতিসংঘ মিশন[সম্পাদনা]

১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ ইরাক-কুয়েত যুদ্ধ পর্যবেক্ষক মিশনের (ইউনিকম) ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের অক্টোবরে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন তাকে ইউএনএমআইলের ফোর্স কমান্ডার হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন। [২]

অবসরের পর[সম্পাদনা]

অবসর গ্রহণের পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আবু তায়েব মুহাম্মদ জহিরুল আলম চেভেনিং সোসাইটির সাত সদস্যের নির্বাহী কমিটির সভাপতি হিসেবে যোগ দেন। [৬] ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের অডিট কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। [৭] বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়া আসর অলিম্পিক গেমসের বাংলাদেশ দপ্তরের শেফ ডি মিশন ছিলেন।[৮][৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "National Defence CollegeMission and Vision"ndc.gov.bd। ২০১৬-১১-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-২১ 
  2. "SECRETARY-GENERAL INTENDS TO APPOINT LIEUTENANT GENERAL A.T.M. ZAHIRUL ALAM OF BANGLADESH FORCE COMMANDER OF UNITED NATIONS MISSION IN LIBERIA | Meetings Coverage and Press Releases"www.un.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-১১ 
  3. ""We Must Redouble Our Efforts" – UN Envoy in Liberia Urges Peacekeepers as She Honors Them | NewLiberian.com"newliberian.com। ২০১৬-১১-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-২১ 
  4. "First athlete flies today"The Daily Star। ২০১৬-০৭-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-২১ 
  5. "Hamdard Public College" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২২ 
  6. "Zahirul president, Halim general secretary of CSB"The Daily Star। ২০১১-০৫-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-২১ 
  7. "UCB - United We Achieve"www.ucb.com.bd। ২০১৬-১১-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-২১ 
  8. "News Details"www.bssnews.net। ২০১৬-১১-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-২১ 
  9. "অলিম্পিক মিশন শুরু বাংলাদেশের || খেলা"জনকন্ঠ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-০৬-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীবাংলাদেশ সেনাবাহিনী