ফার্মাকোলজি
এই নিবন্ধটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। (এপ্রিল ২০১৪) |

ফার্মাকোলজি (শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ "Pharmacon" যার আভিধানিক অর্থ "বিষ" এবং "Logos" যার অর্থ "বিজ্ঞান") ফার্মেসি ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি বিশেষ শাখা যার মূল আলোচ্য বিষয় হল দেহের উপর ঔষধের ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া।বিস্তারিতভাবে বললে বলা যায় ফার্মাকোলজি হল দেহে বাহ্যিকভাবে প্রবেশক্রিত রাসায়নিক পদার্থের সাথে দেহের ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া যা স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক প্রাণরাসায়নিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। ঔষধ বিষয়ক সকল জ্ঞান এর আলোচ্য বিষয় বিশেষত যেসব রাসায়নিক পদার্থের রোগ নিরাময়যোগ্য গুনাগুণ রয়েছে এবং যার ব্যবহার চিকিৎসাগতভাবে নিরাপদ। ফার্মাকোলজি-র দুটি প্রধান শাখা হল "Pharmacokinetics" এবং "Pharmacodynamics"। যখন ঔষধ আমাদের দেহে প্রবেশ করে তখন দেহ সরাসরি তার উপর কাজ করতে শুরু করে। ঔষধের শোষণ, বণ্টন, বিপাক এবং নিষ্কর্ষণ নিয়েই হল “Pharmacokinetics”। ঔষধ শরীরের উপর ক্রিয়া করে, একটি প্রক্রিয়া যা কিনা কোনও রিসেপ্টর এর ভূমিকা ছাড়া অনেকাংশেই অচল, যেহেতু এই রিসেপ্টর-ই তার নির্বাচনশীলতার গুনে ঔষধকে দেহের উপর ক্রিয়া করতে সহায়তা করে। দেহের উপর ঔষধ বা রাসায়নিক পদার্থের ক্রিয়াই মূলত “Pharmacodynamics”-এর আলোচ্য বিষয়। ঔষধ গ্রহণের কোর্স ও তার চিকিত্সাবিদ্যাগত ক্রিয়ার সময়সীমা নির্ধারিত হয় “Pharmacokinetics” এবং “Pharmacodynamics”-এর আলোকেই। ফার্মাকোলজি ও ফার্মেসি শব্দ দুটি সমার্থক নয় যদিও অনেকেই এ দুটি শব্দকে এক মনে করে বিভ্রান্ত হয়ে থাকেন। ফার্মাকোলজি আলোচনা করে কিভাবে ঔষধ জৈব মাধ্যমকে প্রভাবিত করে এবং কিভাবে জৈব মাধ্যম দ্বারা প্রভাবিত হয়। অপরপক্ষে ফার্মেসি হল একটি জৈবচিকিত্সা বিজ্ঞান যার আলোচনার বিষয়বস্তু হল ফার্মাকোলজি হতে আহরিত জ্ঞান এর প্রয়োগ, ঔষধের প্রস্তুতি ও ব্যবহার, ঔষধের পরিবেশন ইত্যাদি।
পরিচ্ছেদসমূহ
শাখাপ্রশাখা[সম্পাদনা]
ক্লিনিকাল ফার্মাকোলজি[সম্পাদনা]
চিকিৎসাবিজ্ঞানের শাখা যা আলোচনা করে জীব ও মানবদেহের ওপর চিকিৎসার প্রভাব।
নিউরোফার্মাকোলজি[সম্পাদনা]
স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতার ওপর ঔষধের প্রভাব সম্পর্কিত শাখা।
সাইকোফার্মাকোলজি[সম্পাদনা]
মস্তিস্কের উপর ঔষধের ক্রিয়া ও এর প্রভাব পর্যবেক্ষণ, আচরণগত পার্থক্য নির্ণয় ও শারীরতাত্ত্বিক প্রভাব পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি এ শাখার আলোচ্য বিষয়।
পোসোলজি[সম্পাদনা]
কিভাবে ঔষধ এর ডোজ নির্ধারণ করা হয় সে সম্পর্কিত জ্ঞান। নির্ভর করে রোগীর বয়স, ভর, লিঙ্গ, আবহাওয়া ইত্যাদির উপর।
ফার্মাকগনসি[সম্পাদনা]
ভেষজ গুনাগুণ সম্পন্ন উদ্ভিদ বা প্রাণীজ পদার্থ থেকে চিকিৎসাগত দ্রব্যাদির আহরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ, সুষ্ঠু বণ্টন ও বিতরণ ইত্যাদি এর আলোচ্য বিষয়।
ফার্মাকোজেনেটিক্স[সম্পাদনা]
বিভিন্ন জাত, বিভাগ, বর্ণ তারতম্য ভেদে ঔষধের প্রভাবের পার্থক্য নিরূপণ করা এবং এগুলোর উপর ভিত্তি করে সঠিক পরিমানের ও সর্বনিম্ন প্রতিক্রিয়াযুক্ত ঔষধ নির্বাচন করা এই শাখার প্রধান বিষয়।
ফার্মাকোজেনোমিক্স[সম্পাদনা]
ঔষধ প্রযুক্তিতে জিন প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা। এই সম্পর্কিত বিদ্যমান ঔষধের উন্নয়ন এবং নতুন ঔষধ আবিস্কারের নিমিত্তে গবেষণা
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]