বিষয়বস্তুতে চলুন

বিভূতিভূষণ হল্ট রেলওয়ে স্টেশন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার একটি পুরনো সংস্করণ, যা Sbb1413 (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৮:৩১, ১ এপ্রিল ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল (ক্যাট-এ-লট: বিষয়শ্রেণী:কলকাতা শহরতলি রেল স্টেশন থেকে বিষয়শ্রেণী:পূর্ব লাইন (কলকাতা শহরতলি রেল)-এ অনুলিপি)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক, যা বর্তমান সংস্করণ থেকে ব্যাপকভাবে ভিন্ন হতে পারে।


বিভূতিভূষণ হল্ট
যাত্রীবাহী ট্রেন স্টেশন
অবস্থানবিভূতিভূষণ হল্ট, উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা, পশ্চিমবঙ্গ
ভারত
মালিকানাধীনভারতীয় রেল
পরিচালিতপূর্ব রেল
লাইনশিয়ালদহ বনগাঁ রেলপথ
প্ল্যাটফর্ম
রেলপথ
নির্মাণ
গঠনের ধরনভূমিগত স্টেশন
পার্কিংনা
অন্য তথ্য
অবস্থাসক্রিয়
স্টেশন কোড
অঞ্চল পূর্ব রেল
বিভাগ শিয়ালদহ
ইতিহাস
বৈদ্যুতীকরণহ্যাঁ
আগের নামবেঙ্গল সেন্ট্রাল রেলওয়ে কোম্পানি
পরিষেবা
পূর্ববর্তী স্টেশন   ভারতীয় রেলওয়ে   পরবর্তী স্টেশন
পূর্ব রেল
অবস্থান
মানচিত্র

বিভূতিভূষণ হল্ট রেলওয়ে স্টেশন পূর্ব রেলওয়ে অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের শিয়ালদহ বনগাঁ রেলপথের একটি রেলওয়ে স্টেশন । এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশন রোডে অবস্থিত।

অবস্থান

বিভূতিভূষণ হল্ট রেলওয়ে স্টেশন উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বড় সেয়ানা গ্রামে অবস্থিত। এই স্টেশন থেকে পরবর্তী স্টেশন হল - বনগাঁ রেলওয়ে স্টেশন এবং পূর্ববর্তী স্টেশন হল চাঁদপাড়া রেলওয়ে স্টেশন

ইতিহাস

১৮৮২-৮৪ সালে বেঙ্গল সেন্ট্রাল রেলওয়ে কোম্পানি দমদম থেকে খুলনা পর্যন্ত একটি রেলপথ নির্মাণ করে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে রয়েছে এই লাইনের কিছু অংশ। এই রেলপথের ভারতীয় অংশের শিয়ালদহ এবং বনগাঁ স্টেশনের মধ্যে যাত্রী রেল পরিষেবা চালু রয়েছে। শিয়ালদহ থেকে রানাঘাট পর্যন্ত পূর্ববাংলা রেলওয়ে প্রধান লাইনটি ১৮৬২ সালে খোলা হয় এবং দুই মাসের মধ্যে বর্তমান বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায় প্রসারিত হয়।[][][] এর পর শিয়ালদহ বনগাঁ রেলপথকে শিয়ালদহ রানাঘাট রেলপথের সঙ্গে সংযোগ ঘটাতে ১৮৮২-৮৪ সালে বেঙ্গল সেন্ট্রাল রেলওয়ে কোম্পানি রাণাঘাট বনগাঁ রেলপথ নির্মাণ করে।[]

রেলপথ

বিভূতিভূষণ হল্ট রেলওয়ে স্টেশনটি কলকাতা জেলাউত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার মধ্যে বিস্তৃত শিয়ালদহ বনগাঁ রেলপথের মধ্যে অবস্থিত। এই রেলপথটি শিয়ালদহ থেকে দমদম পর্যন্ত ৪ টি, দমদম থেকে বনগাঁ পর্যন্ত ২ টি রেললাইন বা রেল ট্র্যাক দ্বার গঠিত।

পরিকাঠামো

স্টেশনটির পরিকাঠাম ভূমিগত। এই স্টেশনে ২ টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। বিভূতিভূষণ হল্ট রেলওয়ে স্টেশনে ২ টি রেললাইন বা রেলট্র্যাক রয়েছে। স্টেশনে স্টেশন পরিচালনার জন্য ভবন ও স্টেশন মাষ্টারে ভবন ১ নং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গেই অবস্থিত। যাত্রীদের রেল ভ্রমণের জন্য টিকিট স্টেশনের টিকিট ঘর থেকে প্রদান করা হয়। স্টেশনে যাত্রী সুবিধার জন্য বসার আসন, প্ল্যাটফর্ম ছাউনি, পানীয় জল এর ব্যবস্থা রয়েছে। স্টেশনে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা নেই।

বিভূতিভূষণ হল্ট রেলওয়ে স্টেশন ব্যাগ বা যাত্রীদের দ্বারা বহন করা জিনিসপত্রের পরীক্ষায় ব্যবস্থা নেই।

বৈদ্যুতীকরণ

বিভূতিভূষণ হল্ট রেলওয়ে স্টেশনের রেলপথে বৈদ্যুতীক ট্রেন চলাচল করে।

রেল পরিষেবা

এই স্টেশনটি স্টেশনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় রেল পরিষেবা প্রদান করে থাকে। এই স্টেশনের দ্বারা বনগাঁ এবং শিয়ালদা, বারাসাত ও মাঝেরহাটগামী ট্রেন চলাচল করে। প্রতিদিন এই স্টেশনে কলকাতা শহরতলি রেলের লোকাল ট্রেনগুলি ট্রেন যাত্রী পরিষেবা প্রদান করে থাকে।

  • বনগাঁ-শিয়ালদহ লোকাল: সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন ২৫ টি শিয়ালদহগামী বনগাঁ-শিয়ালদহ লোকাল বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশন হয়ে চলাচল করে। প্রতিটি ট্রেন স্টেশনে দাঁড়ায়। রবিবার ২৩ টি শিয়ালদহগামী বনগাঁ-শিয়ালদহ লোকাল চাঁদপাড়া স্টেশন হয়ে চলাচল করে।[]
  • শিয়ালদহ-বনগাঁ লোকাল: সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন ২৫ টি বনগাঁগামী বনগাঁ-শিয়ালদহ লোকাল চাঁদপাড়া স্টেশন হয়ে চলাচল করে। প্রতিটি ট্রেন স্টেশনে দাঁড়ায়। রবিবার ২৩ টি শিয়ালদহগামী বনগাঁ-শিয়ালদহ লোকাল বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশন হয়ে চলাচল করে।[]
  • বনগাঁ-মাঝেরহাট লোকাল: প্রতিদিন ৩ টি শিয়ালদহগামী বনগাঁ-মাঝেরহাট লোকাল বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশন হয়ে চলাচল করে। প্রতিটি ট্রেন স্টেশনে দাঁড়ায়।[]
  • মাঝেরহাট-বনগাঁ লোকাল: প্রতিদিন ৩ টি বনগাঁগামী মাঝেরহাট-বনগাঁ লোকাল বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশন হয়ে চলাচল করে। প্রতিটি ট্রেন স্টেশনে দাঁড়ায়। []

প্রতিটি ট্রেন স্টেশনে দাঁড়ায়।[]

  • বনগাঁ-ক্যানিং লোকাল: প্রতিদিন ১ টি ক্যানিংগামী বনগাঁ-ক্যানিং লোকাল বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশন হয়ে চলাচল করে। এই ট্রেনটি বিভূতিভূষণ হল্ট স্টেশনে দাঁড়ায়। []

প্রশাসন ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা

বিভূতিভূষণ হল্ট রেলওয়ে স্টেশনটি ভারতীয় রেলের পূর্ব রেল অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের অন্তর্গত। স্টেশন পরিচালনার সমস্ত দায়িত্ব স্টেশনের প্রধান "স্টেশন মাষ্টার" - এর উপর ন্যস্ত। এছাড়া স্টেশনের নিরাপত্তার জন্য অস্থায়ী ভাবে ভ্রাম্যমাণ জিআরপি কর্মী নিযুক্ত রয়েছে এবং স্টেশন চত্বর ও সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন প্রদান করে থাকে।

তথ্যসূত্র

  1. "The Chronology of Railway development in Eastern Indian"। railindia। ২০১২-০৮-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১০ 
  2. J.H.E.Garrett। "Nadia, Bengal District Gazetteers (1910)"IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০২-১০ 
  3. "Train Name" 

বহিঃসংযোগ