শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ
![]() শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ এর লোগো | |
নীতিবাক্য | দায়িত্বশীল মমতায় শিক্ষা, চিকিৎসা ও সেবা |
---|---|
ধরন | বেসরকারি মেডিকেল কলেজ |
স্থাপিত | ২০১৩ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ৬৩ জন |
শিক্ষার্থী | ১৫০ জন (২০১৬ সাল পর্যন্ত) |
স্নাতক | এম.বি.বি.এস |
অবস্থান | , বাংলাদেশ , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে, ২০ বিঘা |
সংক্ষিপ্ত নাম | শামমেক |
ওয়েবসাইট | smmcbd |
![]() |
শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ (ইংরেজি: Shah Mokhdum Medical College) রাজশাহীতে অবস্থিত একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত এই কলেজটি রাজশাহীতে অবস্থিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহের মধ্যে তৃতীয়। এখানে স্নাতক পর্যায়ে পাঁচ বছর মেয়াদি এমবিবিএস ডিগ্রি এবং এক বছরের ইন্টার্নশিপ ডিগ্রী দেওয়া হয়। ১৪টি অনুষদের অধীনে ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী এখানে পড়াশোনা করছে। একদল যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষকমণ্ডলীর মাধ্যমে কলেজে গুণগত শিক্ষা ব্যাবস্থা প্রণয়ন করার মাধ্যমে কলেজটি ইতিমধ্যে সারাদেশে প্রশংসিত হয়েছে। ২০১২ সালে সাবেক শিল্পমন্ত্রী জনাব ওমর ফারুক কলেজের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তবে কলেজটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদন পায়নি।
অবস্থান[সম্পাদনা]
শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস রাজশাহী শহরের উপকণ্ঠে মেট্রোপলিটন এলাকার বোয়ালিয়া থানার অন্তর্গত খড়খড়ীতে অবস্থিত। রাজশাহী বাস স্ট্যান্ড(নওদাপাড়া) থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা থেকে দুই কিলোমিটার দূরে সবুজ শ্যামল পরিবেশে কলেজ ক্যাম্পাস অবস্থিত।[১]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের ইতিহাস ২০০৭ সালে শুরু হয়েছিলো স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসেবা এবং জন-সচেতনতা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে। তবে তখনও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয় নি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অনুমোদনক্রমে ২০১১-১২ শিক্ষা বর্ষ থেকে নার্সিং ডিপ্লোমা ও মেডিকেল টেকনোলজি প্রোগ্রাম চালু করা হয়। তবে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষ থেকে এমবিবিএস কোর্সের অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন ছিলো। অবকাঠামোগত কিছু সমস্যার কারণে পর পর তিনবার সরকারি পরিদর্শনে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বৃদ্ধির পরামর্শ দেওয়া হলেও উক্ত কোর্সের অনুমোদন দেওয়া হয় নি। অবশেষে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে এমবিবিএস কোর্সে ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পাঠদানের অনুমতি দেওয়া হয়। বর্তমানে এখানে ৪০ জন শিক্ষকের অধীনে প্রায় ১৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে।
কলেজ অবকাঠামো[সম্পাদনা]
শাহ মখদুম মেডিকেল কমপ্লেক্সের নিজস্ব ২০ বিঘা জমির পূর্বাংশে প্রায় পাঁচ বিঘা জমির ওপর ১ লক্ষ বর্গফুট আয়তনের তিনতলা বিশিষ্ট ভবনে কলেজের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। একাডেমিক ভবনের সামনে ছেলেমেয়েদের জন্য ফলজ,বনজ ও ঔষধি গাছে ঘেরা একটি খেলার মাঠ, মুক্ত মঞ্চ, শহীদ মিনার, শাপলা চত্বর এবং অন্য অংশে একটি হাসপাতাল অবস্থিত। হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা পরিচালিত আউটডোর, ইনডোর এবং ডায়াগনস্টিক ইউনিট চালু আছে। কলেজে অধ্যয়নরত ছাত্রদের জন্য দুইটি আবাসিক হল ( একটি নির্মাণাধীন) এবং ছাত্রীদের জন্য আলাদা একটি হল রয়েছে। ছাত্র হলের নীচতলায় একটি আধুনিক ক্যান্টিন আছে,যেখানে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। কলেজের অবকাঠামো নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। জমি সম্প্রসারণের মাধ্যমে আরো ভবন নির্মাণের কাজও প্রক্রিয়াধীন।
অনুষদ[সম্পাদনা]
কলেজ হিসেবে নতুন হলেও এখানে ৪০ জন শিক্ষক এবং ৬৩ জন স্টাফের মাধ্যমে ১৪ টি অনুষদ পরিচালনা করা হয়। আরো কিছু অনুষদ এবং স্নাতকোত্তর কোর্স সমূহ চালু করার কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে।
পরিবহণ ব্যাবস্থা[সম্পাদনা]
ছাত্র-ছাত্রী, স্টাফ এবং শিক্ষকদের পরিবহন করার জন্য কলেজের নিজস্ব পরিবহন ব্যাবস্থা আছে। কলেজটিতে একটি বাস, দুইটি কার, একটি মাইক্রোবাস ক্রয় করা হয়েছে। তাছাড়া দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর জন্য কলেজে একটি আধুনিক সুবিধা সম্বলিত এম্বুলেন্স আছে।
সংগঠন[সম্পাদনা]
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড[সম্পাদনা]
পরিচালনা কমিটি[সম্পাদনা]
শাহ মখদুম মেডিকেল কমপ্লেক্সের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান[সম্পাদনা]
সমালোচনা[সম্পাদনা]
কলেজ টি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদন পায় নি। তাই এই কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করার পরে অন্য প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নি করতে পারে না এই কলেজের শিক্ষার্থীরা। এছারা অনুমোদন না থাকায় তারা নামের আগে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করতে পারে না। কলেজের হাসপাতালে পর্যাপ্ত রোগী না থাকায় প্র্যাক্টিসও করতে পারেন না শিক্ষার্থীরা। বিএমডিসির অনুমোদন না থাকায় এই প্রতিষ্ঠান টি অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। উল্লেখ্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কলেজ পরিদর্শন শেষে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে ২৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমোদন দিলেও কলেজে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়, এ জন্য সেই সেশনের কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো।[২]
চিত্রশালা[সম্পাদনা]
আরো দেখুন[সম্পাদনা]
- বারিন্দ মেডিকেল কলেজ
- রাজশাহী মেডিকেল কলেজ
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
- শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজে সন্ত্রাসবিরোধী সভা আজ"। Daily Sunshine। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ "শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষণা | শিক্ষাঙ্গন"। ittefaq।
|আর্কাইভের-ইউআরএল=
এর|আর্কাইভের-তারিখ=
প্রয়োজন (সাহায্য) তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-১৭।