বিষয়বস্তুতে চলুন

ইউনিভার্সিটি ওভাল, ডুনেডিন

স্থানাঙ্ক: ৪৫°৫১′৫৭″ দক্ষিণ ১৭০°৩১′৩১″ পূর্ব / ৪৫.৮৬৫৮৩° দক্ষিণ ১৭০.৫২৫২৮° পূর্ব / -45.86583; 170.52528
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইউনিভার্সিটি ওভাল
"ভার্সিটি ওভাল"
২০০৯ সালে নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তানের টেস্ট খেলার দৃশ্য
মানচিত্র
প্রাক্তন নামলোগান পার্ক ওভাল
অবস্থানডুনেডিন, নিউজিল্যান্ড
স্থানাঙ্ক৪৫°৫১′৫৭″ দক্ষিণ ১৭০°৩১′৩১″ পূর্ব / ৪৫.৮৬৫৮৩° দক্ষিণ ১৭০.৫২৫২৮° পূর্ব / -45.86583; 170.52528
মালিকডুনেডিন সিটি কাউন্সিল
ধারণক্ষমতা৩,৫০০(অস্থায়ী আসন বৃদ্ধি করে ৬,০০০)
উপরিভাগঘাস
নির্মাণ
কপর্দকহীন মাঠ১৯১৩
উদ্বোধন১৯২০
পুনঃসংস্কার১৯৭৯
সম্প্রসারণ২০০৪, ২০১২
ভাড়াটে
ওতাগো ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন
ওতাগো ভোল্টস
ওতাগো বিশ্ববিদ্যালয় রাগবি ফুটবল ক্লাব

ইউনিভার্সিটি ওভাল নিউজিল্যান্ডের ডুনেডিনের লোগান পার্কে অবস্থিত একটি ক্রিকেট মাঠ। ডুনেডিন সিটি কাউন্সিল এ মাঠ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ওতাগো বিশ্ববিদ্যালয় এ মাঠের স্বত্ত্বাধিকারী ছিল। কিন্তু ২০০০-এর শুরুতে পুণঃউন্নয়নের লক্ষ্যে মালিকানাস্বত্ত্ব সিটি কাউন্সিলের কাছে হস্তান্তরিত করা হয়। ওতাগো ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ও ওতাগো বিশ্ববিদ্যালয় রাগবি ফুটবল ক্লাবের প্রধান অণুশীলনী মাঠ এটি। এছাড়াও হাইল্যান্ডার্স রাগবি ফুটবল দল এখানে অণুশীলনীর কাজে ব্যবহার করে। প্রথম খেলাতেই আম্পায়ার সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা পদ্ধতির প্রচলন ঘটানো হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রথমবারের মতো ব্যবহৃত এ পদ্ধতি পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তৃতীয় টেস্টে প্রয়োগ ঘটে।

বিবরণ

[সম্পাদনা]

মাঠের উত্তর প্রান্তে একটি মিডিয়া কমপ্লেক্স রয়েছে। এতে টেলিভিশন ও রেডিওর ধারাভাষ্য কক্ষ রয়েছে। এছাড়াও অস্থায়ীভাবে মিডিয়া কমপ্লেক্স ও দক্ষিণ প্রান্তে টেলিভিশন ক্যামেরা প্রয়োজনমাফিক বসানো যাবে। মাঠের দক্ষিণ প্রান্তে ঐতিহাসিক গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড রয়েছে। উত্তর-পূর্ব প্রান্তে একটি বিশাল ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড আছে। গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড কমপ্লেক্সে পোশাক পরিবর্তনের কক্ষ, সদস্যদের কক্ষ, লাউঞ্জ ও বার, খেলোয়াড়দের দেখার ব্যবস্থা, চিকিৎসা কক্ষ, রান্নাঘর, দাপ্তরিক কার্যালয়, আম্পায়ারদের কক্ষ, ক্যান্টিন ও দোকানপাট, প্রচারমাধ্যম কক্ষ ও সংরক্ষণাগার রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় রাগবি ক্লাবের সাথে একটি ভবন সংযুক্ত আছে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

ইউনিভার্সিটি ওভাল নিউজিল্যান্ডের সপ্তম টেস্ট ক্রিকেট মাঠের মর্যাদা পায়। ৪ জানুয়ারি, ২০০৮ তারিখে বাংলাদেশের বিপক্ষ স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দল প্রথম টেস্ট খেলায় মুখোমুখি হয়। দশ বছরের মধ্যে ডুনেডিনে প্রথম টেস্ট খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিভার্সিটি ওভালের পুণঃউন্নয়নে নিউজিল্যান্ডীয় মুদ্রায় NZ$৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয়িত হয়। এরফলে এ মাঠটি কেয়ার্সব্রুকের পরিবর্তে ডুনেডিনের টেস্ট ক্রিকেট মাঠে পরিণত হয়।[]

টেস্ট খেলা আয়োজনের একমাস পূর্বে রাজ্য চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় অকল্যান্ড এবং ওতাগো দল প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা করে। চারদিনের খেলা হলেও অণুপযোগী পীচের কারণে খেলাটি দুইদিনে শেষ হয়ে যায়। তন্মধ্যে অকল্যান্ড ৯৪ ও ১২৮ এবং ওতাগো ১৭০ ও ৪/৫৪ করে।[] ফলে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ পীচের উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রধান টার্ফ কর্মকর্তা জারড কার্টারকে স্থানীয় গ্রাউন্ডসম্যানের সাহায্যার্থে ডুনেডিনে প্রেরণ করে। টম তামাতি টেস্ট পীচ তৈরী করেছিলেন।[] তারপরও ইউনিভার্সিটি ওভালে অনুষ্ঠিত টেস্টটি তিনদিনে শেষ হয়ে যায় মূলতঃ বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের ব্যাটিং ব্যর্থতার জন্য। নিউজিল্যান্ড দল ৩৫৭ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ দল উদ্বোধনী জুটিতে ১৬১ রান করেছিল। খেলা শেষে নিউজিল্যান্ডীয় অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টোরি বলেন যে, “বাউন্ডারীর আকার বাদে সবকিছুর ব্যবস্থাপনা চমৎকার। যদি অস্ট্রেলীয় ম্যাথু হেইডেন অথবা অ্যাডাম গিলক্রিস্টের ন্যায় ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে স্পিনারদের বোলিং কৌশল ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতো। প্রতিপক্ষ দল যদি খেলাকে সংক্ষিপ্ত করতে চায় তাহলে আমি কীভাবে দীর্ঘায়িত করবো। প্রধান টেস্ট ক্রিকেট মাঠগুলোর অন্যতম হিসেবে এ মাঠের অবস্থান।”

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Cricket: Black Caps check out Dunedin’s University Oval
  2. Otago v Auckland 3 & 4 Dec 2007
  3. Leggat, David (৩ জানুয়ারি ২০০৮)। "Cricket: Fingers crossed for the University pitch"The New Zealand Herald। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১১ 

পাদটীকা

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]