অকল্যান্ড ক্রিকেট দল
একদিনের ম্যাচ নাম | অকল্যান্ড এইসেস |
---|---|
কর্মীবৃন্দ | |
অধিনায়ক | রবার্ট ও’ডোনেল |
কোচ | হেইনরিখ মলান |
দলের তথ্য | |
প্রতিষ্ঠা | ১৮৭৩ |
স্বাগতিক মাঠ | ইডেন পার্ক |
ধারণক্ষমতা | ৪২,০০০ |
ইতিহাস | |
প্রথম শ্রেণী অভিষেক | ক্যান্টারবারি ১৮৭৩ সালে ক্রাইস্টচার্চ |
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট | অকল্যান্ড এইসেস |
অকল্যান্ড ক্রিকেট দল (ইংরেজি: Auckland cricket team, Auckland Aces) নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড অঞ্চলের প্রতিনিধিত্বকারী প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দল। এছাড়াও দলটি অকল্যান্ড এইসেস নামে পরিচিত। নিউজিল্যান্ডের ছয়টি ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলের অন্যতম এ দল। অকল্যান্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক দলটি পরিচালিত হয়ে আসছে।
প্লাঙ্কেট শীল্ডের ইতিহাসে সর্বাধিক সফলতম দল এটি। ২৮বার প্লাঙ্কেট শীল্ডের শিরোপাসহ দশবার ফোর্ড ট্রফি চ্যাম্পিয়নশীপ ও চারবার বার্গার কিং সুপার স্ম্যাশ প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়লাভ করেছে অকল্যান্ড এইসেস।
সীমিত ওভারের খেলায় দলটি অকল্যান্ড এইসেস নামে পরিচিত পায়। একদিনের চ্যাম্পিয়নশীপে ফোর্ড ও টি২০ খেলায় মন্ডিয়াল ব্যবসায়িক চুক্তিতে পোশাক সরবরাহ করে আসছে। বর্তমানে দলটি ইডেন পার্ক আউটার ওভালে স্বাগতিক দল হিসেবে খেলছে।
২০১৪ সালে দলটি ম্যাকডোনাল্ডস সুপার স্ম্যাশ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এরপর ২০১৫-১৬ মৌসুমে প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়লাভে সমর্থ হয়। এটিই তাদের ৪র্থ ঘরোয়া টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়। ফলশ্রুতিতে দলটি নিউজিল্যান্ডে সর্বাধিক সেরা দলের মর্যাদা লাভ করে।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]অকল্যান্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা সফলতম বৃহৎ সংস্থা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। প্রতিনিধিত্বকারী অকল্যান্ড দল ২৬বার প্লাঙ্কেট শীল্ডের শিরোপা জয় করে। তন্মধ্যে, ১৯৩৬ থেকে ১৯৪০ সময়কালে একাধারে চারবার জয়ের ধারা অব্যাহত রাখে। বৃহৎ জনঅধ্যুষিত হওয়ায় অকল্যান্ড দলের সফলতায় খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণ ব্যাপক ও নিউজিল্যান্ডের জাতীয় দলে খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণও বিরাটসংখ্যক।
১৯৭০-এর দশকে লিস্ট এ ক্রিকেট প্রবর্তনের পর থেকে একদিনের প্রতিযোগিতায় অকল্যান্ড নয়বার শিরোপা জয় করে। সাম্প্রতিককালে ২০১১ সালে সর্বশেষ এ সফলতা পায় দলটি।[১]
১৮৭৩ সালে অকল্যান্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গঠিত হয়। একই বছরে ক্যান্টারবারির বিপক্ষে প্রথমবারের মতো অকল্যান্ড ক্রিকেট দল খেলায় অংশগ্রহণ করে। ক্যান্টারবারি ও ওতাগোর পর এবং ওয়েলিংটনের অল্প কিছুদিন পূর্বে তৃতীয় বড়ো ধরনের সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯০৬ সাল থেকে দলটি তৎকালীন গভর্নর-জেনারেল উইলিয়াম প্লাঙ্কেটের দানকৃত প্লাঙ্কেট শীল্ডের ন্যায় কাঠামোবদ্ধ প্রতিযোগিতায় প্রথম অংশ নেয়। চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় মৌসুমে অকল্যান্ড ক্যান্টারবারিকে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয় করে। এরপর ১৯০৮ থেকে ১৯২১ সময়কালে দলটি আরও তিনবার প্লাঙ্কেট শীল্ডের শিরোপা জয়ে সমর্থ হয়। এ সময়ে প্রতিযোগিতাটি রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
১৯২০ ও ১৯৩০-এর দশককে প্রায়শঃই অকল্যান্ড ক্রিকেটের স্বর্ণযুগরূপে পরিচিতি ঘটানো হয়ে থাকে। এ সময়ে দলটি সাতবার প্লাঙ্কেট শীল্ডের শিরোপা জয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছিল। তন্মধ্যে, দলটি একাধারে চারবার শিরোপা জয় করে। ১৯২০-এর দশকে স্থানীয় পর্যায়ে সফলতা লাভকালে শুরুরদিকের জ্যাক মিলস ও সেস ড্যাক্রের ন্যায় নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেট তারকার অংশগ্রহণ ছিল।
সম্মাননা
[সম্পাদনা]- প্লাঙ্কেট শীল্ড (২৮)
- ফোর্ড ট্রফি (১০)
- বার্গার কিং সুপার স্ম্যাশ (৪)
উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড়
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ [১], Cricinfo.com, Retrieved 5 January 2011