মৃত্তিকা রসায়ন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সেলুলোজ অ্যানিয়োনিক হাইড্রোজেল প্রয়োগের পরে মাটিতে জল ধরে রাখার উদাহরণ

মৃত্তিকা রসায়ন বলতে মাটির রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে অধ্যয়ন ও গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডকে বুঝায়। মৃত্তিকা রসায়ন- খনিজ পদার্থসমূহ, জৈব বস্তু এবং প্রাকৃতিক উপাদানসমূহের দ্বারা প্রবাভিত হয়।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৬০ সালের শেষভাগ পর্যন্ত, মৃত্তিকা রসায়ন সাধারণত মাটিতে থাকা রাসায়নিক ক্রিয়া-বিক্রিয়ার উপর আলোকপাত করত, যা মৃত্তিকা গঠনে অবদান রাখে বা যেগুলো উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে প্রভাবিত করে সেগুলোর উপর। তখন থেকেই, পরিবেশ দূষণ, জৈব এবং অজৈব মৃত্তিকা দূষণ এবং সম্ভাব্য বাস্তুসংস্থানগত স্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এরই ফলশ্রুতিতে, মৃত্তিকা রসায়নের উপর জোড় দিয়ে মৃত্তিকাবিজ্ঞান এবং কৃষি মৃত্তিকাবিজ্ঞানকে পরিবর্তন করে পরিবেশগত মৃত্তিকা বিজ্ঞানে স্থানান্তর করা হয়।

পরিবেশ মৃত্তিকা রসায়ন[সম্পাদনা]

দূষক বা সংক্রামকের পরিণতি সম্পর্কে সর্বোচ্চ পূর্বাভাষ, এবং একই সাথে যে প্রক্রিয়ায় তারা প্রাথমিকভাবে মাটিতে অবমুক্ত হয় সে বিষয়ের জ্ঞানই হচ্ছে পরিবেশ মৃত্তিকা রসায়ন। কোন রাসায়নিক মৃত্তিকা পরিবেশের সংস্পর্শে আসার সাথেসাথে অজস্র রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটাতে শুরু করে, যার কারণে দূষক বা সংক্রামকের বিষাক্ততা হ্রাস বা বৃদ্ধি পায়। এই বিক্রিয়াগুলোর মধ্যে রয়েছে শোষণ, অধঃক্ষেপণ, পলিমারকরণ, দ্রবণ, মিশ্রিতকরণ এবং জারণ/বিজারণ। এই বিক্রিয়াসমূহ প্রায় সময় পরিবেশ উপশমের সাথে জড়িত বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীদের দ্বারা উপেক্ষিত হয়। এই প্রক্রিয়াসমূহের ব্যাপারে ধারণা নিলে দূষক বা সংক্রামকের পরিণতি সম্পর্কে উন্নতর পূর্বাভাষ এবং বিষাক্ততা সম্পর্কে আমাদের সক্রিয় করে তোলে এবং বিজ্ঞানসম্মতভাবে সংশোধনের আভাষ দেয়, এবং মূল্য-সাশ্রয়ী উপশম পদ্ধতির বিকাশ ঘটায়।

ধারণাসমূহ[সম্পাদনা]

  • এনায়ন ও ক্যাটায়ন বিনিময় হার
  • মৃত্তিকা pH
  • খনিজ গঠন এবং পরিবর্তন প্রক্রিয়া
  • মৃত্তিকা খনিজ বিজ্ঞান
  • মৃত্তিকায় শোষণ এবং অধঃক্ষেপণ বিক্রিয়া
  • জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া
  • মৃত্তিকা সমস্যায় রসায়ন

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]