মরিস টেট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
পরিমার্জন
Suvray (আলোচনা | অবদান)
বিষয়শ্রেণী:১৯১৯ থেকে ১৯৪৫ ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার অপসারণ; [[বিষয়শ্রেণী:১৯১৯ থেকে ১৯৪৫ সময়কা...
৯২ নং লাইন: ৯২ নং লাইন:
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৯৫-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৯৫-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৫৬-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৫৬-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯১৯ থেকে ১৯৪৫ ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯১৯ থেকে ১৯৪৫ সময়কালীন ইংরেজ ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটার]]
[[বিষয়শ্রেণী:ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটার]]

০৮:১৪, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মরিস টেট
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামমরিস উইলিয়াম টেট
ডাকনামচুবি
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
সম্পর্কফ্রেড টেট
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩৯ ৬৭৯
রানের সংখ্যা ১১৯৮ ২১৭১৭
ব্যাটিং গড় ২৫.৪৮ ২৫.০৪
১০০/৫০ ১/৫ ২৩/৯৩
সর্বোচ্চ রান ১০০* ২০৩
বল করেছে ১২৫২৩ ১৫০৪৬১
উইকেট ১৫৫ ২৭৮৪
বোলিং গড় ২৬.১৬ ১৮.১৬
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৯৫
ম্যাচে ১০ উইকেট ৪৪
সেরা বোলিং ৬/৪২ ৯/৭১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১১/- ২৮৩/-
উৎস: ক্রিকইনফো, ৯ জুলাই ২০১৫

মরিস উইলিয়াম টেট (ইংরেজি: Maurice Tate; জন্ম: ৩০ মে, ১৮৯৫ - মৃত্যু: ১৮ মে, ১৯৫৬) সাসেক্সের ব্রাইটন এলাকার প্রিস্টনে জন্মগ্রহণকারী ইংল্যান্ডের বিখ্যাত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ১৯২০-এর দশক থেকে শুরু করে ১৯৩০-এর দশক পর্যন্ত ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলে প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে ছিলেন। এ সময়কালে ইংল্যান্ডের টেস্ট বোলিং আক্রমণে দলের নেতৃত্ব দেন ‘চুবি’ ডাকনামে পরিচিত মরিস টেট। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট মিডিয়াম বোলিং করতেন। কাউন্টি ক্রিকেটে সাসেক্স ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলেন তিনি।

প্রারম্ভিক জীবন

সাসেক্সের সাবেক অফ স্পিনার ফ্রেড টেট ছিলেন তাঁর বাবা। ১৯১২ সালে হার্ড হিটিং ব্যাটসম্যান ও স্পিন বোলার হিসেবে সাসেক্সে খেলা শুরু করেন তিনি। ১৯১৩ ও ১৯১৪ সালে কয়েকটি খেলায় অংশ নেন টেট। ১৯১৯ সালে প্রথমবারের মতো সহস্রাধিক রান সংগ্রহ করেন ও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এরপর তিনি ধারাবাহিকভাবে আরও দশবার সহস্র রানের কোটা অতিক্রম করেন। পরের দুই বছর টেটের ব্যাটিং গড়ের উন্নতি ঘটে। তন্মধ্যে ১৯২১ সালে নর্দাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে দ্বি-শতক রান করেন যা তাঁর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ। কিন্তু এ সময়কালে তাঁর বোলিংয়ের মান দ্বিতীয় সারির পর্যায়ে চলে যায়।[১]

১৯২৩ থেকে ১৯২৫ সালের মধ্যে কাউন্টি ক্রিকেটসহ টেস্ট খেলায় ব্যাপক সাফল্য পান। এ সময়ের প্রত্যেক বছরেই তিনি দুই শতাধিক উইকেট পান। সাসেক্সের ব্যাটিং অবস্থা দূর্বল থাকা স্বত্ত্বেও তাঁর ব্যাট ঠিকই রান পেয়েছে। এছাড়াও, ১৯২৪ সালে দলের মূল বোলার আর্থার জিলিগান মারাত্মকভাবে আহত ছিলেন।

খেলোয়াড়ী জীবন

সাসেক্সের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বলেই উইকেট লাভ করেন তিনি।[২] ১৬ জুন, ১৯২৪ তারিখে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর টেস্ট অভিষেক ঘটে। ফ্রেড সাসকিন্ডকে সরাসরি বোল্ড করে তিনি এ কৃতিত্ব অর্জন করেন।[৩] বার্মিংহামের এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় জিলিগান ও তিনি একত্রে ১২.৩ ওভারেই মাত্র ৩০ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস সমাপ্তিতে সহায়তা করেন। জিলিগানের ৬/৭ এর সাথে তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড়ায় ৪/১২। ১৯২৪-২৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরেও তিনি সাফল্য পান। ঐ সিরিজে তিনি ২৩.১৮ গড়ে ৩৮ উইকেট লাভ করেন। পাঁচ টেস্টের তিনটিতেই তিনি ছয় শতাধিক বল করলেও অন্য বোলারদের তেমন কার্যকারিতা দেখা যায়নি। ২০১৭-এর হিসাব অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত অ্যাশেজ সিরিজে যে-কোন ইংরেজ বোলারের রেকর্ড হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে।

পরবর্তী ছয় বছরেও টেটের অল-রাউন্ড নৈপুণ্য বজায় থাকে। ১৯২৯ সালে টেট তাঁর একমাত্র শতক লাভ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। কিন্তু ১৯৩০ সাল থেকে তিনি মূলতঃ বোলার হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে থাকেন। ফলশ্রুতিতে তাঁকে শেষদিকে ব্যাটিং করতে হয়েছে। ঐ সময়ে হ্যারল্ড লারউডবিল ভসের ন্যায় বোলারের আবির্ভাব ঘটায় ইংল্যান্ড দলে তাঁর ভূমিকা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ১৯৩৪ সালে অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর তৃতীয় সফরে দলের সদস্য থাকা স্বত্ত্বেও এবং লারউডের অনুপস্থিতিজনিত কারণেও কোন টেস্টে অংশ নিতে পারেননি।

সম্মাননা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তিনি তিনবার হ্যাট্রিক করেন। ১৯২৪ সালে নিজ দেশে ১,৪১৯ রান ও ২০৫ উইকেট লাভ ও পরবর্তীকালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ১১ উইকেট লাভ করায় উইজডেনের বিবেচনায় তাঁকে উইজডেন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার ঘোষণা করে। একই বছর তাঁকে অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত করে।[১][৪]

তথ্যসূত্র

  1. Cricinfo player page including obituary from Wisden Cricketer's Almnack, 1957 edition
  2. Cricinfo page on bowlers who got a wicket with their first ball in test
  3. "South Africa in England (1924): Scorecard of first Test"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১০ 
  4. "WISDEN'S LEADING CRICKETER IN THE WORLD"। "Wisden"। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ৯, ২০১৫ 

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ