অরবিন্দ ঘোষ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
২৫ নং লাইন: | ২৫ নং লাইন: | ||
লোরেট কনভেন্টে দুই বছর লেখাপড়ার পর ১৮৭৯ সালে দুই সহোদর সহ অরবিন্দকে বিলেতের [[ম্যাঞ্চেস্টার]] শহরে পাঠান হয় ইউরোপীয় শিক্ষালাভের জন্য। জনৈক রেভারেন্ড এবং শ্রীমতি ড্রিয়ুইটের তত্ত্বাবধানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। রেভারেন্ড ড্রিয়ুইট ছিলেন [[অ্যাংলিকান]] যাজক, রংপুরের ব্রিটিশ বন্ধুদের মাধ্যমে যার সাথে ড ঘোষের পরিচয় ছিল। ড্রিয়ুইট পরিবার তিন ভাইকে ব্যক্তিগত ভাবে শিক্ষাদান করেন। শিক্ষার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ভারত ও তার সংস্কৃতির কোনরকম উল্লেখ না করার অনুরোধ ছিল। |
লোরেট কনভেন্টে দুই বছর লেখাপড়ার পর ১৮৭৯ সালে দুই সহোদর সহ অরবিন্দকে বিলেতের [[ম্যাঞ্চেস্টার]] শহরে পাঠান হয় ইউরোপীয় শিক্ষালাভের জন্য। জনৈক রেভারেন্ড এবং শ্রীমতি ড্রিয়ুইটের তত্ত্বাবধানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। রেভারেন্ড ড্রিয়ুইট ছিলেন [[অ্যাংলিকান]] যাজক, রংপুরের ব্রিটিশ বন্ধুদের মাধ্যমে যার সাথে ড ঘোষের পরিচয় ছিল। ড্রিয়ুইট পরিবার তিন ভাইকে ব্যক্তিগত ভাবে শিক্ষাদান করেন। শিক্ষার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ভারত ও তার সংস্কৃতির কোনরকম উল্লেখ না করার অনুরোধ ছিল। |
||
১৮৮৪ সালে অরবিন্দ লন্ডনের সেইন্ট পলস স্কুলে ভর্তি হন। এখান থেকে গ্রীক, লাতিন এবং শেষ তিন বছরে সাহিত্য বিশেষতঃ ইংরেজী কাবিতা অধ্যয়ন করেন। ড কে,ডি, ঘোষ ভেবেছিলেন তার তিন পুত্রই সম্মানসূচক ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করবেন, কিন্তু ১৮৮৯ সালে দেখা গেল একমাত্র সবার ছোট অরবিন্দই বাবার আশা পূরণ করতে পারবেন, বাকি ভাইয়েরা ইতোমধ্যেই ভিন্ন দিকে নিজ নিজ ভবিষ্যতের পথ বেছে নিয়েছেন। আইসিএস কর্মকর্তা হওয়ার জন্য ছাত্রদেরকে প্রতিযোগীতা মূলক পরীক্ষায় পাশ করতে হত এবং ইংরেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছর অধ্যয়নের অভিজ্ঞতাও প্রয়োজন ছিল। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারনে বৃত্তি অর্জন ছাড়া ইংরেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া করা অরবিন্দের পক্ষে সম্ভব ছিলনা। তিনি কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কিংস কলেজের বৃত্তি পরীক্ষায় পাশ করায় তা সম্ভবপর হয়ে ওঠে।<ref>The Lives of Sri Aurobindo, Peter Heehs. Page 19</ref> |
১৮৮৪ সালে অরবিন্দ লন্ডনের সেইন্ট পলস স্কুলে ভর্তি হন। এখান থেকে গ্রীক, লাতিন এবং শেষ তিন বছরে সাহিত্য বিশেষতঃ ইংরেজী কাবিতা অধ্যয়ন করেন। ড কে,ডি, ঘোষ ভেবেছিলেন তার তিন পুত্রই সম্মানসূচক ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করবেন, কিন্তু ১৮৮৯ সালে দেখা গেল একমাত্র সবার ছোট অরবিন্দই বাবার আশা পূরণ করতে পারবেন, বাকি ভাইয়েরা ইতোমধ্যেই ভিন্ন দিকে নিজ নিজ ভবিষ্যতের পথ বেছে নিয়েছেন। আইসিএস কর্মকর্তা হওয়ার জন্য ছাত্রদেরকে প্রতিযোগীতা মূলক পরীক্ষায় পাশ করতে হত এবং ইংরেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছর অধ্যয়নের অভিজ্ঞতাও প্রয়োজন ছিল। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারনে বৃত্তি অর্জন ছাড়া ইংরেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া করা অরবিন্দের পক্ষে সম্ভব ছিলনা। তিনি কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কিংস কলেজের বৃত্তি পরীক্ষায় পাশ করায় তা সম্ভবপর হয়ে ওঠে।<ref>The Lives of Sri Aurobindo, Peter Heehs. Page 19</ref> তিনি কয়েক মাস পর আইসিএস এর লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেন ২৫০ প্রতিযোগীর মাঝে ১১তম স্থান অধিকার করে।<ref>The Lives of Sri Aurobindo, Peter Heehs. Page 20</ref> He spent the next two years at the King's College.<ref>{{Venn|id=GHS890AA|name=Ghose, Aravinda Acroyd}}</ref> |
||
দুই বছর প্রবেশনের শেষ দিকে অরবিন্দ নিশ্চিত হন যে বৃটিশদের সেবা করার ইচ্ছা তার নেই, অতএব, আইসিএস পরীক্ষার অংশ অশ্বারোহণ পরীক্ষায় হাজির না হয়ে অকৃতকার্য হন। একই সময়ে [[বারোদা|বারোদার]] মহারাজ [[৩য় সায়াজিরাও গায়কোয়াড়]] বিলেত ভ্রমন করছিলেন। স্যার হেনরি কটনের ভাই জেমস কটন, যিনি কিছুদিন বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর এবং সাউথ কেন্সিংটন লিবারেল ক্লাবের সচিব ছিলেন, অরবিন্দ ও তার বাবার পূর্ব পরিচিতির সুবাদে বারোদা স্টেস সার্ভিসে অরবিন্দের চাকুরির ব্যবস্থা করেন এবং যুবরাজের সাথে অরবিন্দের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেন। অরবিন্দ বিলেত ছেড়ে ভারত অভিমুখে যাত্রা করেন ১৮৯৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে।<ref>http://www.sriaurobindoashram.org/ashram/sriauro/life_sketch.php</ref> ভারতে অপেক্ষারত অরবিন্দর বাবা [[মুম্বাই|বোম্বের]] এজেন্টের কাছ থেকে ভুল সংবাদ পান, [[পর্তুগাল|পর্তুগালের]] ঊপকূলে অরবিন্দর জাহাজডুবি ঘটেছে। ড ঘোষ আগেই অসুস্থ ছিলেন, এই দুঃসংবাদের ধাক্কা সামলাতে না পেরে মৃত্যুবরণ করেন।<ref name="NirodBio">[http://sriaurobindoashram.info/Content.aspx?ContentURL=/_StaticContent/Sriaurobindoashram/-09%20E-Library/-03%20Works%20of%20Disciples/-06%20Nirodbaran/-10_Sri%20Aurobindo%20for%20All%20Ages/-00_Contents.htm Sri Aurobindo for all ages. Nirodbaran]</ref> |
|||
== রচিত গ্রন্থ == |
== রচিত গ্রন্থ == |
২৩:২৯, ৯ এপ্রিল ২০১২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
অরবিন্দ ঘোষ | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
ধর্ম | হিন্দু |
শ্রী অরবিন্দ বা অরবিন্দ ঘোষ (১৫ই আগস্ট, ১৮৭২- ৫ই ডিসেম্বর, ১৯৫০) ছিলেন বাঙালি রাজনৈতিক নেতা, আধ্যাত্মসাধক এবং দার্শনিক।[১][২] তাঁর পিতা কৃষ্ণধন ঘোষ এবং মাতামহ রাজনারায়ণ বসু। অরবিন্দ ঘোষ বাল্যকালে ইংল্যান্ডে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে গমন করেন এবং কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হতে ট্রাইপস পাস করেন। দেশে ফিরে এসে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তার অনুজ বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে বিপ্লবী মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তিনি কংগ্রেসের চরমপন্থী গ্রুপের নেতৃত্বে থাকাকালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে (১৯০৫-১৯১১) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
জিবনী
শৈশব
অরবিন্দ ঘোষ জন্মগ্রহন করেন কোলকাতায়, বাবা কৃষ্ণ ধন ঘোষ ছিলেন তৎকালীন বাংলার রংপুর জেলার জেলা সার্জন। মা স্বর্ণলতা দেবী, ব্রাহ্ম ধর্ম অনুসারী ও সমাজ সংস্কারক রাজনারায়ণ বসুর কন্যা। সংস্কৃতে "অরবিন্দ" শব্দের অর্থ "পদ্ম"। বিলেতে থাকাকালীন সময়ে অরবিন্দ নিজের নাম "Aaravind", বারোদায় থাকতে "Aravind" বা "Arvind" এবং বাংলায় আসার পর "Aurobindo" হিসেবে বানান করতেন। পারিবারিক পদবীর বানান ইংরেজিতে সাধারনত "Ghose" হলেও অরবিন্দ নিজে "Ghosh" ব্যবহার করেছেন।[৩] Dr. Ghose chose the middle name Akroyd to honour his friend Annette Akroyd.[৪]
রংপুরে তাঁর বাবা ১৮৭১ এর অক্টোবর থেকে কর্মরত ছিলেন, অরবিন্দ রংপুরে জীবনের প্রথম পাঁচ বছর পার করেন। ড ঘোষ এর আগে বিলেতের কিংস কলেজে চিকিৎসা শাস্ত্রে লেখাপড়া করেন। তিনি সন্তানদের ইংরেজি পন্থায় এবং ভারতীয় প্রভাব মুক্ত শিক্ষাদানের মনোভাব পোষণ করতেন। তাই ১৮৭৭ সালে দুই অগ্রজ সহোদর মনমোহন ঘোষ এবং বিনয়ভূষণ ঘোষ সহ অরবিন্দকে দার্জিলিঙ্গের লোরেটো কনভেন্টে পাঠান হয়।
বিলেত
লোরেট কনভেন্টে দুই বছর লেখাপড়ার পর ১৮৭৯ সালে দুই সহোদর সহ অরবিন্দকে বিলেতের ম্যাঞ্চেস্টার শহরে পাঠান হয় ইউরোপীয় শিক্ষালাভের জন্য। জনৈক রেভারেন্ড এবং শ্রীমতি ড্রিয়ুইটের তত্ত্বাবধানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। রেভারেন্ড ড্রিয়ুইট ছিলেন অ্যাংলিকান যাজক, রংপুরের ব্রিটিশ বন্ধুদের মাধ্যমে যার সাথে ড ঘোষের পরিচয় ছিল। ড্রিয়ুইট পরিবার তিন ভাইকে ব্যক্তিগত ভাবে শিক্ষাদান করেন। শিক্ষার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ভারত ও তার সংস্কৃতির কোনরকম উল্লেখ না করার অনুরোধ ছিল।
১৮৮৪ সালে অরবিন্দ লন্ডনের সেইন্ট পলস স্কুলে ভর্তি হন। এখান থেকে গ্রীক, লাতিন এবং শেষ তিন বছরে সাহিত্য বিশেষতঃ ইংরেজী কাবিতা অধ্যয়ন করেন। ড কে,ডি, ঘোষ ভেবেছিলেন তার তিন পুত্রই সম্মানসূচক ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় পাশ করবেন, কিন্তু ১৮৮৯ সালে দেখা গেল একমাত্র সবার ছোট অরবিন্দই বাবার আশা পূরণ করতে পারবেন, বাকি ভাইয়েরা ইতোমধ্যেই ভিন্ন দিকে নিজ নিজ ভবিষ্যতের পথ বেছে নিয়েছেন। আইসিএস কর্মকর্তা হওয়ার জন্য ছাত্রদেরকে প্রতিযোগীতা মূলক পরীক্ষায় পাশ করতে হত এবং ইংরেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছর অধ্যয়নের অভিজ্ঞতাও প্রয়োজন ছিল। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারনে বৃত্তি অর্জন ছাড়া ইংরেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া করা অরবিন্দের পক্ষে সম্ভব ছিলনা। তিনি কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কিংস কলেজের বৃত্তি পরীক্ষায় পাশ করায় তা সম্ভবপর হয়ে ওঠে।[৫] তিনি কয়েক মাস পর আইসিএস এর লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেন ২৫০ প্রতিযোগীর মাঝে ১১তম স্থান অধিকার করে।[৬] He spent the next two years at the King's College.[৭]
দুই বছর প্রবেশনের শেষ দিকে অরবিন্দ নিশ্চিত হন যে বৃটিশদের সেবা করার ইচ্ছা তার নেই, অতএব, আইসিএস পরীক্ষার অংশ অশ্বারোহণ পরীক্ষায় হাজির না হয়ে অকৃতকার্য হন। একই সময়ে বারোদার মহারাজ ৩য় সায়াজিরাও গায়কোয়াড় বিলেত ভ্রমন করছিলেন। স্যার হেনরি কটনের ভাই জেমস কটন, যিনি কিছুদিন বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর এবং সাউথ কেন্সিংটন লিবারেল ক্লাবের সচিব ছিলেন, অরবিন্দ ও তার বাবার পূর্ব পরিচিতির সুবাদে বারোদা স্টেস সার্ভিসে অরবিন্দের চাকুরির ব্যবস্থা করেন এবং যুবরাজের সাথে অরবিন্দের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেন। অরবিন্দ বিলেত ছেড়ে ভারত অভিমুখে যাত্রা করেন ১৮৯৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে।[৮] ভারতে অপেক্ষারত অরবিন্দর বাবা বোম্বের এজেন্টের কাছ থেকে ভুল সংবাদ পান, পর্তুগালের ঊপকূলে অরবিন্দর জাহাজডুবি ঘটেছে। ড ঘোষ আগেই অসুস্থ ছিলেন, এই দুঃসংবাদের ধাক্কা সামলাতে না পেরে মৃত্যুবরণ করেন।[৯]
রচিত গ্রন্থ
অরবিন্দ ঘোষের রচিত ৩২ টি গ্রন্থের মধ্যে বাংলা গ্রন্থের সংখ্যা ৬টি। তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু গ্রন্থ:
|
|
বাংলা গ্রন্থ:
- কারাকাহিনী
- ধর্ম ও জাতীয়তা
- অরবিন্দের পত্র
তথ্যসূত্র
- ↑ Ghose A., McDermott, R.A. - Essential Aurobindo, SteinerBooks (1994) ISBN 0-940262-22-3.
- ↑ Heehs, P., The Lives of Sri Aurobindo, 2008, New York: Columbia University Press ISBN 978-0-231-14098-0
- ↑ Google Scholar
- ↑ The lives of Sri Aurobindo, Peter Heehs, Page 3
- ↑ The Lives of Sri Aurobindo, Peter Heehs. Page 19
- ↑ The Lives of Sri Aurobindo, Peter Heehs. Page 20
- ↑ Ghose, Aravinda Acroyd in Venn, J. & J. A., Alumni Cantabrigienses, Cambridge University Press, 10 vols, 1922–1958.
- ↑ http://www.sriaurobindoashram.org/ashram/sriauro/life_sketch.php
- ↑ Sri Aurobindo for all ages. Nirodbaran
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |