বিষয়বস্তুতে চলুন

মিনি কক্সবাজার, চাঁদপুর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মিনি কক্সবাজার
পদ্মা-মেঘনার চর
ডাকনাম: বালুর চর
চাঁদপুরের মিনি কক্সবাজার (২০১৯)
ভূগোল
অবস্থানচাঁদপুর, বাংলাদেশ
ধরনচর
প্রশাসন
বাংলাদেশ
ডাককোড৩৬০০
চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের জন্যে হুমকি হিসেবে চিহ্নিত

মেঘনার চর বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলায় রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে পদ্মা, মেঘনাডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত একটি পর্যটনকেন্দ্র। এটি নদীকেন্দ্রিক বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যটন কেন্দ্র।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এর চারদিকে নদী হওয়ায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতো দেখায় তাই পর্যটকরা এর নাম দিয়েছেন মেঘনার চর[মৌলিক গবেষণা?] স্থানীয়ভাবে বালু চর, পদ্মার চর ও মেঘনার চর নামেও এর পরিচিতি রয়েছে। বেসরকারিভাবে “স্বপ্ন ট্যুরিজম” নামক প্রতিষ্ঠান এই পর্যটনকেন্দ্রটি পরিচালনা করে।[][]

ইতিহাস ও অবস্থান

[সম্পাদনা]

চাঁদপুর ত্রিনদী মোহনা বড়স্টেশন মোলহেড থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে পদ্মা ও মেঘনার মিলনস্থলের দক্ষিণ পূর্ব অংশে বালুময় ভূমি।[] নদীপৃষ্ঠ থেকে কিছুটা উঁচু হওয়ায় শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমের ভরা জোয়ারেও এটির পুরো অংশ পানিতে ভেসে যায় না। বছরজুড়ে পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। ২০১৮ সালের শুরুর দিক থেকে মিনি কক্সবাজার ধীরে ধীরে দেশব্যাপী মানুষের কাছে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে।[] নদীর ভাঙা-গড়ার মধ্যেই প্রাকৃতিকভাবে এই স্থানটির উৎপত্তি।[]

আকর্ষণ

[সম্পাদনা]

চারদিকে নদী ও দূর থেকে স্থানটি দক্ষিণ পূর্বাংশে চাঁদপুর জেলা শহরকে এবং এর বিপরীত দিকে ছোট আকৃতিতে শরীয়তপুর জেলাকে অনুধাবন করা পর্যটন কেন্দ্রের বিশেষ আকর্ষণ। শীত মৌসুমে এবং গ্রীষ্মের আগ পর্যন্ত এ পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের মন কাড়ে।[] এ স্থানটি পদ্মা ও মেঘনার মিলনস্থলে অবস্থান হওয়া দু’দিকে মেঘনাপদ্মার বিস্তীর্ণ জলরাশির ছোট ছোট ঢেউ আর বালুকাময় বিস্তীর্ণ চরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটকরা এখানে ভিড় করে। সকালে বা বিকেলে এসে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উভয়টির দৃশ্যই এখান থেকে দেখা যায়।[] দু’দিক থেকে দু’নদীর ছোট ছোট ঢেউ আছড়ে পড়া, পদ্মা-মেঘনায় জেলেদের ইলিশ ধরার দৃশ্য আর বিস্তীর্ণ বালির ফাঁকে সবুজ ঘাস মিনি কক্সবাজার বিশেষ সৌন্দর্য। এছাড়া জনপ্রিয় স্থানটিতে পর্যটকদের জন্যে মেঘনা ও পদ্মা নদীর মিঠা পানিতে সাঁতারের পাশাপাাশি ও গোসলের সুযোগ রয়েছে।[][]

ঝুঁকি

[সম্পাদনা]

বর্ষার সময় সাঁতার না-জানা পর্যটকদের জন্য মিনি কক্সবাজার ঝুঁকিপূর্ণ। ১২ জুন ২০১৯ তারিখে এখানে সাঁতার কাটতে গিয়ে একজন পর্যটক নিখোঁজ হন।[][] ১৩ জুন ২০১৯ তারিখে চাঁদপুর নদী ফায়ার সার্ভিস, বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীকোস্টগার্ড সদস্যরা তার লাশ উদ্ধার করে। [] বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এ পর্যটনকেন্দ্রকে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের জন্যেও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখছে।[]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "মেঘনার বুকে মিনি কক্সবাজার"দৈনিক মানবজমিন। ১৬ এপ্রিল ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৯ 
  2. "চাঁদপুরের বালুর চরে সমুদ্র সৈকতের অনুভূতি"বৈশাখী টিভি। ৬ মার্চ ২০১৯। ১৮ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৯ 
  3. "নদীর মোহনায় এ যেন সাগরসৈকত"দৈনিক প্রথম আলো। ৫ এপ্রিল ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৯ 
  4. "ঘুরে এলাম মিনি কক্সবাজার!"দৈনিক জনকণ্ঠ। ৪ মে ২০১৮। ১৮ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৯ 
  5. "চাঁদপুরে মিনি কক্সবাজার ও ত্রি-নদীর মোহনায় পর্যটকের মিলনমেলা"। চাঁদপুর টাইমস। ১৫ এপ্রিল ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৯ 
  6. "মিনি কক্সবাজারে ভ্রমণে গিয়ে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু"। দৈনিক ইত্তেফাক। ১২ জুন ২০১৯। ১৮ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৯ 
  7. "চাঁদপুরে পদ্মার চরে গোসল করতে নেমে কলেজছাত্র নিখোঁজ"বাংলা ট্রিবিউন। ১২ জুন ২০১৯। ১৮ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৯ 
  8. "চাঁদপুরে নিখোঁজ কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার"সময় টিভি। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৯ 
  9. "মেঘনায় জেগে ওঠা চরে হুমকিতে পড়বে শহররক্ষা বাঁধ"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৯ এপ্রিল ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুন ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]