হরিণচড়া ইউনিয়ন
হরিণচড়া | |
---|---|
ইউনিয়ন | |
দেশ | বাংলাদেশ |
বিভাগ | রংপুর বিভাগ |
জেলা | নীলফামারী জেলা |
উপজেলা | ডোমার উপজেলা |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
হরিণচড়া ইউনিয়ন বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার একটি প্রশাসনিক একক।
অবস্থান
[সম্পাদনা]এই ইউনিয়নটি রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার অন্তর্গত।[১]
প্রশাসনিক এলাকা
[সম্পাদনা]হরিণচড়া ইউনিয়নটি ৭টি গ্রাম নিয়ে গঠিত; এই গ্রামগুলো ৯টি প্রশাসনিক ওয়ার্ডে বিভক্ত।
- গ্রামসমূহঃ পূর্ব হরিণচড়া, পশ্চিম হরিণচড়া, শেওটগাড়ী, হরিহরা, খানাবাড়ী, হংসরাজ, শালমারা ও আটিয়াবাড়ী।
জনপ্রতিনিধি
[সম্পাদনা]১ জন চেয়ারম্যান, ৯ জন সাধারণ সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনের ৩ জন মহিলা সদস্য সমন্বয়ে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসন গঠিত। বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুল ইসলাম।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]হরিণচড়া ইউনিয়নটি নীলফামারী জেলার ডোমার থানার অন্তর্ভুক্ত একটি ইউনিয়। যেটি এক সময় সোনারায় ইউনিয়নের শাখা হিসেবে ছিল। পরবর্তীতে বিভক্তিকরন এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ইউনিয়নটি।এর নামকরণ সম্পর্কে যদিও মতভেদ রয়েছে কিন্তু এই ইউনিয়নের পূর্বের বয়োবৃদ্ধ ভদ্রলোকদের নিকট হতে এটা জানা যায় যে এই এলাকায় বহুপূর্বে একটা বন ছিল যাতে অন্যান্য প্রাণীর সাথে হরিণ এর বিচরন লক্ষনীয়।চারণভূমিকে আঞ্চলিক ভাষায় বলা হয় চড়ান। আর হরিণ নামকে পূর্বে লাগিয়ে হরিণচড়া নাম করন করা হয়ে। নামকরণকে নিয়ে আর একটি মত হলো রাজা ধর্মপাল এর বোন 'ময়নামতি'এর বাসা ছিল এই এলাকায়। ময়নামতি বাসায় শখ করে কিছু হরিণ এর শাবক রেখেছিলেন। শাবক গুলোকে ঘাশ খাওয়ার জন্য একটা বিস্তীর্ন অঞ্চল ঘিরে রাখা হয়েছিল। হরিণের চাড়ন ভুমি হিসেবে পরবর্তীতে যায়গাটির নাম লোকমুখে ছড়াতে থাকে হরিণচড়া।
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]এ ইউনিয়নের মোট জনসংখ্যা ২১,৩৩২ জন।[২]
- নারী ১০,৫৬৭ জন
- পুরুষ ১০,৭৬৫ জন
শিক্ষা
[সম্পাদনা]উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ
- আটিয়া বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
- পশ্চিম হরিণচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
- শালমারা বি এন উচ্চ বিদ্যালয় এবং কলেজ,
- হরিণচড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
- আটিয়াবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়,
- হংসরাজ দ্বিমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়়।
- শেওটগাড়ী মাহমুদিয়া জমাতেউলা হাফেজিয়া মাদ্রা।
- শেওটগাড়ী মাহমুদিয়া বহুমুখী আলিম মাদ্রাসা।
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]বেশিরভাগ মানুষের অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। এছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের বসবাস এখানে যেমন শিক্ষকতা, ব্যবসা, এনজিও প্রতিষ্ঠানে চাকুরীজীবী, চিকিৎসক ইত্যাদি। প্রধান প্রধান কৃষি পন্যের মধ্যে ধান, গম, তামাক, পাট, মরিচ, আলু, ভুট্টা, আখ ইত্যাদি। কৃষকরা নিজ জমিতে এসব উৎপাদন করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। প্রধান বাজারঃ ধরনীগণজ বাজার, বাবুরডাঙ্গা বাজার, বুড়ির হাট ইত্যাদি।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- ময়নামতি গড় - আটিয়াবাড়ী।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "হরিণচড়া ইউনিয়ন"। জাতীয় তথ্য বাতায়ন।
- ↑ "ইউনিয়নের জনসংখ্যা"। www.lcgbangladesh.org। ২৭ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- হরিণচড়া ইউপি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
বাংলাদেশের ইউনিয়ন বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |