আণবিক রোগবিজ্ঞান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আণবিক রোগবিজ্ঞান হলো রোগবিজ্ঞানের একটি উদীয়মান শাখা যা অঙ্গ, টিস্যু বা শারীরিক বিভিন্ন তরলের মধ্যেকার অণুগুলোর পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় ও এ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনে সহায়তা করে। [১] আণবিক রোগবিজ্ঞান, শারীরবৃত্তীয় ও ক্লিনিকাল রোগবিজ্ঞান, আণবিক জীববিদ্যা, জৈব রসায়ন, প্রোটিওমিক্স এবং জেনেটিক্স ইত্যাদি বিষয়গুলোর সাথে সখ্যতা রেখেই গড়ে ওঠে। এটিতে প্রাকৃতিক বহু-শৃঙ্খলা তত্ত্ব এবং প্রধানত রোগের উপ-অণুবীক্ষণিক দিকগুলিতে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর একটি মূল বিবেচ্য বিষয় হলো আরো সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় সম্ভব যখন যে টিস্যুতে রোগ নির্ণয় করতে হবে সেখানে ঐতিহ্যগত শারীরবৃত্তীয় প্যাথলজি এবং আণবিক পরীক্ষা উভয় করা হয় এবং প্রাপ্ত ফলাফলের সমন্বয় করা হয়। [২]

এটি একটি বৈজ্ঞানিক শাখা যা মানুষের রোগের নির্ণয় এবং শ্রেণিবিভাগের জন্য আণবিক এবং জেনেটিক পদ্ধতির বিকাশের মাধ্যমে হয়ে থাকে। এটি চিকিৎসার প্রতিক্রিয়া এবং রোগ নির্ণয়ে অগ্রগতির জন্য বায়োমার্কারগুলির নকশা এবং বৈধতা, বিভিন্ন জিনগত রোগ জন্য সংবেদনশীলতার উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে।

আণবিক রোগবিজ্ঞান সাধারণত ক্যান্সার এবং বিভিন্ন সংক্রামক রোগ নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়। এর অসংখ্য উপায় রয়েছে, কিন্তু পরিমাণগত পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন ( qPCR ), মাল্টিপ্লেক্স PCR, DNA মাইক্রোয়ারে, ইন সিটু হাইব্রিডাইজেশন, সিটু আরএনএ সিকোয়েন্সিং, [৩] ডিএনএ সিকোয়েন্সিং, অ্যান্টিবডি ভিত্তিক ইমিউনোফ্লোরোসেন্স টিস্যু অ্যাসেস, জীবাণুর আণবিক প্রোফাইলিং, এবং অ্যান্টিবডি ভিত্তিক অণুজীব-বিরোধী প্রতিরোধ্যতা ইত্যাদি বেশি পরিচিত। [২]

"আণবিক রোগবিজ্ঞান" এবং "এপিডেমিওলজি" এর একত্রীকরণের মাধ্যমে একটি আন্তঃবিভাগীয় সম্পর্ক গড়ে ওঠে, যাকে "আনবিক রোগবিজ্ঞান বিষয়ক এপিডেমিওলজি" বা (এমপিই) বলা হয়, [৪] [৫] [৬] যা সমন্বিত আণবিক জীববিজ্ঞান এবং জনসংখ্যা স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের প্রতিনিধিত্ব করে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

  • আণবিক ডায়গনিস্টিকস
  • আণবিক ঔষধতত্ত্ব
  • আণবিক রোগবিজ্ঞান বিষয়ক এপিডেমিওলজি
  • রোগবিজ্ঞান
  • যথার্থ ঔষধ

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Harris TJ, McCormick F (২০১০)। "The molecular pathology of cancer": 251–265। ডিওআই:10.1038/nrclinonc.2010.41পিএমআইডি 20351699পিএমসি 2222796অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  2. Cai, H; Caswell JL (মার্চ ২০১৪)। "Nonculture Molecular Techniques for Diagnosis of Bacterial Disease in Animals: A Diagnostic Laboratory Perspective": 341–350। ডিওআই:10.1177/0300985813511132অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 24569613 
  3. Ke, Rongqin; Mignardi, Marco (২০১৩-০৭-১৪)। "In situ sequencing for RNA analysis in preserved tissue and cells" (ইংরেজি ভাষায়): 857–860। আইএসএসএন 1548-7091ডিওআই:10.1038/nmeth.2563পিএমআইডি 23852452 [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. Ogino, Shuji; Stampfer, Meir (১৭ মার্চ ২০১০)। "Lifestyle Factors and Microsatellite Instability in Colorectal Cancer: The Evolving Field of Molecular Pathological Epidemiology": 365–7। ডিওআই:10.1093/jnci/djq031পিএমআইডি 20208016পিএমসি 2841039অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  5. Ogino S, Chan AT, Fuchs CS, Giovannucci E. Molecular pathological epidemiology of colorectal neoplasia: an emerging transdisciplinary and interdisciplinary field. Gut 2011; 60: 397-411.
  6. Ogino S, Lochhead P, Chan AT, Nishihara R, Cho E, Wolpin BM, Meyerhardt AJ, Meissner A, Schernhammer ES, Fuchs CS, Giovannucci E. Molecular pathological epidemiology of epigenetics: emerging integrative science to analyze environment, host, and disease. Mod Pathol 2013; 26: 465-84.