বিষয়বস্তুতে চলুন

অষ্টাদশ মহাশক্তিপীঠ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অষ্টাদশ মহাশক্তিপীঠ

অষ্টাদশ মহা শক্তিপীঠ শাক্ত মতে, দেবী সতীর ১০৮ টি দেহখণ্ড পৃথিবীর বুকে পড়েছিল। পীঠ নির্ণয় তন্ত্র মতে, এদের মধ্যে ৫১ টি মূল শক্তিপীঠ[]। আদি শঙ্করাচার্য পরিব্রাজনের সময়ে ১৮ টি শক্তিপীঠ[] ভ্রমণ করেছিলেন। তিনি এগুলোকে মহা শক্তিপীঠ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।[]

ঐতিহাসিক দীনেশ চন্দ্র সরকারের মতে এটি আদি শঙ্করাচার্য এর লেখা নয়, বরং এই স্তোত্রটি ওড়িষায় রচিত হয়েছিল। []

অষ্টাদশ মহাশক্তিপীঠ স্তোত্র

[সম্পাদনা]

শঙ্করাচার্য অষ্টাদশ মহাপীঠ নিয়ে স্তোত্র[] রচনা করেন:

লংকায়াং শংকরীদেবী কামাক্ষি কাঞ্চীকাপুরে।
প্রদ্যুম্নে শৃঙ্খলাদেবী চামুণ্ডী ক্রৌঞ্চপট্টনে॥ ১ ॥

আলমপুরে জোগুলাম্বা শ্রীশৈলে ভ্রমরাম্বিকা।
কোল্হাপুরে মহালক্ষ্মী মুহুর্যে একবীরা॥ ২ ॥

উজ্জয়িন্যাং মহাকালী পীঠিকায়াং পুরুহূতিকা।
ওঢ্যায়াং গিরিজাদেবী মাণিক্যাং দক্ষবাটিকে॥ ৩ ॥

হরিক্ষেত্রে কামরূপী প্রয়াগে মাধবেশ্বরী।
জ্বালায়াং বৈষ্ণবীদেবী গয়া মঙ্গলগৌরিকা॥ ৪ ॥

বারণাস্যাং বিশালাক্ষি কাশ্মীরেষু সরস্বতী।
অষ্টাদশ সুপীঠানি যোগিনামপি দুর্লভম্॥ ৫ ॥

সায়ংকালে পঠেন্নিত্যং সর্বশত্রুবিনাশনম্।
সর্বরোগহরং দিব্যং সর্বসম্পদকরং শুভম্॥ ৬ ॥

শক্তিপীঠসমূহের তালিকা

[সম্পাদনা]

আদি শঙ্কর লিখিত অষ্টাদশ মহাশক্তিপীঠ স্তোত্রম []মহাশক্তিপীঠ বলে উল্লেখিত ১৮ শক্তিপীঠের তালিকা নিম্নরূপ:

ক্রমিক নং স্থান পতিত দেহ খণ্ড শক্তির নাম ভৈরব বা পীঠরক্ষক
ত্রিনকোমালী (শ্রীলঙ্কা) কুঁচকি বা নূপুর শঙ্করীদেবী ত্রিকোনেশ্বর বা রাক্ষসেশ্বর
কাঞ্চীপুরম (তামিলনাড়ু) পৃষ্ঠদেশের অংশ কামাক্ষী দেবী একাম্রনাথ
প্রদ্যুম্না (পশ্চিমবঙ্গ) উদরের অংশ শৃঙ্খলা দেবী জানা নেই
মহীশূর (কর্ণাটক) চুল চামুণ্ডেশ্বরী দেবী মহাবালেশ্বর
আলমপুর (অন্ধ্রপ্রদেশ) উপরের দাঁত জগুলাম্বাদেবী বালব্রহ্মেশ্বর
শ্রীশৈলম (অন্ধ্রপ্রদেশ) গ্রীবার অংশ ভ্রমরাম্বা দেবী মল্লিকার্জুন
কোলহাপুর (মহারাষ্ট্র) চক্ষু অম্বাবাঈ ক্রোধীশ
নান্দেড় (মহারাষ্ট্র) দক্ষিণ হস্ত একবীরা দেবী
উজ্জয়িনী (মধ্যপ্রদেশ) উপরের ওষ্ঠ হরসিদ্ধি দেবী লম্বকর্ণ বা মহাকাল
১০ পীঠপুরম (অন্ধ্রপ্রদেশ) বাম হস্ত পুরুহুটিকা দেবী কুক্কুটেশ্বর
১১ জাজপুর (ওড়িশা) নাভি বিরজা/গিরিজা দেবী শ্বেত বরাহ
১২ দ্রাক্ষরমন (অন্ধ্রপ্রদেশ) বাম গাল মণিকাম্বা দেবী দণ্ডপাণী বা বৎস্যনাথ
১৩ গৌহাটি (আসাম) যোনিদ্বার কামাখ্যাদেবী কামেশ্বর বা উমানন্দ
১৪ প্রয়াগ (উত্তর প্রদেশ) হাতের অঙ্গুলি মাধবেশ্বরীদেবী ভব
১৫ কাঙ্গরা (হিমাচল প্রদেশ) মাথার অংশ জ্বালামুখী দেবী উন্মত্ত
১৬ গয়া (বিহার) স্তনের অংশ মঙ্গলাগৌরী দেবী গদাধর
১৭ বারাণসী (উত্তর প্রদেশ) কব্জি/মণিবন্ধ বিশালাক্ষী কালভৈরব
১৮ শারদা পীঠ,কাশ্মীর,ভারত দক্ষিণ হস্ত/কান শারদা দেবী

লঙ্কায়াং শঙ্করীদেবী

[সম্পাদনা]

শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত শক্তিপীঠ যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী শঙ্করী[]। ইনি রাবণ কর্তৃক উপাসিতা। রামায়ণ অনুসারে দেবী পার্বতী শিবের কাছে একটি রাজভবন চেয়েছিলেন। শিব বারংবার তাঁকে বাধা দিলেও অবশেষে তা দিতে স্বীকার করেন। বিশ্বকর্মা লঙ্কায় একটি স্বর্ণমণ্ডিত মহল তৈরী করেন। শিব ও পার্বতীর গৃহপ্রবেশের পৌরহিত্য করেন রাবণ। বিনিময়ে রাবণ তাঁদের কাছ থেকে রাজভবন দাবী করেন। দেবী আশীর্বাদ রূপে তা দান করেন। কিন্ত রাবণের অনুরোধে তিনি শঙ্করী[] রূপে অবস্থান করেন।

কামাক্ষী কাঞ্চীকাপুরে

[সম্পাদনা]

আদি শঙ্করাচার্য প্রতিষ্ঠিত চারটি আশ্রম এর অন্যতম কাঞ্চীপুরম। কামাক্ষীআম্মান শ্রীকুলের দেবী। কামাক্ষী[] ধনুক, পঞ্চবাণ, পাশ ও অঙ্কুশধারিনী। পাশ মায়ার প্রতীক, অঙ্কুশ মোক্ষের, পঞ্চবাণ পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের প্রতীক এবং ইক্ষুধনু মনের প্রতীক।

কামাক্ষী

প্রদ্যুম্নে শৃঙ্খলাদেবী

[সম্পাদনা]

মনে করা হয় দেবীর অবস্থান পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার পাণ্ডুয়ায়[১০]। এখানে সতীর উদর পড়েছিল।

চামুণ্ডী ক্রৌঞ্চপট্টনে

[সম্পাদনা]

শ্রী চামুন্ডেশ্বরী[১১] মন্দির মাইসুরু থেকে প্রায় 13 কিমি দূরে, যা ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের একটি বিশিষ্ট শহর। এটি একটি উগ্র স্বরূপ । দেবী অষ্টভুজা এবং তিনি মহিষকে মর্দন করছেন।

আলমপুরে জোগুলাম্বা

[সম্পাদনা]

জোগুলাম্বা শক্তিপীঠ তেলেঙ্গানা রাজ্যের তুঙ্গভদ্রা নদীর তীরে আলমপুর শহরে অবস্থিত। দেবীর নাম জগুলাম্বা[১২] বা যোগুলাম্বা । দেবীর ভৈরব হলেন বালব্রহ্মেশ্বর। এখানে সতীর দাঁত পড়েছিল বলে মনে করা হয় । এটি অষ্টাদশ মহাশক্তিপীঠ এর অন্তর্ভুক্ত ।

জোগুলাম্বা মন্দির

শ্রীশৈলে ভ্রমরাম্বিকা

[সম্পাদনা]

দেবী ভ্রমরাম্বা[১৩] শক্তিপীঠ এবং মল্লিকার্জুন জ্যোতির্লিঙ্গ উভয়ই অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কুরনুল জেলার পাহাড়ে অবস্থিত। 'মা ভ্রমরাম্বা মন্দির' শ্রীশৈলামে প্রতিষ্ঠিত, যা মা সতীর পবিত্র ৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে একটি। এখানে মাতা সতীর জরায়ু পতিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। এখানে মাকে ভ্রমরম্বিকা বা ভ্রমরম্বা দেবী নামে পূজা করা হয় যিনি আসলে মা ভ্রামরী। ভগবান শিব 'শম্বরানন্দ ভৈরব' রূপে তাঁর সাথে উপবিষ্ট আছেন যিনি মল্লিকার্জুন নামেও পরিচিত।

কোল্হাপুরে মহালক্ষ্মী

[সম্পাদনা]

মহালক্ষ্মী এখানে চন্ডীতে প্রাধানিক রহস্যে বর্ণিত দেবী। তিনি মহারাষ্ট্রে অম্বাবাঈ নামেও পরিচিতা।

The central icon of the goddess

'লক্ষ্মীবিজয়' এবং 'করবীরক্ষেত্রমাহাত্ম্য'[১৪] গ্রন্থ থেকে জানা যায় যে, অতি প্রাচীন কালে 'কোলাসুর' নামে এক অসুর ভয়ানক শক্তির অধিকারী ছিলেন। তিনি ছিলেন দেবী ভক্ত।  তিনি দেবতাদের কাছেও অজেয় ছিলেন এবং ঋষিদের অনেক কষ্ট দিতেন। অবশেষে যে সমস্ত দেবতা তাঁকে ভয় পেয়েছিলেন তারা মহাবিষ্ণুর শরণাপন্ন হলেন। তিনি ইতোমধ্যে একটি বর পেয়েছিলেন যে নারীশক্তি ছাড়া তাকে কেউ হত্যা করতে পারবে না। তাই ভগবান বিষ্ণু তার নিজের শক্তিকে নারীরূপে প্রকাশ করেছিলেন এবং তিনি হলেন মহালক্ষ্মী। সিংহের উপর চড়ে মহাদেবী করবীর নগরে পৌঁছেন এবং সেখানে কোলাসুর নামক এক অসুরের সাথে তার প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। শেষ পর্যন্ত, দেবী এই অসুরকে হত্যা করে তাকে মোক্ষ প্রদান করেন।

মৃত্যুর আগে অসুর দেবীর আশ্রয়ে আসেন, তাই দেবী তাকে বর চাইতে বললেন। তিনি বললেন- 'এই অঞ্চল আমার নাম করুক।' ভগবতী 'তথাস্তু' বললেন এবং তাঁর জীবন ভগবতীতে লীন হয়ে গেল। দেবতারা খুশি হলেন। পালিত হলো বিশাল বিজয় উৎসব। দেবতারা বারবার দেবীর স্তব করলেন। সেই থেকে সেই দেবী এই স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং 'করবীর ক্ষেত্র'-এর নামও হয় 'কোলাপুর' নামে খ্যাত হল।

মুহুর্যে একবীরা

[সম্পাদনা]

একবীরা হলেন চতুর্ভুজা ভদ্রকালী। দেবী রেণুকা [১৫]নামেও পরিচিত । মহারাষ্ট্রের করলা গুহাতে অবস্থিত মন্দির।

একবীরা

উজ্জয়িন্যাং মহাকালী

[সম্পাদনা]

ইনি দেবী হরসিদ্ধি[১৬] দেবী। বলা হয় এই শক্তিপীঠ কে স্বয়ং শিব জাগ্রত করেছেন। দেবীর ভৈরব লম্বকর্ণ বা মহাকালেশ্বর জ্যোতির্লিঙ্গ। এখানে দেবী সতীর ওষ্ঠ পতিত হয়েছিল। পুণ্যসলিলা শিপ্রা নদীর তীরে এখানকার ভৈরব পাহাড়ে  মহাদেব এখানে ‘মহাকাল’ নামে পূজিত হন। তাঁর মন্দিরের সন্নিকটেই রয়েছে রুদ্রসাগর সায়র। সেই সায়রের তীরে রয়েছে দেবী মহাকালীর পীঠমন্দির। 

পীঠিকায়াং পুরুহূতিকা

[সম্পাদনা]

ধ্যানমন্ত্র অনুসারে দেবী পুরুহুতিকা[১৭] চতুর্ভুজা । তাঁর চার হাতে আছে কুঠার, বীজ ভর্তি থলি,পদ্ম এবং অমৃত কলস । দেবীর মন্দির পিথাপুরম, অন্ধ্রপ্রদেশ এর অবস্থান। ডান হাতের কুঠার ও বীজের থলি বামাচার ও বাম হাতের পদ্ম ও কলস দক্ষিণাচারের প্রতীক ।

ওঢ্যায়াং গিরিজাদেবী

[সম্পাদনা]
Goddess spearing an animal
বিরজা দেবী

জাজপুরে অবস্থিত মন্দির। ইনি বিরজা[১৮] নামেও পরিচিতা। ধ্যানমন্ত্র অনুসারে তিনি মস্তকে গণেশ, শিশ্ন, যোনি এবং নাগ ধারণ করেন। তিনি ডান হাতে ত্রিশূল ধারণ করেছেন যা মহিষের বক্ষস্থল বিদীর্ণ করেছে। মহিষের বক্ষস্থল থেকে বিগলিত রক্তধারা মাটিতে পড়ছে।  তিনি বামপদ  দিয়ে মহিষকে মর্দন করছেন।

মাণিক্যাং দক্ষবাটিকে

[সম্পাদনা]

গোদাবরী তবে অবস্থিতা দেবী মণিকাম্বা

মণিকাম্বা দেবীর একটি মুর্তি

পীঠ নির্ণয় তন্ত্র মতে দেবী সতীর বাম গাল গোদাবরী তটে পতিত হয়েছিল। দেবীর হলেন বিশ্বমাতৃকা ত ভৈরব দণ্ডপাণি। গণ্ডো গোদাবরীতীরে বিশ্বেশী বিশ্বমাতৃকা দণ্ডপাণি ভৈরবস্তু । ৪০। বামগণ্ডেতু রাকিনী । ভৈরবে বৎসনাভস্ত তত্র সিদ্ধিনসংশয়ঃ ।। [১৯]

হরিক্ষেত্রে কামরূপী

[সম্পাদনা]
কামাখ্যা দেবী

কামরূপী হলেন কামাখ্যা দেবী। এটি অসমের গৌহাটি তে অবস্থিত। ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে, নীলাচল পর্বতে ভগবতী সতীর যোনি (গর্ভ) পতিত হয়েছিল এবং সেই যোনি (গর্ভ) এক মহিলার রূপ ধারণ করেছিলেন যাকে দেবী কামাখ্যা বলা হয়। য়োনি (মাতৃগর্ভ) হল সেই জায়গা যেখানে ভ্রুণকে ৯ মাস ধরে লালন-পালন করা হয় এবং সেখান থেকেই শিশুটি এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে এবং এটি বিশ্ব সৃষ্টির কারণ বলে মনে করা হয়। ভক্তরা এখানে বিশ্বমাতা দেবী সতীর পতিত যোনি (গর্ভ) পূজা করতে আসেন যা দেবী কামাখ্যা রূপে রয়েছে এবং সেই দেবী সতীর গর্ভকে বিশ্ব সৃষ্টি ও লালন-পালনের কারণ হিসাবে পূজা করে। যেভাবে মানব মায়ের যোনি (গর্ভ) থেকে একটি শিশুর উদ্ভব হয়, ঠিক একইভাবে কামাখ্যা দেবী সতীর যোনি (গর্ভ) থেকে বিশ্বজগতের উদ্ভব হয়েছে।

প্রয়াগে মাধবেশ্বরী

[সম্পাদনা]

প্রয়াগ বা এলাহাবাদ এ অবস্থিত ললিতা শক্তিপীঠ যার অপর নাম মাধবেশ্বরী[২০] শক্তিপীঠ। এটি তিনটি খন্ডে অবস্থিত। এখানে সতীর আঙুল পড়েছিল।

জ্বালায়াং বৈষ্ণবীদেবী

[সম্পাদনা]

হিমাচল প্রদেশ এর জ্বালামুখী বা অম্বিকা দেবী মন্দির। দেবী এখানে অগ্নিরূপা। এটি কাশ্মীরের বৈষ্ণোদেবী নয়[২১]

দেবী চতুর্ভুজা রক্তবর্ণা। তাঁর চার হাতে আছে বাণ,পাশ,বর ও অভয় মুদ্রা ।

গয়া মঙ্গলগৌরিকা

[সম্পাদনা]

দেবীর মন্দির বিহারের গয়াতে অবস্থিত। দেবী মঙ্গলগৌরী চতুর্ভুজা, সিংহবাহিনী । তাঁর চার হাতে আছে জপমালা, ত্রিশূল, বরমুদ্রা ও কমণ্ডলু ।

বারণাস্যাং বিশালাক্ষী

[সম্পাদনা]

বিশালাক্ষী শব্দের অর্থ "তিনি(স্ত্রী) যাঁর বড় চোখ আছে"), [২২] (দেবী পার্বতী /গৌরীর একটি রূপ) ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে গঙ্গার তীরে মীর ঘাটে । [২৩] [২৪] এটিকে সাধারণত একটি শক্তিপীঠ হিসেবে গণ্য করা হয়, হিন্দু দেবী মাকে উৎসর্গ করা সবচেয়ে পবিত্র মন্দির। এটি অষ্টাদশ মহাশক্তিপীঠ এর অন্তর্ভুক্ত। এখানে দেবীর কান সহ কুণ্ডল পতিত হয়েছিল।

কাশ্মীরেষু সরস্বতী

[সম্পাদনা]
শারদা দেবী

ধ্যানমন্ত্র অনুযায়ী শারদা দেবী হলেন ছয়টি হাতবিশিষ্টা সিংহবাহিনী । শারদা যিনি সমস্ত প্রাপ্তি প্রদান করেন। তার তিনটি চোখ,একটি পূর্ণিমার মত উজ্জ্বল মুখ; তার ছয়টি উজ্জ্বল হাতে একটি বর্শা(শক্তি অস্ত্র), একটি ধনুক, তীর, একটি ঘণ্টা, অমৃতের একটি পাত্র; এবং একটি রত্নখচিত কলস। শারদা, শৈলে অবস্থিতা হাস্যরতা দেবী, তিনি হলেন ত্রিলোকজননী, সূর্য ও আগুনের চোখ এবং ছয়টি হাত সহ সর্বশক্তিমান রূপ। ভগবতীকে নমস্কার যা সাধকদের ভক্তি দ্বারা অর্জিত হয়। সিংহাসনে অধিষ্ঠিত শারদা শীঘ্রই কাঙ্ক্ষিত ফলদায়ক কল্যাণ পূর্ণ করুক! [২৫]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Raja Gope (২০১৭)। Devi Pith Tantra। পৃ. ৯৮। {{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতিতে খালি অজানা প্যারামিটার রয়েছে: |1= (সাহায্য)
  2. 18 Shaktipeethas list
  3. "Ashtadasha Shakti Peethas"। ১৮ নভেম্বর ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০২২
  4. Ashtadasa Shakti Peethas and Rahasya and mahimas। KS Omniscriptum Publishing। ২০২১। আইএসবিএন ৯৭৮৬২০০৬২৬৪০০ {{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতিতে খালি অজানা প্যারামিটার রয়েছে: |1= (সাহায্য)
  5. 18 Shaktipeethas
  6. Shankari shaktipeeth
  7. Shankari Devi
  8. "Kamakshi Ammam Temple"। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২২
  9. Shrinkhala Devi
  10. Chamundeshwari
  11. Jogulamba temple
  12. Bhramaramba
  13. शक्तिपीठ दर्शन। Gitapress, Gorakshapur। ২০২১।
  14. "একবীরা"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০২২
  15. Harasiddhi
  16. Pithapuram Puruhutika
  17. Biraja Temple
  18. Raja Gope (২০১৭)। Devi Pith Tantra। পৃ. ৯৮। {{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতিতে খালি অজানা প্যারামিটার রয়েছে: |1= (সাহায্য)
  19. Lalita
  20. Jawalamukhi
  21. Bangala Bhasar Abhidhaan ( Dictioanary of the Bengali Language), Shishu Sahitya Samsad Pvt Ltd., 32A, APC Road, Kolkata – 700009, Volume 2, p.1600. (ed. 1988)
  22. Eck 1982
  23. Varanasi Temples
  24. Rudrayamala Tantram। India: Shrinath Udupa। ২০১৭। পৃ. ৩০৬। Rudrayamal Sharda Shahasranama