জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত

স্থানাঙ্ক: ২১°৫০′৫৮″ উত্তর ৯০°২০′২৬″ পূর্ব / ২১.৮৪৯৪২৬৯° উত্তর ৯০.৩৪০৪৩৫৪° পূর্ব / 21.8494269; 90.3404354
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত
অবস্থানমৌডুবী ইউনিয়ন, রাঙ্গাবালী, পটুয়াখালী, বরিশাল
স্থানাঙ্ক২১°৫০′৫৮″ উত্তর ৯০°২০′২৬″ পূর্ব / ২১.৮৪৯৪২৬৯° উত্তর ৯০.৩৪০৪৩৫৪° পূর্ব / 21.8494269; 90.3404354
সৈকতের দৈর্ঘ্য৫ কিলোমিটার[১]

জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় অবস্থিত একটি সমুদ্র সৈকত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

পূর্বে জাহাজমারা এলাকাটি চরবগলা নামে পরিচিত ছিল।[২] স্থানীয়দের মতে, জাহাজমারা এলাকাটি পূর্বে আন্তর্জাতিক নৌপথ হিসাবে ব্যবহৃত হত। ব্রিটিশ আমলে একটি বিদেশি জাহাজ এখানে আটকা পড়ে এবং আস্তে আস্তে পলিতে ডুবে যেতে থাকে। স্বাধীনতার পরেও জাহাজটিকে লক্ষ্য করা যায়। তখন থেকেই লোকজন জাহাজটিকে দেখতে আসতে থাকে এবং একসময় এলাকাটি পর্যটন কেন্দ্রে রূপ নেয়। বিদেশি জাহাজের মার খাওয়া থেকেই আস্তে আস্তে এলাকাটির নামকরণ হয় জাহাজমারা।[১]

অবস্থান[সম্পাদনা]

পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে সমুদ্র সৈকতটি অবস্থিত। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার।[৩][৪][৫]

প্রাকৃতিক নৈস্বর্গ[সম্পাদনা]

সৈকতের যেকোন জায়গায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তকে কাছ থেকে অবলোকন করা যায়।[৪] এছাড়া, বালুচরে লাল কাঁকড়াদের ছোটাছুটি, একটু পর পর সমুদ্রের ঢেউ এসে তীরে আঁচড়ে পড়া ও ঢেউয়ের তালে তালে দুলতে থাকা জেলে নৌকার বহর মন ছুঁয়ে যায়।[১] সৈকতে স্থানীয় জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখার পাশাপাশি সাগর থেকে তুলে আনা টাটকা মাছের স্বাদ নেয়া যায়।[৬] প্রতিবছর শীতে এখানে বাড়তি আকর্ষণ হিসাবে অতিথি পাখির দেখা মেলে।[৭] এর আশপাশের ৫০০ একর বিস্তীর্ণ বনভূমি জুড়ে কেওড়া, ছইলা, গেওয়া ও বাবলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও পাখি রয়েছে। দূর থেকে দেখলে একে সবুজ বনভূমি বলে মনে হয়।[৩][৮][২][৯]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. দাস, শংকর (২০২১-১২-০২)। "ঘুরে আসুন জাহাজমারা"প্রথম আলো। ২০২৪-০১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-১৮ 
  2. দাস, শংকর (২০২১-১১-১৪)। "পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে বিকশিত হওয়ার সব সম্ভাবনা জাহাজমারা সৈকতের আছে"প্রথম আলো। ২০২৪-০১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-১৮ 
  3. "জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত"www.patuakhali.gov.bd। ২০২৪-০১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-১৮ 
  4. "পটুয়াখালীর জাহাজমারা হতে পারে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র"জাগো নিউজ। ২০১৫-১১-০৫। ২০২৪-০১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-১৮ 
  5. "লাল কাঁকড়ার রঙে রাঙা 'রাঙ্গাবালী'"দৈনিক যুগান্তর। ২০২৪-০১-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-১৮ 
  6. "ঘুরে আসুন অনিন্দসুন্দর জাহাজমারা ও তুফানিয়া চর"একুশে টেলিভিশন। ২০২৪-০১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-১৮ 
  7. "পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে জাহাজমারা দ্বীপ"একাত্তর টিভি। ২০২২-০১-৩০। ২০২৪-০১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-১৮ 
  8. "অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি জাহাজমারা সমুদ্র সৈকত"যায়যায়দিন। ২০২৪-০১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-১৮ 
  9. "জাহাজমারা সৈকতে সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার শঙ্কা"দৈনিক নয়া দিগন্ত। ২০২৪-০১-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-১৮