বিষয়বস্তুতে চলুন

বারসোই–রাধিকাপুর শাখা রেলপথ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বারসোই–রাধিকাপুর রেলপথ
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
স্থিতিসক্রিয়
মালিকভারতীয় রেল
অঞ্চলপশ্চিমবঙ্গ ও বিহার
স্টেশন১৩
পরিষেবা
পরিচালকউত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল
ইতিহাস
চালু১৮৮৯ ( ২০০৬ সাল থেকে ব্রড গেজ)
কারিগরি তথ্য
রেলপথের দৈর্ঘ্য৫৩.৪৪ কিলোমিটার (৩৩ মাইল)
ট্র্যাক গেজ১,৬৭৬ মিলিমিটার (৫ ফুট ৬ ইঞ্চি)
চালন গতি১০০
যাত্রাপথের মানচিত্র

কিমি
Up arrow
বারসোই জংশন
Down arrow
ধচনা
১১
কচনা
১৫
ঝিটকিয়া
Up arrow
৪৩
ডালখোলা
Down arrow
৩৬
দোমোহোনা
৩১
করণদিঘি
২৩
টুনিদিঘি
১৯
আলতাপুর
১৪
বিলাশপুর হাট
নাগর নদী
কুলিক নদী
রায়গঞ্জ–ডালখোলা রেলপথ
(পরিকল্পিত)
২১
রায়গঞ্জ
Left arrow
২৮
বামনগ্রাম
৩২
বাংলাবাড়ি
৪১
কালিয়াগঞ্জ
Left arrow
৪৭
ডালিমগাঁ
৫৩
রাধিকাপুর
ভারত
বাংলাদেশ
সীমান্ত
৬৩
বিরল
Right arrow
৬৯
কাঞ্চন
Down arrow
কিমি
সূত্র: ইন্ডিয়া রেল ইনফো[]

বারসোই-রাধিকাপুর শাখা রেলপথ ভারতের বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মধ্যে অবস্থিত একটি রেলপথ। এই রেলপথে যাত্রীবাহী ট্রেন ও কিছু মালবাহী ট্রেন চলাচল করে।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

আসাম বিহার স্টেট রেলওয়ে ১৮৮৯ সালে পার্বতীপুর থেকে কাটিহার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ প্রসারিত করে।[] ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সাথে, কাটিহার-রাধিকাপুর অংশটি ভারতে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং বিরল-পার্বতীপুর অংশটি পাকিস্তানে (পরবর্তীতে বাংলাদেশ) অন্তর্ভুক্ত হয়।

রেলপথ

[সম্পাদনা]
বারসোই–রাধিকাপুর শাখা রেলপথের প্রান্তিক স্টেশনের রাধিকাপুর

এই শাখা লাইনটি বারসোই রেলওয়ে স্টেশন থেকে শুরু হয় এবং রাধিকাপুর রেলওয়ে স্টেশনে শেষ হয়, যেখানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। বারসোই-রাধিকাপুর অংশটি ২০০৬ সালে ব্রডগেজে রূপান্তরিত হয়।[] বাংলাদেশের দিকে সংশ্লিষ্ট স্টেশন হল দিনাজপুর জেলার বিরল।[][] রাধিকাপুর-বিরল অংশের ট্রানজিট সুবিধা ২০০৫ সালের ১লা এপ্রিল থেকে স্থগিত রয়েছে।[] বাংলাদেশের অংশটি ব্রডগেজে রূপান্তরিত হওয়ার পরে ২০১৭ সালের মার্চ মাস থেকে ভারতে হয়ে নেপাল থেকে বাংলাদেশ বোল্ডার নিয়ে পণ্যবাহী ট্রেন যাতায়াত করছে এবং এটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়ার কথা ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে ঘোষণা করা হয়েছিল। ভারতের দিকে রেলওয়ে ট্র্যাকটি ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি (১,৬৭৬ মিমি) বিশিষ্ট ব্রডগেজে রূপান্তরিত হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের দিকে মিটার গেজ রয়ে গেছে।[][]

এই শাখা রেলপথে মোট ১৩ টি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে। তাদের মধ্যে ১০ টি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলায় এবং বাকিগুলি বিহারের কাটিহার জেলায় অবস্থিত।[১০]

স্টেশন

[সম্পাদনা]

রেলপথে অবস্থিত রেলওয়ে স্টেশনসমূহের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো[১১][১২][১৩]

স্টেশন কোড স্টেশনের নাম দূরত্ব (কিমি)
আরডিপি রাধিকাপুর ০.০
ডিএলএক্স ডালিমগাঁ ৬.২
কেএজে কালিয়াগঞ্জ ১২.১
বিজেওয়াই বাংলাবাড়ি ২১.৯
বিএমজিআর বামনগ্রাম ২৫.১
আরজিজে রায়গঞ্জ ৩২.২
জেটিকে ঝিটকিয়া ৩৮.৮
কেএইউ কচনা ৪২.৮
ডিএইচএনএ ধচনা ৪৯.১
বিওই বারসোই জংশন ৫৩.৪

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Old Malda Singhabad Passenger 55710"ইন্ডিয়া রেল ইনফো 
  2. সংবাদদাতা, নিজস্ব। "রাধিকাপুর দিয়ে ট্রেন গেল ও পারে"anandabazar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৭ 
  3. "IR History: Early days II: 1870–1899"। IRFCA। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  4. Srivastava, V.P.। "Role of Engineering Deptt in Meeting Corporate Objectives of Indian Railways" (পিডিএফ)। ৩০ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  5. "Collision kills woman on Vellore trip"The Telegraph। Calcutta। ২০০৮-০৮-২৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  6. "Govt weighs rail links with Nepal, Bhutan"The Telegraph। Calcutta। ২০০৮-০৪-২১। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  7. Tiral run flagged off by Modi and hasina, Economic Times, 6 April 2017
  8. "Rail Link with Bangladesh"। Press Information Bureau, Government of India, 7 September 2007। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  9. "Archived copy" (পিডিএফ)pib.nic.in। ৭ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  10. "13146/Radhikapur – Kolkata Express (PT) – Radhikapur/RDP to Kolkata/KOAA ER/Eastern Zone – Railway Enquiry"। India Rail Info। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  11. "13146/Radhikapur – Kolkata Express (PT) – Radhikapur/RDP to Kolkata/KOAA ER/Eastern Zone – Railway Enquiry"। India Rail Info। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  12. "Archived copy"www.trainspnrstatus.com। ৩০ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ 
  13. "Report on inspection prior to opening of Barsoi–Radhikapur section" (PDF)Indianrailways.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২