বিষয়বস্তুতে চলুন

রুদ্রকর মঠ

রুদ্রকর মঠ
রুদ্রকর মঠ, শরীয়তপুর
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাশরীয়তপুর জেলা
অবস্থান
অবস্থানরুদ্রকর ইউনিয়ন, শরীয়তপুর সদর উপজেলা
রাজ্যঢাকা বিভাগ
দেশবাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৩°০০′২৯″ উত্তর ৯০°০০′০৭″ পূর্ব / ২৩.০০৮° উত্তর ৯০.০০২° পূর্ব / 23.008; 90.002
স্থাপত্য
সৃষ্টিকারীরবিচরণ চক্রবর্তী
প্রতিষ্ঠার তারিখ১৩০৫–১৩১৫ বঙ্গাব্দ (১৮০০-এর আশেপাশে)

রুদ্রকর মঠ (স্থানীয়ভাবে বাবুবাড়ি মঠ নামে পরিচিত) বাংলাদেশের শরীয়তপুর জেলার রুদ্রকর ইউনিয়নে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক হিন্দু মন্দির ও মঠ। এটি প্রথম নির্মাণ করেন জমিদার বাবু গুরুচরণ চক্রবর্তী, পরে ১৮৯৮ সালে পুনর্নির্মাণ করা হয়।

মঠটির বড় মন্দির প্রায় ২০ মিটার উঁচু এবং চার কোণে তিনটি ছোট মন্দির রয়েছে, যা অনুমান করা হয় নবাব আলীবর্দি খানের আমলে, আনুমানিক ১৩০৫–১৩১৫ বঙ্গাব্দে নির্মিত হয়েছিল। মন্দিরের দেয়ালে সূক্ষ্ম কারুকাজ ও দেবী মূর্তির অলংকরণ সুন্দরভাবে ছড়িয়ে আছে, এবং সম্মুখে একটি বিশাল পুকুর রয়েছে।১৩৫ বছর ধরে এটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হলেও বর্তমানে সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের পথে রয়েছে। স্থানীয়রা দাবি করেন, এটি যদি সংস্কার করা হয়, তাহলে এটি পর্যটকদের জন্য বড় আকর্ষণ হতে পারে। গল্প আছে মঠের নিচে গোপন কুঠুরি ছিল, যা আজ বিলীন হয়ে গেছে।

মঠটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলার মুখে পড়লেও এতে তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। তবে পরে ভারত থেকে চলে যাওয়ার পর বাবু পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে মঠটি রক্ষণাবেক্ষণ হারিয়ে ফেলেছে। বর্তমানে মঠটিতে টিয়া পাখির বাস, যা এখানে অন্য এক আলোর সৌন্দর্য যোগ করে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Historic Rudrakar Moth in dire need of renovation"। Dhaka Tribune। ২৮ মার্চ ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০২৫
  2. "শরীয়তপুরের ঐতিহ্য – রুদ্রকর মঠ"। জুমবাংলা – Prothom Alo। 2023‑01‑28। সংগ্রহের তারিখ 2025-08-01 {{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: |date= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)
  3. "Rudrokor Moth – Tourist Place in Bangladesh"। TouristPlaces.com.bd। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০২৫
রুদ্রকর মঠ, শরীয়তপুর জেলা

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

নামকরণ

[সম্পাদনা]

রুদ্রকর এলাকার নামানুসারেই উক্ত মঠটি সকলের কাছে রুদ্রকর মঠ নামে পরিচিত।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

প্রায় দেড়শত বছর আগে রুদ্রকর জমিদার বাড়ির জমিদার গুরুচরণ চক্রবর্তী এই মঠটি তৈরি করেন। তিনি তার জমিদারী আমলে ধীরে ধীরে মঠটি তৈরি করেন। আনুমানিক ১৩০৫ - ১৩১৫ বঙ্গাব্দেরর মধ্যে মঠটি তৈরি করা হয়। কথিত আছে মা রাশমনি দেবীর সমাধীকে অমর করে রাখার জন্য নাকি এই মঠটি তৈরি করা হয়েছিল।

মঠটিতে নিচের অংশে বড় একটি শ্মশান মন্দির ও মন্দিরটির মূল উপাসনালয় কক্ষের সঙ্গে থাকা বারান্দার চার কোণায় চারটি ছোট মন্দির (মঠ)। এর মধ্যে বড় মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ২০ মিটার। চার কোণায় চারটি ছোট মন্দির যথাক্রমে প্রায় ১.৯৫ মিটার। এ ছাড়া তৃতীয় তলায় মূল টাওয়ারের গায়ে চারপাশে চারটি দেবী মূর্তির অলংকরণ রয়েছে। উপরের অংশ প্যাগোডার মত তৈরি করা হয়েছিল।

বর্তমান অবস্থা

[সম্পাদনা]

পরিচর্যা না থাকাতে মঠটি এখন প্রায় জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আনন্দের বিষয় হচ্ছে মঠের উপরিভাগে গর্তের মধ্যে টিয়া পাখির বসবাস রয়েছে। যাদের কিচিরমিচিরে নিস্তব্ধ এই জায়গাটির প্রাণ আছে বলে মনে হয়। এখনো প্রতিবছর এখানে সাড়ম্বরে পূজা ও কীর্তনের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে।

চিত্র

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]