ক্রেগ স্পিয়ারম্যান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ক্রেগ স্পিয়ারম্যান
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামক্রেগ মারে স্পিয়ারম্যান
জন্ম (1972-07-04) ৪ জুলাই ১৯৭২ (বয়স ৫১)
অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
ডাকনামস্পিয়ার্স
উচ্চতা৬ ফুট
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরন
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৯৫)
৮ ডিসেম্বর ১৯৯৫ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট৩০ নভেম্বর ২০০০ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৯৬)
১৫ ডিসেম্বর ১৯৯৫ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই১১ ফেব্রুয়ারি ২০০১ বনাম শ্রীলঙ্কা
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৯ ৫১ ২০১ ২৮৫
রানের সংখ্যা ৯২২ ৯৩৬ ১৩,০২১ ৮,০৫৮
ব্যাটিং গড় ২৬.৩৪ ১৮.৭১ ৩৭.৮৫ ২৯.৭৩
১০০/৫০ ১/৩ ০/৫ ৩০/৫৬ ৮/৫২
সর্বোচ্চ রান ১১২ ৮৬ ৩৪১ ১৫৩
বল করেছে ৭৮ ৩৩
উইকেট
বোলিং গড় ৫৫.০০ -
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ১/৩৭ -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২১/- ১৫/- ১৯৭/০ ১০৪/-
উৎস: ক্রিকইনফো, ৯ অক্টোবর ২০১৮

ক্রেগ মারে স্পিয়ারম্যান (ইংরেজি: Craig Spearman; জন্ম: ৪ জুলাই, ১৯৭২) অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯৫ থেকে ২০০১ সময়কালে নিউজিল্যান্ড দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন ‘স্পিয়ার্স’ ডাকনামে পরিচিত ক্রেগ স্পিয়ারম্যান। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড ও সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টস এবং প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

কাউন্টি ক্রিকেট[সম্পাদনা]

অকল্যান্ডের কেলস্টোন বয়েজ হাই স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন। এরপর নিউজিল্যান্ডের মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনো করেন ক্রেগ স্পিয়ারম্যান। তবে, গ্লুচেস্টারশায়ারের তৎকালীন কোচ ও সতীর্থ জন ব্রেসওয়েলের পরামর্শক্রমে ক্রিকেট খেলার সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্মরণীয় করে রাখেন নিজেকে। ব্রিস্টলে প্রথম খেলাতেই সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।

২০০৪ সালে গ্লস্টারে মিডলসেক্সের বিপক্ষে ৩৪১ রানের মনোজ্ঞ ইনিংস উপহার দেন ক্রেগ স্পিয়ারম্যান। তার এ ইনিংসটিতে ছয়টি ছক্কা ও ৪০টি চারের মার ছিল। এর ফলে ডব্লিউ জি গ্রেসের গড়া রেকর্ডকে ম্লান করে দিয়ে গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড গড়েন।[১] এরপর থেকে তিনি তার রান সংগ্রহের ধারা অব্যাহত রাখেন। তারপর আরও দুইটি দ্বি-শতক রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

২০০৫ সালে অক্সফোর্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলায় এক ওভারে ৩৪ রান হাঁকিয়েছিলেন ক্রেগ স্পিয়ারম্যান।[২] ২০০৬ সালে কাউন্টির ইতিহাসের ৪র্থ খেলোয়াড় হিসেবে নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করার কীর্তিগাঁথা রচনা করেন। চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতায় ঐ বছর তিনি ১৩৭০ রান তুলেছিলেন। ২০০৯ সালে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে মাত্র ছয়টি খেলায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। ২২.৮৮ গড়ে ২০৬ রান তুলতে পেরেছিলেন। ঐ বছর শেষে ক্লাবের সাথে চুক্তি ছিন্ন করেন।[৩]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৯ টেস্ট ও ৫১টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটে ক্রেগ স্পিয়ারম্যানের। ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৯৫ তারিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার।

ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ক্রেগ স্পিয়ারম্যানের টেস্ট অভিষেক ঘটে ক্রাইস্টচার্চে ডিসেম্বর, ১৯৯৫ সালে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে। তবে, টেস্ট দলে নিজেকে স্থায়ীভাবে কখনো প্রতিষ্ঠালাভে সক্ষমতা দেখাতে পারেননি তিনি। একবারই তিন অঙ্কের কোঠা স্পর্শ করতে পেরেছিলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১১২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তা স্বত্ত্বেও, ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্যরূপে মনোনীত হয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর ২০০১ সালে ইংল্যান্ডে চলে যান। সেখানে তিনি ব্যাংকিং খাতে চাকরি করতে থাকেন।

রেকর্ড[সম্পাদনা]

টেস্ট শতক[সম্পাদনা]

ক্রেগ স্পিয়ারম্যানের টেস্ট শতক
ক্রমিক রান খেলা প্রতিপক্ষ শহর/দেশ মাঠ সাল ফলাফল
[১] ১১২  জিম্বাবুয়ে নিউজিল্যান্ড অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ইডেন পার্ক ১৯৯৬ ড্র

ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ[সম্পাদনা]

ক্রমিক প্রতিপক্ষ মাঠ তারিখ অবদান ফলাফল
নেদারল্যান্ডস রিলায়েন্স স্টেডিয়াম, বরোদরা ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ ৬৮ (৫৯ বল: ৮×৪)  নিউজিল্যান্ড ১১৯ রানে বিজয়ী[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Most Runs in an Innings for Gloucestershire"। CricketArchive। 
  2. "The XI worst overs"Wisden Cricketer। ESPNcricinfo.com। আগস্ট ২০০৫। 
  3. "Spearman ends Gloucestershire career"County Cricket 2009। ESPNcricinfo.com। ২ অক্টোবর ২০০৯। 
  4. "1995-1996 Wills World Cup - 5th Match - Netherlands v New Zealand - Vadodara"। HowStat। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মার্চ ২০১৫ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]