লাল মসজিদ, দিল্লি
লাল মসজিদ | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২৮°৩৯′৫৫″ উত্তর ৭৭°১৩′৪৭″ পূর্ব / ২৮.৬৬৫১৮৬° উত্তর ৭৭.২২৯৬১৩° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | মসজিদ |
স্থাপত্য শৈলী | ইন্দো-ইসলামিক |
ভূমি খনন | ১৭২৮ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৭২৯ |
দিল্লির লাল মসজিদ, যাকে ফকর-উল মসজিদ (সংক্ষেপেঃ "মসজিদের গর্ব") বা সিকান্দার সাহেবের মসজিদ হিসাবেও পরিচিত। [১] এটি ভারতের পুরান দিল্লির কাশ্মীরি গেটের বড় বাজারে অবস্থিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৭২৮ সালে কানিজ-ই-ফাতিমা (ফকর-ই-জাহান নামে পরিচিত) তার স্বামী সুজাত খাঁর স্মরণে তৈরি করেন। সুজাত খাঁ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের দরবারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিল।[২] কর্নেল জেমস স্কিনার মসজিদটি মেরামত করেন এবং এর নির্মাণকাজ কখনও কখনও তাকে অসমর্থিত করে।[৩][৪]
স্যার টমাস মেটকালফের ১৮৪৪ সালের "রেমিনেইসেন্স অফ ইম্পেরিয়াল দিল্লি" বইটিতে মসজিদের চিত্র ও বর্ণনা বর্ণিত হয়।
১৮৫৭ সালের দিল্লির অবরোধের সময় মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পরে অবশ্য এটি মেরামত করা হয়েছে।[৫]
স্থাপত্য
[সম্পাদনা]মসজিদটি রাস্তা সংলগ্ন সারিবদ্ধ-দোকানের উপর ১২ মিটার (৪০ ফু) দৈর্ঘ্য ৭.৩ মিটার (২৪ ফু) প্রস্থ এবং ২.৫ মিটার (৮.২ ফু) উচ্চতাবিশিষ্ট স্তম্ভের উপর নির্মিত।[৬][৭] মূল ভবনটিতে তিনটি খিলানযুক্ত প্রবেশদ্বার কক্ষ রয়েছে। কেন্দ্রের খিলানের দুপাশে দুটি ফালাযুক্ত মিনার মসজিদের পিছনের দিক থেকে অবিকল প্রতিরুপ ধারণ করে। মসজিদের ছাদে তিনটি সুসজ্জিত রক্ষামূলক ফলকবিশিষ্ট সাদা এবং কালো মার্বেল গম্বুজ রয়েছে। ভবনটিতে লাল বেলেপাথর এবং সাদা মার্বেলের উল্লেখযোগ্য ব্যবহার করা হয়েছে যা ঐ সময়ের জন্য অস্বাভাবিক হিসাবে বিবেচিত হয়। যদিও এর মিনার এবং গম্বুজ সহ অন্যান্য অনেক বৈশিষ্ট্য নিকটবর্তী দিল্লির জামে মসজিদসহ দিল্লির প্রধান মসজিদগুলির আদলে তৈরি করা হয়েছে।[৮]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Smith, R. V. (Ronald Vivian), 1938-2020,। Delhi : unknown tales of a city (ইংরেজি ভাষায়)। New Delhi। আইএসবিএন 978-93-5194-125-5। ওসিএলসি 911198438।
- ↑ Peck, Lucy; Heritage, Indian National Trust for Art and Cultural (আগস্ট ২০০৫)। Delhi, a thousand years of building (ইংরেজি ভাষায়)। The Lotus Collection। আইএসবিএন 9788174363541।
- ↑ Smith, R,V (৩০ মে ২০১৫)। Delhi: Unknown Tales of a City (ইংরেজি ভাষায়)। Roli Books Private Limited। আইএসবিএন 9789351941255।
- ↑ Smith, Ronald Vivian (২০০৫)। The Delhi that No-one Knows (ইংরেজি ভাষায়)। Orient Blackswan। আইএসবিএন 9788180280207।
- ↑ Keene, Henry George (১৯০৬)। A Handbook for Visitors to Delhi and Its Neighborhood। Thacker & Co। পৃষ্ঠা 25–26।
- ↑ Stephen, Carr (১৮৭৬)। The Archæology and Monumental Remains of Delhi। Thacker Spink & Co। পৃষ্ঠা 270–271।
- ↑ "Lal Masjid (Fakrul Masjid)"। ২০০৭-০৭-০৬। Archived from the original on ২০০৭-০৭-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৯-৩০।
- ↑ 1946-, Asher, Catherine B. (Catherine Blanshard) (২০০৬)। India before Europe। Talbot, Cynthia.। Cambridge University Press। আইএসবিএন 0521809045। ওসিএলসি 61303480।