ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ
ধরন | বেসরকারি |
---|---|
স্থাপিত | ২০১৪ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় |
চেয়ারম্যান | ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ |
অধ্যক্ষ | ব্রিগে. জেনা. ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম |
শিক্ষার্থী | ২২১ (২০১৯) |
স্নাতক | এমবিবিএস |
অবস্থান | ঘাটুরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া , , বাংলাদেশ ২৪°০০′০৭″ উত্তর ৯১°০৬′৩৮″ পূর্ব / ২৪.০০১৯° উত্তর ৯১.১১০৬° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
ভাষা | ইংরেজি |
ওয়েবসাইট | bmchbd |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (বিএমসি) বাংলাদেশের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।[১] কলেজ হাসপাতালটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরায় অবস্থিত এবং অনুমোদিত কলেজ হিসেবে চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। এই মেডিক্যাল কলেজটি বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএম ও ডিসি) দ্বারা স্বীকৃত।
এই কলেজ পাঁচ বছরের ব্যাচেলর অফ মেডিসিন, ব্যাচেলর অফ সার্জারি (এমবিবিএস) ডিগ্রির কোর্সে পড়ায়। এমবিবিএস অর্জন করার পর এক বছরের ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেয়। ডিগ্রীটি বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) দ্বারা স্বীকৃত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]২০১০ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিক্যাল কলেজ (বিএমসি) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমোদন লাভের পর ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি করা শিক্ষার্থীদের নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করে।[২] প্রতি বছর ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হবার সুযোগ পায়।
হাসপাতাল
[সম্পাদনা]কলেজ হাসপাতালটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ঘাটুরায় অবস্থিত যা শহর থেকে ৪ কিমি দূরে। এখানে ধূমপান না করার কঠোর নীতি আছে। হাসপাতালটি প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের অনুমোদন পায়[৩] এবং ২০১৯-২০২০ অথবছরে ৪০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের অনুমোদন লাভ করে। হাসপাতালটি অ্যাম্বুলেন্স পরিসেবা এবং একটি হেমোডিয়ালিসিস ইউনিট দ্বারা সজ্জিত। হাসপাতালের সেবাসমূহের মধ্যে রয়েছে:
- বহির্বিভাগ (সকাল ৯টা থেকে ২.৩০ মিনিট)
- জরুরী বিভাগ (২৪ ঘণ্টা)
- অপারেশন থিয়েটার
এছাড়া রয়েছে এক্স-রে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রঙ্গিন আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও ইকো কার্ডিওগ্রাফি, ল্যাবরেটরী সার্ভিস, ব্লাড ব্যাংক ইত্যাদি।
সংস্থা ও প্রশাসন
[সম্পাদনা]কলেজটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা অনুমোদিত। কলেজের চেয়ারম্যান মো আবু সাঈদ মো। প্রধান শিক্ষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো শফিকুল ইসলাম। [৪]
একাডেমিক এবং ভর্তি
[সম্পাদনা]বাংলাদেশে সকল মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রোগ্রামে বাংলাদেশীদের জন্য পরীক্ষা স্বাস্থ্য অধিদফতর (ডিজিএইচএস) দ্বারা পরিচালিত হয়। সারা দেশে একটি লিখিত এবং নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা দ্বারা ভর্তি পরীক্ষা হয়। বিদেশি শিক্ষার্থীরাও এই মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পান। এই মেডিকেল কলেজ নিয়মিত ভালো ফলাফল এবং বিশেষজ্ঞ শিক্ষক থাকার জন্য বিখ্যাত।
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "ছয় বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অনুমতি পেল"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৯।
- ↑ "History of College"। Brahmanbaria Medical College। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল লিমিটেড"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-২৯।
- ↑ "Message"। Brahmanbaria Medical College। ১৭ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫।