খেলারাম দাতার মন্দির
খেলারাম দাতার মন্দির | |
---|---|
![]() | |
ধরন | প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন |
অবস্থান | নবাবগঞ্জ |
অঞ্চল | ঢাকা জেলা |
মালিক | বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর |
সূত্র নং | BD-C-13-36 |
খেলারাম দাতার মন্দির বা খেলারাম দাতার বিগ্রহ মন্দির ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জে অবস্থিত একটি প্রাচীন মন্দির ও বাংলাদেশের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা।[১]
পরিচ্ছেদসমূহ
নির্মাণকাল[সম্পাদনা]
মন্দিরটির প্রতিষ্ঠা তারিখ সঠিকভাবে জানা যায় না। তবে এর নির্মাণশৈলী দেখে প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের ধারণা এ স্থাপনাটি উনিশ শতকের শেষ দিকে অথবা বিশ শতকের শুরুর দিকে নির্মিত হয়েছিল।[২]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
কিংবদন্তী অনুসারে, খেলারাম দাতা ছিলেন তৎকালীন সময়ের উক্ত অঞ্চলের বিখ্যাত ডাকাত সর্দার।[৩] তিনি ইছামতি নদীতে ডাকাতি পরিচালনা করতেন। জনশ্রুতি অনুসারে, ডাকাতির ধনসম্পদ তিনি ইছামতি নদী থেকে সুড়ঙ্গপথে তার বাড়িতে নিয়ে রাখতেন ও পরবর্তীতে সেগুলো গরীবদের মাঝে দান করতেন। তিনি পূজা-অর্চনার জন্য একটি মন্দিরও নির্মাণ করেছিলেন। সেই মন্দিরটি খোলারাম দাতার বিগ্রহ মন্দির নামে পরিচিত।[৪]
নির্মানশৈলী[সম্পাদনা]
মন্দিরটিতে নির্মানকৌশলে মোগল রীতির প্রতিফলন রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইউরোপীয় ধারা। অতীতে মন্দিরটির মূল রং ছিল লালচে। সাম্প্রতিক সময়ে সংস্কার কাজের মাধ্যমে মন্দিরের গায়ে সাদা রঙের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। পুরো কমপ্লেক্সটি আটকক্ষ বিশিষ্ট একটি দ্বিতল ভবন। বর্তমানে ভবনটির শুধু ওপরের দোতলা টিকে রয়েছে। নিচতলায় অনেকগুলো কক্ষ থাকলেও এখন প্রায় সবই মাটিতে ঢেকে আছে। ভবনের ভারী দেয়াল ও পিলার দেখে নির্মাণকৌশল সম্পর্কে ধারণা করা যায়। দোতলার চারপাশে ও চার কোণে রয়েছে বাংলা ঘরের আকৃতিতে এক কক্ষবিশিষ্ট আটটি ঘর। মাঝে মঠ আকৃতির আরেকটি ঘর রয়েছে। ঘরটি মন্দির হিসেবে ব্যবহৃত হতো। জনশ্রুতি অনুসারে, প্রাপ্ত অনেক মূল্যবান মূর্তি ও ধনসম্পদ তিনি এখানে লুকিয়ে রাখতেন।[২][৪]
চিত্রশালা[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর"। বাংলাপিডিয়া। বাংলাদেশের জাতীয় জ্ঞানকোষ।
- ↑ ক খ খেলারাম দাতার মন্দির - দৈনিক প্রথম আলো (০৫ ডিসেম্বর, ২০১৬)
- ↑ "ঢাকার কাছেই ইতিহাস ও ঐতিহ্যের নগর - banglatribune.com"।
- ↑ ক খ ঢাকার কাছে নবাবগঞ্জ - বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (০৬ ডিসেম্বর, ২০১৩)
![]() |
উইকিমিডিয়া কমন্সে খেলারাম দাতার মন্দির সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে। |